তো ঘটনা ঘটলো ছয়মাস পরে। রাজাবাজার মোড়ে। রজ্জবের চায়ের দোকানের পিছনে- সিধু পোদ্দারের আড়াই তলা বাড়িতে।
সিধুর সুদের কারবার। টাকা পয়সা ভালই কামাইছে। গ্যাদাকালের বন্ধু মদনা মাছের ব্যাবসার লেগা সুদে টাকা নিছিল। টাকা শোধাইতে পারে নাই। চক্রবৃদ্ধি সুদে মদনা অহন সিধুর বাপ। পুরুতের মন্ত্রপাঠের জোড়ে সিধুকাকা মদনের মাইয়া কমলারাণীর স্বামী।
কমলার বয়স সতের। খাই খাই গতর। সিধু মিটফোর্ড থেকা ওষুধ কিনা খায়। কমলারে দিয়া মধু মালিশ করায়। কিন্তু কোনো কামে লাগে না। কমলা ঘুমায়, সিধুর যন্ত্রতো ঘুমায়াই থাকে- সিধু খালি হাশফাশ করে।
ওষুধ আর মালিশে সিধুর যন্ত্রের ঘুম ভাংগে নাই। দুই একবার আড়মোড়া ভাইংগা জাইগা উঠার সম্ভাবনা জাগায়া আরো গভীর ঘুমে ঘুমায়া গেছে। যন্ত্রের বদলে তার ধর্মবোধ জাগ্রত হয়া উঠছে। রাইতে সে জাইগা জাইগা মন্ত্রপাঠ করে। কমলা মুচকায়া মুচকায়া হাসে আর মোচড়ায়।
তো যেইটা কইতাছিলাম- ঘটনা ঘটল ছয়মাস পরে। কমলা নায়িকা মৌসুমির মতন মাথা ঘুরায়া পইরা গেল। সারাদিন ওয়াক ওয়াক কইরা বমি করনের চেষ্টা জারি রাখল। সিধু লক্ষন চিনে। প্রথমে রাগে খুন করনের চিন্তা করছিল। পরে ঘটনায় খুশী হয়া উঠল।
ছয়মাস পরের একদিনে পরপর কয়েকটা ঘটনা ঘইটা গেল। ভোরে রজ্জবের দোকানের পিছনে প্রদীপের ডেডবডি পাওয়া গেল। প্রদীপ সিধুর কারবারের হিসাব রাখত। মাষ্টার্স পাস কইরা চাকরী খুঁজতাছিল। কমলারে ‘কাকি কাকি’ কয়া ডাকত। সিধুর সামনেই রঙ্গরস করত। কমলাও কি গইলা গইলা যাইতো না! যাইতো হয়তো।
সিধু বাপ হওনের খুশীতে দুইটা দামি শাড়ি আর প্রদীপের মার্ডার হওনের খবর লয়া কমলার কাছে হাজির হইল। দুপুরে খায়া-দায়া দুই পাতিল দই সহযোগে মদনার বাড়িতে খুশীর খবর দিতে গেল। রাইতে ঘরে ফিরা দেখে কমলা নাই। দুই তালায় বড় বউ ফ্যাচফ্যাচায়া কানতাছে। কমলা কই জিগাইতেই ফ্যাচফ্যাচানি বাইরা যায়। গালি দিতে দিতে একটা কাগজ আগায়া দেয়- “বাবা, কমলারে নিয়া গেলাম। আমাদের খুঁইজো না। আমাদের ক্ষমা করো। তোমার নাতিরে আশীর্বাদ দিও।
ইতি
অশোক।”
কইতে ভুইলা গেছি- অশোক সিধুর তিন নম্বর পোলা।
অ সা ধা র ণ।
বাহ্ অনেক ভালো লাগল
সিধুর তিন নাম্বার পোলার, দুই নাম্বার বউ এর সাথ, দুই নাম্বার সম্পর্ক ও সিধুর সাথে দুইনাম্বারির গল্প ভালো লাগলো !