শব্দের কুহক

বড় বেশী মদিরা এই শব্দের কুহক
বুকে নতুন খরা, নৈবদ্যের ঢোলক বাজে পিদিম জ্বলা রাতে
শশী হারা গিরগিটি ঠোঁট চাটে নীলাভ জিহ্বায়
শব্দের মর্মরে
বাঁশ বাগানে- পাতায় পাতায় নানান কথা;
বুকে বুক ঘেঁষে কেলিয়ে উঠে কর্কশ ধ্বনি-
গত রাতে এখানে দুর্ধর্ষ তিন যুবক মিলে ভোগ করেছে যে রমণী
আজ প্রভাতে তার শবদেহ নিয়ে গ্যাছে- পুলিশ এসে!
ওই তো- ওখানে কাশবনে পড়ে আছে ছেঁড়া ব্রা, ভাঙ্গা চুড়ি…
লোকে লোকারণ্য- ভিড়ের মাঝে নতুন নতুন শব্দ উৎপন্ন হয়!
মারাত্মক সব উচ্চারণে- মদিরার মতন ঝাঁঝ
নাড়ীভুঁড়ি বেরিয়ে আসার উদ্রেক!
অথচ আমি জানি এসবে কারো বিবমিষা তো দূর…
বরং অনেকেই রঙ ঢং মেখে হামাগুড়ি দেয় কাল্পনিক সম্ভোগে।
বেশ কিছুদিন চলে এই শব্দের লীলা
রক্তগ্রস্ত শব্দ,
মাংশগ্রস্ত শব্দ
কত কি গল্প- কাহিনীর জন্ম দেয়…

দাউদুল ইসলাম

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “শব্দের কুহক

  1. কবিতাকে অতিবাস্তব করে তুলেছেন আপনার অসাধারণ সব শব্দের সমাহারে। ক্ষুরধার আপনার মেধাশক্তি। বিনম্র সম্মান রাখি সব্যসাচী এই চেতনা বোধকে। অভিনন্দন স্যার। শুভ সন্ধ্যা। আশা করবো ভালো আছেন। শুভ সন্ধ্যা।  

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।