দেখা হলো

সেই যে দেখা হয়েছিলো মেলায়
কি তুমুল ভিড় ছিলো
ধূলোয় চোখমুখ সমস্ত শরীর
ছিলো একাকার।

পাশাপাশি একেবারে গা ঘেঁষে
চলেছিলাম আমরা
শরীরের ভিতর একটা
আদিম শিহরণ তুলে।

পাতায় কান রেখে শুনেছি বৃক্ষের কথা
তার বেড়ে ওঠা আহার নিদ্রা
সব। গাছেরা উদার হয়
অহংকার থাকে না কোন।

বাতাসে শরীর ডুবিয়ে
বাড়ায় শাখা প্রশাখা
কাকেরা শাখায় ঘর বাঁধে
পরম বিশ্বাসে-
তার শেকড় ঘেঁষে বসে বাণিজ্য বসতি।

বলেছিলে দেখা হবে ফের
তারপর কত জল গড়ালো নদীতে
কেটে গেলো দিন ক্ষণ
দেখা হয়নি।

ভন্ড ফকির বসে
দেদার ঠকায় মানুষ
বৃক্ষ বলে না কিছু
অবিরাম ঝর্ণাধারায় জল
গড়ানোর মতো শুধু বিলায় ছায়া।

খুঁজেছি তোমায় মেলায়
টিএসসির কোলাহল আর
মৌলীর দোতলায়
সময়ের নদী পেরিয়ে
পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন ভীড়ে
আর কি দ্যাখা হবে না আমাদের !!

উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় নীরু। দূরে থেকেও যিনি আমার আপন এবং কাছের।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter