ভালোবাসার নদী

ভালোবাসার নদী

ভালোবেসে একটা নদী চেয়েছিলাম
যার পার ছুঁয়ে জেলেদের ঘরবাড়ি থাকবে,
সরল বিশ্বাসে পুরুষের শরীর পেতে দেবো সেই
চপলার কাছে। তোমার নদী নদী মন আমাকে ভাসাবে,
আমাকে ডুবাবে, জোয়ারে কাছে টানবে, ভাটায়
একটু দূরে ঠেলে দেবে, ঠিক নদী যেমন করে তার উপরে
ভেসে থাকা বারোয়ারি পূজার বিসর্জিত ভাসমান দেবীকে।

কিংবা খুব বরষায় দু-কূল ভাসানো জল আবার ফাগুনের শেষে
কিছুটা গভীরতাহীন। তোমার ভালোবাসা কোন গাঁয়ের বধূর
কলসিতে ছলাৎ ছলাৎ সুরে দিন শেষে ঘরে ফেরার ছবি দেখবো বলে
কত না রং বদলে দিয়েছি আকাশের নীড়ে,
নিজেকে বন্ধী করেছি শামুকের খোলসে, হৃদয়ের খুব কাছে
পরে থাকা শিউলি গুলো তুলে দেখিনি তোমাকে দেখবো বলে,
মেঘেদের ডাকে বাইরে বের হইনি একাকি কোন দিন;
শুধু দু-জন এক সাথে ভিজবো বলে।

তবু আজো আমি একাকি ভিজে চলি এক ছন্নছাড়া চাঁদের আলোয়,
গলিত জোৎস্না আমাকে দগ্ধ করে, মাকড়সার জালের মায়া বাঁধন
আমাকে ঠেলে নিয়ে যায় সময়ের শেষ প্রান্তে।

ঘরগেরস্ত চাঞ্চল্যে আজও তুমি বাগান সাজাও নিজ হাতে, আর
আমিও একটা ভালোবাসার নদী হতে চাই।

মেঘলাসুনীল দিনে যে নদী ভালোবেসে
চৌচির করে দিতে পারে তার দু- কুল সাজানো
শিল্পের কারুকাজ।

4 thoughts on “ভালোবাসার নদী

  1. মেঘলাসুনীল দিনে যে নদী ভালোবেসে
    চৌচির করে দিতে পারে তার দু- কুল সাজানো
    শিল্পের কারুকাজ।————অসাধারণ দাদা

  2. মানে অসাধারণ একটি কবিতা তো বটে সাথে প্রচ্ছটিিও অসাধারণ হয়েছে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  3. মাঝে মাঝে লিখলেও তো হয় মন'দা। লেখাটি অনেক ভাল হয়েছে।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।