বীর মুক্তিযুদ্ধা ফিরোজ মামার স্বপ্ন’৭১

প্রতি রাতে স্বপ্নের স্বপ্ন’৭১ দেখছিল লক্ষ চোখ শুধু স্বাধীন করার জন্য হয়েছিল তাঁরা রক্তগঙ্গা আর লাশের হিমালয়- মিথ্যা নয় আজও কথা কয় ইতিহাস- বেঁচ্চে থাকে -থাকবে ইতিহসা ! বাংলার লাল সবুজের প্রান্ত জুরে-আকাশে বাতাসে পথে ঘাটে; সেই দিন ছিল ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতের গগণে কালবৈশাখি মেঘের শুধু গর্জন আর গর্জন।
ফিরোজ মামা মেজিনগানের গোলা হয়ে সামনে যাচ্ছিল তখন-

হঠাৎ পাঞ্জাব সেনারা ঢাকা ইনভারসিটির ভিতরে কিছুতেই যেতেদিছিল না-পথে নানান মুখি বাঁধা, কিছুক্ষণ পরেই ঢাকা ইনভারসিটির হলে হলে শুরু হলো বৃষ্টিগুলির আওয়োজ ! ভেসে যাচ্ছে রক্তবন্যা -ভিজে যাচ্ছে রক্ত লাশ আর লাশ,ভারসিটির প্রাঙ্গণের রক্তে ঘাসের জন্ম হলো শুধু স্বাধীনতা পাবো বলে স্বপ্ন’৭১।

কি সুভাগ্য প্রসন্ন -বেঁচ্চে গেলো ফিরোজ মামা- হয় তো বীর কমান্ডারের লাল ব্যাচ ধারণ করে যুদ্ধো করবে বলে !
ঐ ৭১ স্বপ্ন ফুল হবে বলে ! সত্যিই আজ কথা কয় ইতিহাস- বেঁচ্চে থাকে -থাকবে ইতিহাস !
সেদিন মামার কাছে থেকে না শোনলে, হয় তো জানা হতো না মার্চের গণহত্যার কি?
কি তাঁর নির্মম বর্ররতার ইতিহাস – আর স্বপ্ন রঙিন ৭১?

তারপর-
ঔ পাক শিয়াল শকুন হায়নাদের বিবস্ত্র রাক্ষসী থাবা সহয্য করা দায় আর স্বপ্নময় মা মাটিকে মুক্ত, স্বাধীন করার জন্য শুরু হলো ৭১ এর তীব্র লড়াই; কমান্ডারের বীরত্ব হিসাবে মামা ঐ সারি সারি কলাগাছের অচ্ছ্বন সারিয়াকান্দির বীর সন্তানদের কে কমান্ড, অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন ফিরোজ মামা।
তবুও পথে ঘাটে কত শকুন হায়নার মিছিল,‘পশ্চিমার পা চাটা কত্তো, ঐ চুদির ভাই’ কফিল রাজাকার ধরেদিয়েছিল স্বপ্ন’৭১ বীর মামাকে।
কিন্তু সেখানেও মামা বিজয় হয়েছিলেন -কারণ তাঁর দু’চোখ ভরে দেখছিলেন স্বপ্ন’৭১ এর স্বাধীনতার উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিজয় গাঁথা হাসি আর হাসি !

এরপর-দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধো করে স্বাধীন হলো বাংলাদেশ ! আর মামা পেলেন সেই স্বপ্ন৭১ এর স্বাধীন মানচিত্র ।
আর আমরা পেলেন স্বাধীনতার সোনালী গৌর্ব- ইতিহাস করে যাবে সৌরভ !
ফিরোজ উদ্দিন, ফিরোজ মামা এতটুকু বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ভুল না – ভুল না-
আমাদের চেতনা হোক স্বপ্ন’৭১।

২৫/০৩/১৭
(নিম্নে বীর মুক্তিযুদ্ধা ফিরোজ উদ্দিন ফিরোজ মামার ছবি)

———-IMG_20170322_075246

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

1 thought on “বীর মুক্তিযুদ্ধা ফিরোজ মামার স্বপ্ন’৭১

  1. সত্যিই আজ কথা কয় ইতিহাস- বেঁচে থাকে -থাকবে ইতিহাস ! বাংলাদেশ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।