টলু চাচার গুঁজবি কথা

এক-
তখন সবে মাত্র নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি বলে একটা সাইকেল পাওয়ার সখ যেন ভীষণ ভাবে মনের মধ্যে জেগে উঠেছে। সখ বলে কথা! সঙ্গে সঙ্গে আর কিছু না ভেবে লন্ডনে বাবার কাছে চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিলাম। লিখার কয়েক সপ্তাহ পরেই টাকা পেয়ে মনের আনন্দে খালাত ভাই এবং মালদার চাচাকে সাথে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নূতন একটি চায়নিজ ফিনিক্স সাইকেল কিনে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। অনেক দূর থেকে এসেছি বলে বেশ ক্লান্ত হয়ে একটু ঘুম-ঘুম ভাব আসছে, তাই উঠানের মধ্যে কোন ভাবে সাইকেলটা রেখে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছি । আমাদের ক্ষেত গৃহস্থীর কাজের জন্য যে তিন জন লোক ছিলেন, তাদের মধ্যে এক জনের নাম ছিল টলু মিয়া। তিনি ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির, মধ্যবয়সের, অতি সহজ সরল মানুষ। আমরা তাকে টলু চাচা বলে ডাকতাম। তার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, কোথাও কোন আজগুবি খবর শুনলে তা গভীর ভাবে বিশ্বাস করতেন এবং অতি দ্রুত সর্বসমক্ষে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট সুদক্ষ ছিলেন। হঠাৎ উচ্চ সুরে কথা বার্তার আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বাইরে এসে দেখলাম টলু চাচা কি একটা ভয়ানক অদ্ভুত জন্তুর খবর নিয়ে বাড়ির সবাইকে উঠানে জড়ো করে এক ভীতিজনক চেহারা নিয়ে অনর্গল তার বিবরণ বলে যাচ্ছেন, আর উপস্থিতি সবাই অবাক হয়ে তা শুনছেন। আমি নিজেও কৌতূহল বশত অদ্ভুত এই খবরটি শুনে কিছুটা চমকে গেলাম। টলু চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম, এ খবর কোথা থেকে শুনলেন এবং জন্তুটি দেখতে কি রকম বা নাম কি? চাচা একটু দীর্ঘশ্বাস ছেরে বিস্তৃতভাবে বললেন মছদ্দরের চায়ের দোকানে বসে চা খেতে খেতে শুনছিলাম, কিছু লোক কি যেন বলাবলি করছে, তাদের মুখ থেকে এই অদ্ভুত জন্তুর খবরটি শুনেছি এর মধ্যে গ্রামবাসী সবার কাছে খবরটা ছড়িয়ে পড়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তুমিও শুনবে ।

