সম্পূর্ন বাস্তবতা থেকে লেখা

তুই ও আমি।
তোর সাথে আমার কখন যে এত ভালোবাসা হয়েছিলো বিশ্বাস কর আমি বুঝতেই পারি নাই। আমি যা কিছু বলছি আমার আমার দ্বারা যা কিছু হইছে আমি তার জন্য অনুতপ্ত।

ছোট বেলায় যখন বিটিভি ( BTV ) তে পুরানো দিনের বাংলা ছায়াছবি দেখতে বসতাম তখন বুকের মাঝে কেন জানি শূন্যতা অনুভূত হতো। প্রেম ভালোবাসা কি তখন বুঝতে পারি নাই। আর তোর কথা তো তখন স্বপ্নেও ভাবতে পারতাম না। কারন তারও দশ এগারো বছর পরে তোর সাথে আমার পরিচয় মিলে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তোর মত বন্ধু যে আমি পাবো সেটা আমার কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। যতটা না অবাক হয়েছি তোর সাথে বন্ধুত্ব করতে তার চেয়ে আজ বেশী হতবাক তোর পাল্টে যাওয়া দেখে। বন্ধুর জন্য ছায়াছবিতে অনেক ইমোশনাল মোমেন্ট দেখছি কিন্তু তার বাস্তবতা আমি নিজেই। তোর জন্য সব করেছি বিনিময়ে তুই আমার সাথে করলি প্রতারণা। আমার সাথে বেঈমানি করতে কি তোর বিবেকে একটু বাঁধলো না।

আরে অকৃতজ্ঞ বন্ধু আমার, কি না করছিলাম তোর জন্য। আমি তোর আরো কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলেই দেখতি এখন যেভাবে আছো যার কাছে আছো যে, মায়ার বাঁধনে জড়িয়েছো নিজেকে তার চেয়ে একশত গুনে ভালো রাখতে পারতাম আল্লাহর রহমতে। আরে তোর জন্য হাজারো মানুষের কাছে নিজেকে ছোট করছি। তুমি খারাপ করেই গেছো আমার চক্ষুর অন্তরালে আমি তা টেরই পাইনি। আর যখন বুঝতে পারলাম ঠিক তখনই আমার সাথে অন্ধ ভালোবাসার সাথে বেঈমান করে আজ সুখের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিস। আল্লাহ তোকে এই রকম দৌড়ের উপরেই রাখবে। কারন তুই আমার মোনের পবিত্র ভালোবাসা নিয়ে ছেলেখেলা করেছো। আমার মনে এখন বন্ধুর ভালোবাসার প্রতি ঘৃণা জন্ম নিয়েছে, আমি মনে হয় পারবো না কোন দিন নতুন করে আর কাউকে আমার আত্মার বন্ধু ভাবতে।

আমার সাথে এমন ছেলে খেলা খেলে কি উপকৃত হইলি তুই আমাকে বলবি। আজ বউ, সন্তান, পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে আমি তুমি সকলেই সুখি শুধু নাই আমাদের কোন এক সময়ের পবিত্র ভালোবাসার বিশ্বাস আর দুজনার প্রতি অাগত ভালোবাসার টান।সময়ের দাবিতে হয়তো তুই আমি আমরা সকলেই পরিবর্তন হই কিন্তু তোর কাছে আমার কোন পরিবর্তন ছিলো না। মাঝ থেকে কেন তুই নিজেকে পাল্টে নিয়ে আমাকে কষ্ট দিলি বলতে পারবি ? এর সঠিক কারন কি ? এর উত্তর মরন কালেও তুই দিতে পারবি না এটা আমার জানা আছে।

যদি মন টানে কখনও আমার কাছে ফিরে আসতে আসতে পারো আমি তোমাকে গ্রহন করে নিবো। তবে তোমার ওই অপবিত্র মনটাকে কবর দিয়ে আসতে হবে।

রাসেল মিয়া সম্পর্কে

মোঃ মাসুদ পারভেজ মিয়া ( রাসেল )। রাসেল নামেই আমি বেশী পরিচিত এবং এটাতেই বেশী ভালোলাগে আমার। ছোট থেকেই লিখতে ভালো লাগে না আমার তাই কখনও চেষ্টাও করি নাই লেখক হবার। তবে লেখা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে যখন একা থাকি তখনই সবার লেখা পড়েই বেশীর ভাগ সময় কাটে। তবে গানও শুনি বিশেষ করে আধুনিক গান বেশী শুনি ... লেখা পড়া বেশী করতে পারি নাই ... বি এ কমপ্লিট করবার পরে মাথায় এক ধরনের ঝিঁঝিঁ পোকার আবাস স্থল তৈরি হয় যার কারনে পরবর্তী ধাপ অতিক্রম করা হয়নি। চেষ্টা করি সবার সাথে তাদের মত করে চলতে কিন্তু মানুষ বলে তো কথা; সবার মত হতে পারিনা। কারো থেকে ভালো আবার কারো থেকে অনেক খারাপ। এখন চিন্তায় আছি খারাপের সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখবো না।

4 thoughts on “সম্পূর্ন বাস্তবতা থেকে লেখা

  1. অকৃতজ্ঞ বন্ধু’র জন্য একরাশ করুণাই জন্মালো।
    যদি কখনও অপবিত্র মনটাকে কবর দিয়ে আসতে পারে, তাহলে গ্রহণ করবেন।

    1. আমার এই একই কথা তাকে ভালো বাসি বন্ধুর মতই কিন্তু তার ওই মনটাকে আমি মেনে নিতে পারতেছিনা

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।