জলপাহাড়ে ঘর
কেউ গেয়ে যাচ্ছে ক্লান্তকণ্ঠে, বনজ সঙ্গীত। মন্দ
লাগছে না এই কোলাহল, পাতার পৃথক ভাষা,
সূর্যের বিবৃতি। পাহাড়ের প্রান্ত ছুঁয়ে জেগে উঠছে
যে প্রেমকণা- তাকে গ্রহণানন্দে, ভিজে যাচ্ছে প্রেমিকার চোখ।
এই শহরে যারা সাঁতার জানে না, তারাও ভাসতে এসেছে আজ
যারা কখনও পড়েনি, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনি, তারাও
বাঁশি হাতে নিয়ে দিচ্ছে ফুঁ- শিখতে চাইছে বিরহ নৈবেদ্য।
এই জলপাহাড়ে ঘর সাজিয়ে, কতকাল করেছি যাপন
অথচ ভিজি’নি কখনও, কার্তিকা দুপুরে। এমন কারও
সাথে দেখাও হয়নি আমার, যাকে গল্প বলা যায়-
অথবা তার কাছ থেকে শোনা যায় এমন কোনো গল্প,
যে উপাখ্যানের শেষে জলের ঝাপটা নেই,
পাহাড়ের অশ্রুপাত নেই।
সুন্দর কবিতা।
হৃদয়গ্রাহী লেখা
দারুণ কবিতা উপহার।
অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। সালাম।
* অনেক মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম কবি। শুভরাত্রি।