বাসনা কঞ্জু
মানব জনম যেন প্রেম আতুর ঘর। প্রেম দত্তক পায় বলা চলে। মাতৃকোলে সেই যে প্রেম সুধাপান। সেই সুধায় বেড়ে উঠে। চন্দ্র সূর্য রাত দিনে নিরব অভিমানে। ধরা তলে মায়া বাড়ে। প্রকৃতির সাথে খন্ড খন্ড মায়া। শৈশবের কৈশরের যৌবন মায়া। মানবিক সজ্জন মায়া। আত্মার আত্মীয় মায়া। অভিমান অভিসারের মায়া।
মানব প্রেম
মানব প্রেম সে তো প্রথাগত নিত্য
আলো হাওয়ার মতো সর্ব সহা
কারো গায়ে দোল লাগে তো দোলায়
না লাগলে দুলোনিতে মজে অর্হনিশি।
কদাচিত
কোন পথিক উর্দ্ধে উঠে প্রেম সুঁপে
জঁপে মুক্তির দানা বিলায় সোদা
মানব প্রেম সুধা রসে ভরা
মৃত্তিকা সুধাসনে অনুভূতির চর্চা গরে।
মানব খাঁচা
মানব শরীর খাঁচায়
এ কোন মননে তার বাস? মানব বলে কথা
কেউ বা সুচো কেউ বা পাজি কেই বা হন্তরক।
কেই আবার চালাক অতি
কেই চতুর ধুত্তু যাই বলি না কেন? মানব তো
মানব খাঁচায় একই জলতরঙ্গ ভরা।
তা হলে এত রুপ এক শরীরে
মন আর বাসনার কারুকাজ; না কি এসবের জট ক্ষুধা?
বাঁচার দাগিদে এমনি খন্ড রুপের খেলা।
বাতি ঘর
মানব প্রেম উর্দ্ধে অতি। এ শুধু প্রেমিক প্রেমিকার নয় বটে। সর্বগুনে উর্দ্ধ গগন মাঝে। যেন অবনী তার আর্শ্বিবাদের আলো ছুঁয়ে, ধন্য হয় তেমনি। শত নিষ্টার ক্ষুধার আকর পেরিয়ে যায় অবলীলায়। ক্ষদ্র ক্ষদ্র প্রেম তার মনে নাহি লয়। ধ্রুবতীর নন্দন নেশায় ছুটে। যেমন ছুটে কুস্তরী নাভির হরিণ। এ যে মন আর মননে আলোর বাতিঘর।
বাসনা চির হরিৎ
বাসনা কি ক্ষয়ে যায়?
খসে পরে নোনা ধরা ইট সুরকির মতো; তয় কোথায় বলে
বাসনা একটা সময় মরে যায়।
তাহলে তো শরীরের একটা অংশ
নুয়ে পরার কথা; কই তা তো প্রতিয়মান হয় না?
দেহ কাঠামো তো একই রয়।
এই শরীর খাঁচায় বাসনার জন্ম
আর থাকেও শরীরে মৃত্যুবধি; তাই বাসনা চির হরিৎ
ঢলে পরা সাঁঝেও রাঙা রসে আপ্লুত হয়।
১৪২৪/২৩ অগ্রহায়ণ/ হেমন্তকাল।
বাসনা কুঞ্জ … অসাধারণ সব গুচ্ছ কবিতার সমারোহ। বাসনা চির হরিৎ … বিশ্বাস করি।
বন্ধু আমার প্রাণের ভালোবাসা নিও।
এভাবেই চলুক আপনার ক্ষুরধার কলমখানি।
শ্রদ্ধেয় কবি জানবেন… শুভেচ্ছা সতত।
কবি আমার পৌষ ভালোাবাসা, জীবন সুন্দর হউক।
ভাল অনবদ্যতা। শুভেচ্ছা রাখছি আপনার জন্য।
কবিকে আমার শতত শুভকামনা।