ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে কাব্য হয় না। এই ক্রান্তি লগ্নে- কাব্য নিজেই কষ্টে আছে। দু’দিনের
বিলাস সাধনে ভ্রম হয়েছে। তার প্রমাণ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে- বিবমিষায়। কবি তবু দিব্যি ছিলো; যদিও সে অসীম ক্ষুধার্ত!…
পাড়ার যে বেওয়ারিশ কুকুর গুলো সারা রাত ঝগড়া করতো, উচ্ছিষ্টের বাগাড় দখলে। কবির কুলখানিতে তারা নিমন্ত্রিত অতিথি। অতিথি নারায়ণ। উজাড় অভ্যর্থনা, জমকালো
সম্ভাষণ। যত্ন আর্তির কমতি হলোনা!যদিও গ্রাসে- গোগ্রাসে গিলার পর ও তারা ক্ষুধার্ত!…
শহরের পুরনো পুঁথি বিতানে কবি, সাহিত্যিকের আনাগোনা বাড়ে সন্ধ্যের পর। আড্ডা জমে। পুরাধুনিক আর উত্তরাধুনিক আলোচনায় ঝড় উঠে কফির পেয়ালায়। পাশের টং দোকানের বেচা বিক্রিও বাড়ে। পাশের ল্যাম্পপোস্টে এক পাগলের আস্তানা। আজ বন্ধের দিনে সে পড়ে রইলো সারা বেলা- বেহুঁশের মতন। সবাই জানে পাগলের হুঁশ থাকেনা। দ্বিধা থাকেনা। পাগলের থাকে ক্ষুধা!…
চারদিকে এতো ভোজন আয়োজন। মানুষের ঢল। ঢেকুর ছাড়তে ছাড়তে- কবির
যে কবিতা ঘুরছিলো সবার মুখে মুখে, যে আলোচনা গম্ভীর করে তুলল শোকসভা কে,
লোকে জানলো না সে কবিতার কবিকে। …আর হুঁশ না ফেরা পাগল টি কে!
দাউদুল ইসলাম
২.২.১৮
অসাধারণ হয়েছে স্যার। শিরোনাম এবং লিখন বা পদাবলী এক কথায় লা-জবাব।
আমার শ্রদ্ধা গ্রহন করুন স্যার
অনেক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই
শুভ সন্ধ্যা
মুগ্ধ হলাম কবি দা। অতূলনীয়।
শুভ সন্ধ্যা প্রিয় দিদি
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রীতিময় শুভেচ্ছা ও ভালবাসা –