জগন্নাথ
যিনি আমাদের জন্ম দিলেন
এবং তার চেয়েও চিরজীবী মৃত্যু দিতে সব সময় প্রস্তুত
সেই অপাপবিদ্ধকে প্রণাম
যিনি আমাদের চালেডালে মিশিয়ে খাওয়ালেন
আর দুমুহূর্তের মধ্যে আদেশ দিলেন কালান্তক ভেদবমি
সেই যমগন্ধবাহী উদ্দীপনাকে প্রণাম
যে আচার্য গরমকালে থোকা থোকা কারখানা বসিয়ে
বৃষ্টিকালে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে
এই শরতে তালা খুলে বাস্তুকারকে দেখাচ্ছেন
মেশিনের পেটে পাক দিয়ে ওঠা কাশফুল,
সেই হালকা বাতাস ও উপজাতি নৃত্যকে প্রণাম
কেননা, তিনি ভিক্ষুককে ভিখারি হতে আশীর্বাদ করেন
বোবাকে দেখান জিভ টেনে উপড়ে নেওয়ার ভয়
তারই দয়ায় হৃৎপাত্রে ভালোবাসা-অবিশ্বাস সমান সমান
মৃৎপাত্রে অশ্রুকণা-পায়েসান্ন সমান সমান
তাই জগন্নাথ হাতদুটিতে এক লক্ষ নমস্কার রাখি যদি
তো প্রশান্ত দুপায়ে সমকক্ষ ধিক্কার প্রণাম।
বরাবরই আপনার এমন অসাধারণ লিখায় আমি সম্মান রাখি।
শুভেচ্ছা প্রিয় চন্দন দা।