পাহাড়ের জুমচাষীদের সাথে সমঝোতায় আসা গেল
তারা পাহাড়েই থাকবে, গরু চরাবে, ধান বুনবে
পুরুষেরা শম্বর শিকারের প্রস্তুতি নেবে
তাদের নারীরা সময় সুযোগে বাচ্চা বিয়াবে
তাদের ক্ষেতের ধানে আমরা মাড়া দিতে গেলে
তারা প্রতিবাদী হবে ধনুক আর তীরের বীরত্বে
কাছা বাধবে, বাঁশের বর্শায় ক্ষেতের শষা বেঁধে
বুক টান করে দাঁড়াবে, তফাতে দাঁড়িয়ে আমরা হাসব
আমাদের দেশপ্রেমিক সৎবাহিনী জানে
কিভাবে হানাদার প্রতিহত করতে হয়
তারা এও জানে কিভাবে হানাদার হতে হয়
রোমেল চাকমা হত্যায় তাদের বীরত্ব প্রস্ফুটিত
মাঝেমধ্যে জুমচাষীদের বাড়ি পুড়বে, পোয়াতি
নারীরা ধর্ষিত হবে, পুরুষেরা অক্ষম আস্ফালনে
অর্জুনের খোঁজে যাবে, নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির ওপারে
লাশ তড়পাবে, উত্তরসূরির অপেক্ষায় তারা বসে থাকবে
জুমচাষীদের সাথে একটা সমঝোতায় পৌঁছা গেছে
অন্যায়, অত্যাচারের বদলে আমরা ফেসবুক বিপ্লব করব
সামাজিক মাধ্যমে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জনের মাধ্যেমে
দেখাব সর্বোচ্চ মানবতা, তারপর আরামে নিদ্রা যাবো…
“অন্যায়, অত্যাচারের বদলে আমরা ফেসবুক বিপ্লব করব”
নির্মম সত্য তুলে এনেছেন কবি! শুভ কামনা সতত।
নতুন সংবাদ পড়লাম, রমেল চাকমা দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ধরতে গেছিল। তখন রমেল চাকমা পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে পাহাড় থেকে গড়িয়ে নীচে পড়ে যায়, এবং রাস্তায় এক বেবী টেক্সির সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হয়। পুলিশ আহত রমেলকে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। অবশেষে পুলিশ রমেল চাকমার মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। তার পিতা, কাকা এবং স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে রমেলের দেহ সৎকার করা হয়। পুলিশ অবশ্য উপস্থিত থেকে সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে সহায়তা দান করেন।
** তিন দিন আগে রমেল চাকমাকে নিয়ে যে সকল সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল, তার সবই মিথ্যে ছিল। তাড়াহুড়োয় সাংবাদিকগণ সঠিক তথ্য দিতে পারেন নি।**
** শুধু এটাই সত্যি, রমেল চাকমা মারা গেছে।**