বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানি কম-বেশি হওয়াতে গাছ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষা করে দেখুন টবের মাটিতে কী পরিমাণে পানি আছে। মাটিতে একটি আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিন। এক ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত যদি মাটি শুকনো থাকে, তাহলে বুঝতে হবে পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে গেছে গাছটি। দ্রুত এতে পানি দিন। এক ইঞ্চি নিচে যদি মাটি ভেজা থাকে, তাহলে হয় গাছটি যথেষ্ট পানি পাচ্ছে অথবা পানি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। শিকড় পচে গেছে কিনা বা পচা গন্ধ আসছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখুন।
পরিমিত পরিমাণে পানি দিন গাছে। দরকার হলে এমন একটি টবে গাছ নিয়ে নিন যাতে পানি নিষ্কাশন ভালো হয়। পানি যদি নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে অন্য কারণ দেখতে হবে। অনেক সময়ে গাছে পোকা-মাকড় আক্রমণের কারণেও গাছ অসুস্থ্য হয়ে যায়। মিলিবাগ বা স্পাইডার মাইটের মতো বালাই গাছে আক্রমণ করছে কিনা দেখুন। এগুলো খালি চোখে ধরা নাও পড়তে পারে। তবে এদের কারণে পাতায় ছোট ছোট ফুটো দেখা যায় বা মোমের মতো সাদা একটি প্রলেপ পড়তে পারে। এর হাত থেকে গাছ বাঁচাতে চাইলে ভালো করে পানি দিয়ে গাছ ধুয়ে নিন। আক্রান্ত পাতা ছেঁটে ফেলুন। এতেও কাজ না হলে নার্সারি থেকে কীটনাশক কিনে স্প্রে করতে পারেন।
ঘরে রাখা টব আসলে যথেষ্ট আলো পায় না। সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে সাধারণত টবটিকে শেলফে বা শোকেসে রাখা হয়। মাঝে মাঝে এই গাছটিকে রোদে রাখা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা গাছটিকে রোদে রাখুন বা তার গায়ে রোদ পড়ার স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিন। মনে রাখবেন, আপনি রোদ পছন্দ না করলেও আপনার গাছটি কিন্তু ঠিকই তা পছন্দ করে।
টবের গাছগুলো বেশিরভাগ সময়েই শীত সহ্য করতে পারে না। আপনি যদি নিয়মিত এসি ছেড়ে রাখেন এবং গাছটিও এসির বাতাসেই থাকে, তাহলে গাছ হলুদ হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এসি রুমে রাখা গাছ খুব ঘন ঘন পানিও দেয়ার দরকার নেই। এসব বিষয় বিবেচনা করে গাছটিকে এসি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন।
গাছের পুরনো পাতা যদি হলুদ হয়ে যায় এবং নতুন পাতা খুব হালকা হলুদ হয়, তাহলে এটা নাইট্রোজেনের অভাব হতে পারে। এক্ষেত্রে ইউরিয়া বা অন্য কোনো নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ সার দিতে পারেন। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে সার দেবেন। অতিরিক্ত সার দিলে গাছ মরেও যেতে পারে।
বেশ উপকারি লেখা গাছ প্রিয়দের জন্য।
গাছ না থাকলে আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে না। ধন্যবাদ লেখাটা পড়বার জন্য।
খুব সুন্দর ও প্রয়োজনীয় লেখা। ঝরঝরে গদ্য।
ধন্যবাদ,, কৃতজ্ঞতা
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুরাইয়া নাজনীন।
ধন্যবাদ ভাইয়া,, কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন
গাছগাছালি আমার খুবই প্রিয়। যে দেশেই যাই সেখানকার গাছের প্রতিই আমার দৃষ্টি আগে পড়ে। টবে বা বাড়ির সামনে ফুলের গাছ বা বাগান করা আমার একটা নেশা। গাছের কাছে আমি সারাদিন বসে থাকতে পারি।
এদের যত্নের পোস্ট খুবই সুন্রর একটা প্রয়াস। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

আপনাদের অনুপ্রেরণায় লেখার আগ্রহ পায়। অশেষ ধন্যবাদ
চমৎকার পরামর্শ দিদি ভাই।
দারুণ।
সুন্দর সত্য ও মহতী লেখা। ভালো লাগলো।
জীবনের সকল অনুকরণের বৈচিত্রময় দারুণ প্লাটফর্মের চিরন্তন বাস্তবতা।