ঘুম ভাঙ্গেনি

স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছর পেরিয়ে গেল
ওহে বীর-বাঙ্গালি এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি!
বিচার হলেও অপরাধ প্রবণতা কমেনি
দেশে নারী-শিশুর জুলুম নির্যাতন বৃদ্ধি,
কখন জাগবে আগামীর বীর সেনা ?

বাংলার দামাল জেগে উঠ ন্যায়ের পথে
সমাজে যত অন্যায় দুর্নীতি নিমূল করো।
বাংলার স্থপতি পাইনি স্বাধিকারের সাধ
জাতি দমাতে ষড়যন্ত্র ছিল বিদেশী হাত,
বাংলায় দোসরের লিপ্সা আদৌ মেটেনি।

স্নায়ু সমরে ঘেরা বাঙ্গালি ও বাংলার মাটি
দেশে উন্নয়ন ঘিরে ষড়যন্ত্র বুঝেনা জাতি।
এক-এগারর সমস্যায় দেশে ডামাডোল
বন্যা-খরা, আইলা-সিডর প্রকৃতির চাপ,
দেশে মুক্তির নাই ফাঁক সবে দেয় ধাপ।

হে বীর বাঙ্গালি জেগে উঠ সময়ে হাল ধর
একাত্তরের রক্ত ঝড়া পীড়িত দেশকে গড়।
যুবকে কর্ম দাও মোচন করো ঘুষ কারবার
আগামীকে পথ দেখাও সত্য-ন্যায়ে চলার,
যখন দেশে সময় এলো খোলা জানালার।
-০-
১৬ আগস্ট ১৭ (সকাল-৯.১৫)

এম এ বাসেত সম্পর্কে

সাংবাদিক এম.এ. বাসেত গত ১৯৮৫ খ্রি. তেঁতুলিয়া সদরের বারঘরিয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. নিজাম উদ্দিন, মাতার নাম মোছা. আয়েশা খাতুন। পরিবারে ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। শৈশবে তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পাসের পর কালান্দিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা থেকে দাখিল/এসএসসি সমান বোর্ড পরীক্ষায় ১৯৯৯ খ্রি. দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৩ খ্রি. তেঁতুলিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচ.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে সাফল্যের সংগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৭ খ্রি. সালে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ পঞ্চগড় (পঞ্চগড় এম আর কলেজ) থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় ২য় শ্রেণিতে এবং ২০০৮ খ্রি. রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি শৈশবে কবিতা ও ছোট গল্প লিখার মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে অদ্যাবধি কাজ করে আসছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পাতায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। ইতোমধ্যে তাঁর অর্ধশতাধিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায়, শিক্ষা তথ্য পাবলিকেসন্স থেকে তাঁর লিখা ‘‘ লাল সবুজের পতাকা হাতে যুদ্ধা ফিরে ঘরে” এবং ”স্মৃতির কাছে’’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ সহায়তা নিয়ে ২০০১ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলায় জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স নামে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন। পরবর্তীতে উক্ত ট্রেনিং সেন্টারটিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার এডুকেশন (বিসিই) তেঁতুলিয়া শাখা হিসেবে রুপান্তর করেন এবং পরিচালক ও ট্রেইনার হিসেবে বেকার-যুবক/যুব মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মনির্ভরশীল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

1 thought on “ঘুম ভাঙ্গেনি

  1. আশার বাণী নিঃসন্দেহে। এর পরও কি আমাদের ঘুমন্ত প্রজন্ম জেগে উঠবে !!
    মেধা যেখানে সস্তায় বদল হয়ে যায় সেখানে সন্দেহ আছে এবং … সন্দেহ থেকেই যায়।

    ধন্যবাদ বাসেত ভাই।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।