দুই-

ভাটি অঞ্চলে কয়েক মাস আগে এই অদ্ভুত জন্তুর আবির্ভাব হয়েছিল। আমাদের এলাকায় ঐ জন্তুটির দুই দিন যাবত আগমন ঘটেছে। শুনেছি জন্তুটি নাকি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন, এটি মানুষ, গরু, হাঁস, মোরগ অর্থাৎ যে কোন প্রজাতির জীব কয়েক মিনিটের মধ্যে জিহ্বা দিয়ে চেটে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এরই মধ্যে অত্র এলাকার কিছু গবাদি পশু খেয়ে ফেলেছে, তবে ভাটি অঞ্চলে অনেক গৃহপালিত পশু খাওয়ার পাশা পাশী কিছু মানুষও খেয়েছে। যদিও আমাদের চুয়াল্লিশ পরগনায় কোন মানুষ খেয়েছে এখনও এই রকম খবর শোনা যায়নি। ঐ জন্তুর বিশেষ কোন আকৃতি বর্ণনা করতে না পারলেও, ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পশুর রূপ ধারণ করে মানুষের সামনে আসে। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় নাম দেওয়া হয়েছে “লেহিয়া খাওরী” ( চাটিয়া খায়)। বিশেষ করে যখন সন্ধ্যা নামে তখন জন্তুটি খাবার অন্বেষণে বের হয়। তাই এলাকাবাসী এই ভয়ংকর জন্তুর আগমনে আতঙ্কিত হয়ে রাত্রে খুব ভয়ে ভয়ে চলাফেরা করে। প্রতিদিন আমাদের গরুগুলি যথারীতি গোয়াল ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বেধে রেখে তাদের রাতের খাবারের যাবতীয় ব্যবস্থার দায়িত্ব ছিল টলু চাচার। ওই দিন তিনি এই অধ্যায়টি যথাসময়ের অনেক আগেই শেষ করে দরজায় তালা মেরে দেন। তাই দেখে আমার মেঝচাচা কিছুটা আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল, কি হলো টলু “সন্ধ্যা হওয়ার এখনও অনেক বাকি আজ এত সকাল সকালে গরু ঘরে ঢোকানোর কারণ কি?
উত্তরে টলু চাচা একটু ভীতিপূর্ণ কণ্ঠস্বরে বললেন
ভাইজান, আজকাল যে একটা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছি সেটি আপনিও জানেন, তাছাড়া গরুর প্রতি লেহিয়া খাওরী জন্তুর যে লোভ খুব বেশি এ কথা আমরা সবাই শুনেছি। সুতরাং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদেরকে বাহিরে এমন একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রাখা কোনক্রমেই উচিত নয় তাই গরুর নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে সন্ধ্যার আগেভাগেই কাজটা সেরে ফেললাম।
কথাগুলি বলেই টলুচাচা মেঝ চাচার দিকে একটু গর্বের সাথে তাকালেন, ভাবছিল মেঝচাচা তার খুব তারিফ করবে। কিন্তু তার কথা শুনে মেঝচাচা কিছু না বলে বাইরে চলে গেলেন। এতে একটু হতাশ হয়ে টলু চাচা আমাকে বললেন
ভাতিজা তোমার সাইকেলটা ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখ।
আমি বললাম কেন! এখনও রাত হয় নাই যে কেও চুরি করে নিয়ে যাবে! চাচা কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন,
চুরি হওয়ার জন্য বলি নাই, বলেছি যদি কোন না কোন ভাবে ঐ জন্তুর নাগালে আসে!
এ কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়ে অবাক দৃষ্টিতে চাচাকে বলি! কেন সাইকেল কি প্রাণী? এতে রক্ত মাংস কিছুই নাই, সম্পূর্ণ লোহার তৈরি একটি বস্তু । তাহলে আপনার এত ভয় কিসের?
আমার কথা শুনে টলুচাচা একটু চিন্তা করে বললেন! তুমি বুঝবেনা ভাতিজা, এত দামী নূতন জিনিস বাহিরে রাখা মোটেই ঠিক হবেনা, কারণ নূতন কোন কিছুর প্রতিই ঐ অস্বাভাবিক অদ্ভুত জন্তুর বিশেষ আকর্ষণ!
ঠিক ওই সময়ে কোথা থেকে আমার দাদি এসে হাজির, তিনি টলু চাচার পক্ষ সমর্থন করে বললেন
টলু ঠিক কথাই বলছিস। দাদি আবেগপূর্ণ হয়ে বললেন! আখেরি জমানা এসে গেছেরে টলু, কত রকমের কত কিছু বাহির হবে, এটাই তো কিয়ামতের লক্ষণ।
তাদের সাথে কথা না বাড়িয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সাইকেলটি ঘরে রেখেই যেন বাচলাম। বাড়িতে কোন অপরিচিত কুকুর, বিড়াল দেখলে টলু চাচা ঘাবড়ে যান। এমনকি তার গায়ে কোন মাছি বসলেও তিনি চমকে উঠেন এবং মনে মনে ভাবেন, এটাই কি সেই লেহিয়া খাওরী জন্তু! মাছির রূপে এসে কি আমার রক্ত চুষে খেয়ে ফেলবে! যথানিয়মে টলু চাচা সে দিনের সকল করণীয় কাজ সন্ধ্যার অনেক আগেই শেষ করে হাত পা ধুয়ে পূর্ব ঘরের নিজের কামরায় ঢুকে পরেন। রাতের খাবারের ডাক শুনে তিনি পরে যান মহা মুশকিলে। কি ভাবে উঠান অতিক্রম করে পশ্চিম ঘরে যাবেন, তাই নিয়ে বিষম চিন্তিত। হাতে ল্যাম্প নিয়ে সহকর্মী হাবিবকে সাথে নিয়ে ভয়ে ভয়ে কোন ভাবে উঠান পাড়ি দিয়ে পশ্চিম ঘরে পৌঁছেন।

