সাঁঝবিহানের আকাশটা গাঙাইলো,
ভরা মাসের সূয্যিঠাকুর লুকাইং গেল
ম্যাঘবিছানায় চাদর উরে,
আর তড়াং কইরে ফুটফুটালির বাপ
চিচাইন দিল বড় মালের লিশা
চাপলেক রে মাগী।
ক চাঁদ দেখলম এ দুনিয়াদারি
কড় গুনে আর বইলতে লারি,
দশট দিনও ফুরফুরায়েঁ চলে না
ইদিক উদিক গুল্লাবাজী
ইঁটাভাটা, লফঙ্গাকাজ,
রাতবিরেতে ফুটফুটালির বাপট মাতাল
লিশার চাপট মাথায় চাপে,
নিয়ম কইরে পিটাইন পদে
গ্যাঁজলা মুখে আইঙ্গনা ধারে উল্টাইন যায় ;
ঠিক তখনই বড় টরচের আলো
মুখের উপর পনদের উপর
টান মেইরে ল্যাংটা করে,
তারপদ্দিন দুমুঠা ভাত …
আহ উরে সোনমুগুলি ভাতের গন্ধ
বডই মিঠাস, লুনের ছিটায়।
বছর বছর বিয়াইন যেছি
কুনট যে কার বুইঝতে লারি,
আমিই শালু ডবকা মাগী
বুইঝতে লারি মানহুষ বটি
নাকি শুধুই সম্পত্তি!
আকাশ শুধু গাঙাইং গেলে মাথায় ঢুকে
আজকে রাতেও ঘুম চৌপট,
খালি পেটেই পাতার ঘরের জলকে বাঁচি,
বচ্ছরকার পরবপিঠার সুবাসটুক্ও
কাটাইন পালায় এ গাঁয়ের তরসীমানা,
হে ভগমান! তুও ভালছি ভোটবাবুর দারমান হলি!
উপজাতীয় বা চেনা নেই এমন কোন সম্প্রদায়ের শব্দকথনে লিখায় দারুণ ফুটে উঠেছে প্রিয় সৌমিত্র। কখনও কখনও ভাবি এতো এতো আইডিয়া মাথায় রাখো কি করে !!
শুভসকাল। ভালো থাকা চাই।
অনেক ভালো লাগলো
উপজাতিদের জীবন ইতিহাস চমৎকার ফুটে উঠেছে।