তিন-

এভাবেই টলু চাচার প্রতিটি দিন যেন উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটে। প্রতি বৎসরের মত টলু চাচা এইবারে ও পৌষ সংক্রান্তির অকুরের রথ যাত্রায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসে তাকে অনেক স্বস্তি বোধ করছে বলে মনে হচ্ছিল। টলু চাচার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
কি হয়েছে চাচা, আজকে এত খুশিখুশি লাগছে কেন? তখন তিনি কিছুটা মৃদু হাসির ভঙ্গিতে বললেন,
একটা সুখবর শুনে আসলাম! লেহিয়া খাওরী জন্তুটি মারা গেছে।
এতে আমি বিস্মিত হয়ে চাচাকে বললাম! কোথায় কি ভাবে!
চাচা বললেন! অকুরের রথ দেখে বাড়িতে ফেরার পথে শুনলাম কিছু লোক কি যেন বলাবলি করছে, তাদের মুখ থেকেই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণী জানতে পেরেছি। পূর্ব দিকে ইটা পরগনার কোন এক গ্রামে, কারো বাড়িতে লেহিয়া খাওরী জন্তুটি কুকুরের রূপ ধারণ করে উঠানে একটা বালতির মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে কি যেন চেটে খাচ্ছিল, এমন সময় এক সাহসী যুবক বুঝতে পেরে ঝাঁটা দিয়ে ঘা বসিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই লেহিয়া খাওরী জন্তুটি জিহ্বা বের করে চির নিদ্রায় চলে গেল। তারপরে মৃত জন্তুটি যেন আবার জীবিত হয়ে না উঠে,তাই সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এলাকার উৎসুক জনতা তৎক্ষণাৎ আগুনে পুরিয়ে লেহিয়া খাওরীর দেহাবশেষ (ছাই) নদীতে ফেলে নিজেদেরকে যেন এক বিশাল পাপ থেকে মুক্ত করল। অবশেষে চাচা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন।

চার-

বাড়ির দক্ষিণের সেই পুরানো কড়ই গাছের ডালে বসে কয়েক দিন যাবত রাতে হুতোম প্যাঁচা কর্কশ সুরে ডাকছে, তা শুনে টলু চাচা বিচলিত হয়ে আমার দাদিকে বললেন!
চাচী ঐ হুতোম প্যাঁচার ডাকে মনে হচ্ছে শীঘ্রই অমঙ্গলজনক কিছু একটা ঘটতে পারে।
দাদি বললেন! “তা অবশ্যই ঠিক, রাতে হুতোম প্যাঁচার ডাক অশুভ লক্ষণ। তবে আগামী কাল যখন ডাক শুনবে তখন ইট মেরে ঐ আপদকে এখান থেকে তাড়িয়ে দিও।

দুই দিন পরে সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প হয়। তখন ফাল্গুন মাস। বসন্তের প্রাণজুড়ানো দক্ষিণা বাতাসের মধ্যে উঠানে মাদুর বিছিয়ে বাড়ির মুরুব্বিয়ানগণ মাগরিবের নামাজ আদায় করে ওই বিছানায় বসে কিছু সময়ের জন্য বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে গল্পগুজবের আসর জমে উঠে। ওই দিনের উঠান সভার প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ভূমিকম্প সমাচার, এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন টলু চাচা। শুরুতেই চাচা বললেন
আজকের ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের আভাস সেই হুতোম প্যাঁচার ডাক থেকে অনুমান করতে পেরেছিলাম যে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।
চাচাকে বললাম! হুতোম প্যাঁচার ডাক থেকে ভূমিকম্পের কি কোন লক্ষণ বুঝা যায়?
চাচা বললেন তা অবশ্য নয়। হুতোম প্যাঁচার ডাক অমঙ্গল বার্তা বয়ে আনতে পারে। সেটা হতে পারে যেমন ভূমিকম্প, মৃত্যু সংবাদ, চুরি অথবা কারো বাড়িতে আগুন। বলা হয়ে থাকে যে, পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা লগ্নে মহান আল্লাহতালা একটি ষাঁড় এবং একটি মশা সৃষ্টি করেন। ঐ ষাঁড়ের দুটি শিঙের উপর পৃথিবী সম্পূর্ণ ভাবে ভর করে আছে, আর মশা অতন্দ্র প্রহরীর মত তার দায়িত্ব পালন করছে। যখনি ষাঁড় একটু শিং নাড়ানোর চেষ্টা করে তখনি ভূমিকম্প হয়, আর মশাটি তাৎক্ষণিক ষাঁড়ের মুখমণ্ডলে কামড় বসিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই শিং নাড়ানো বন্ধ করে, এতে ভূমিকম্প থেমে যায়। অতঃপর ষাঁড় মশার কামড়ের ভয়ে শিং নাড়ানো থেকে বিরত থাকে নতুবা শিং নাড়াতে থাকলে এই পৃথিবীর অস্তিত্ব কবেই না লণ্ডভণ্ড হয়ে যেত!

পাঁচ-

জ্যৈষ্ঠ মাসের কোন এক রাতে শু-ভু এমন একটি অদ্ভুত আওয়াজ শুনে সবাই অনুমান করে যে বাড়িতে খাটাশের (বনবিড়াল) আগমন ঘটেছে, ঠিক ঐ সময়ে টলু চাচা উচ্চ সুরে কাকে কি যেন বলছিলেন, তাও কিছু লোক শুনতে পেরেছিল।
পরের দিন টলু চাচাকে রাতে এত জোরে কার সাথে কথা বললেন, জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্লাসিত হয়ে বললেন, গত রাত্রে খাটাসের শু-ভু আওয়াজ শুনে ঘর থেকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এ বছর শু হবে-না ভু হবেরে? উত্তরে তার কাছ থেকে ‘শু’ কথাটি শুনে আন্দাজ করতে পারলাম যে এই বৎসর খেত কৃষি ভাল হবে, মোটামুটি সব কিছু মিলে সারা বছরটি ভালই যাবে ।
তখন আমি চাচাকে বললাম! খাটাশের কথা থেকে কি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যায়।
চাচা বললেন! তখনকার মুরব্বিরা এ কথাটি বিশ্বাস করতেন।
বেশ কিছু দিন পর একাধারে চার পাঁচ দিন বৃষ্টি হওয়াতে মনু নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে চলে যায়। হঠাৎ এক দিন বাধ ভেঙ্গে বন্যার পানিতে হাওরের সম্পূর্ণ ফসলাদি পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিস্তীর্ণ এলাকা জুরে তাকালে যেন মনে হয় হাওর আর হাওর নেই মহাসাগর হয়ে গেছে। এই দৃশ্য দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে টলু চাচার কাছে জিজ্ঞেস করলাম কি চাচা! আপনার খাটাশের ভবিষ্যৎ বাণী তো মিথ্যে হলো! চাচা এবার আমতা-আমতা করে একটু ভারী কণ্ঠে বললেন সেদিন বাহিরে বৃষ্টি এবং বাতাসের সো সো শব্দের কারণে ভু এর বদলে শু শুনেছিলাম। একথা বলতে বলতে কথা ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন।
এভাবেই সহজ সরল টলু চাচার অনেক গুঁজবি কথা আমাদেরকে শুনতে হত। আমাদের সমাজে এখনও অনেক গুঁজবি কথার প্রচলন আছে, যা আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, যে গুলো শুধু মাত্রই কল্পনা, যার সাথে বাস্তব জীবনের কোন সঙ্গতি নেই। সময় এখন পেরিয়েছে, আমরা অনেক দুর হেঁটে এসেছি। এই একবিংশ শতাব্দীর যুগে যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে হাঁটছি, সেখানে কল্পকাহিনী বা রূপকথার কোন মূল্য নেই। সব মিছে হয়ে গেছে।

11 thoughts on “টলু চাচার গুঁজবি কথা

  1. পুরো লেখাটি পড়লাম। শেষ প্যারাটা উপদেশ মূলক ভাবে সরাসরি বলা হয়েছে যা একটি স্বার্থক গল্পেের অন্তরায়।

    ফিনিশিং টা অনেক সরাসরিভাবে বলা হয়েছে। এছাড়া পুরা গল্পটি অসাধারণ।

    1. আপনার গঠন মূলক মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ গেদু ভাই! আশা করি এমনি করেই পথ দেখিয়ে দিবেন।

      1. আমাকে গেদু ভাই বলাতে বেশ আমোদিত হয়েছি। নিজের তৈরি করা চরিত্র যখন জনপ্রিয় তখনই এরূপ হয় বলে ধারণা করি। তবে জনাব আমি কয়েকটি গল্পও লিখেছি। আপনাকে আমার গল্পে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম।

        শুভ কামনা রইল।

      2. ধন্যবাদ গেদু ভাই।
        আমি বুঝতে পেরেছি আপনি বেশ ভাল লেখেন, আরে ভাই আমিতো মাত্র লেখার পাঠশালায় ভর্তি হয়েছি। আপনার গল্পগুলি অবশ্যই পড়ব।

      3. ধারণা করছি আমার মন্তব্যটি আপনার ভালো লাগে নাই। তবে কথা কি জানেন, আপনার লেখাটি আমার অনেক ভাল লাগছিল, শেষে এসে খুব ভাল একটি গল্পের বাজে সমাপ্তিতে হতাশ হয়েছি।

        ধ ন্য বা দ

        গেদু থেকে সাবধান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_wacko.gif

      4. গেদু থেকে সাবধান মানে কি?
        গেদু আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। কাজেই এমন হুমকি দিবেন না দয়া করে।
        তাহলে কেস কোন দিকে যায় বলা যাবে না! তখন কিন্তু মুরুব্বীর আদালতে যেতে হতে পারে!

    2. মুরব্বী ভাইয়ের ছাদ নিয়ে কি কান্ডটাই না করল গেদু। ভুলে গেছেন মনে লয়। আবারও বলছি গেদু আসিতেছে সাবধান।

  2. এসে পড়েছি সমছু মিয়া ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gif
    এমনি এমনি আসি নাই। টলু চাচার গুঁজবি কথা পড়েই এসেছি। এইটা হাঁচা কথা যে, এই একবিংশ শতাব্দীর যুগে যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে হাঁটছি, সেখানে কল্পকাহিনী বা রূপকথার কোন মূল্য নেই। সব মিছে হয়ে গেছে। আবেগের বেগও ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।