“শয়তান এখনো দুষ্কর্ম সাধনের জন্য অলস হাত খুজে পায়।”
যেমন এখন এই মুহূর্তে খুঁজে পেয়েছে আমার হাতকে। এখন লিখবো আলস্যের কথা, আলস্যের পক্ষের কথা।
একজন ব্যাক্তির কথা ভাবুন যার বাঁচার মত যথেষ্ট সঙ্গতি রয়েছে। তবুও তিনি আলসেমী না করে প্রতিদিন কিছু কাজ করতে চান, যেমন স্কুল শিক্ষক, বা অফিস সহকারী ইত্যাদি। একটু চিন্তা করলেই দেখতে পারবেন তিনি কিন্তু একজনের মুখের ভাত কেড়ে নিচ্ছেন। অতএব তিনি একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তার উচিত ছিলো কোনো প্রকার কাজ না করে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আলস্যকে উপভোগ করা। এতে করে অন্য আরেক জন, যার খাদ্যের প্রয়োজন তার কর্মসংস্থান সহজ হতো, সেই সাথে সরকারেরও কর্ম সংস্থান নিয়ে এতো মাথা ব্যথা থাকতো না।
উপরের অংশটুকু থেকে এতোটুকু ঠিক ঠিক বুঝা যায় যে- “একজন ব্যাক্তি যতটুকু আয় করেন, তার সেই আয় দ্বারা তিনি ঠিক ততটুকুই অপরের মুখের আহার্য কেড়ে নেন।”
কিন্তু!
হেঁ কিন্তু, আপনি যতটুকু আয় করলেন ততটুকু যদি ব্যয় করে ফেলেন তাহলে আপনি দুষ্টু প্রকৃতির লোক নন। কারণ আপনার ব্যয় যতটুকু ঠিক ততটুকুই অন্য অপর আরেক জনের আয়।
তাই এই আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে “যে ব্যক্তি আয় করে সে দুষ্টু প্রকৃতির নয়, বরং যিনি আয় করে সেই আয় সঞ্চয় করে রাখে, অর্থাৎ ব্যয় করেন না তিনিই দুষ্ট প্রকৃতির লোক।”
অর্থাৎ আপনি যখন সঞ্চয়ের জন্য আয় করছেন তখনই অন্য আরেক জনের মুখের খাবার কেড়ে নিচ্ছেন। তাই কতটুকু কাজ করবেন ভেবে চিন্তে ঠিক করুন।
এখানে বলা দরকার কাজ কি? এবং কাজ কত প্রকার?
কাজ দুই প্রকার।
মোটা দাগে প্রথমটি হচ্ছে – পৃথিবীর উপরিভাগে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনই হলো কাজ।
আর দ্বিতীয়টি হলো – অপরকে প্রথম কাজটি করতে বলা।
প্রথম কাজটি কষ্টকর ও বিরক্তিকর, আর তার জন্য প্রারিশ্রমিকও অনেক কম পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় কাজটি অত্যান্ত মজাদার এবং এর জন্য বিরাট প্রারিশ্রমিক পাওয়া যায়, যদিও এর জন্য কোনো পরিশ্রম করতে হয়না বললেই চলে।
বি.দ্র. : “বার্ট্রান্ড রাসেল”-এর “আলস্যের জয়গান” নামক বই এর প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশবিশেষ আমার মত করে উপস্থাপন করলাম।
বক্তব্য এতোটাই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে মাঝেমধ্যে খেই হারিয়ে ফেলছিলাম। দারুণ শেয়ারিং ছবি দা। ব্রিলিয়ান্ট প্রেজেন্টেশন।
বইটা পড়ার সময় আমার অবস্থা ঠিক এমনটাই ছিল।
লগিন করতেই হলো।
আলস্যের জয়গান ফর্মূলা কিন্তু নেহায়েত মন্দ নয়। 
বক্তব্যের যুক্তিটা আমাকে বেশী আকর্ষণ করেছিল।
প্রচ্ছদ বাছাই এবং বিষয় নির্ধারণ আমার কাছে আপনার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুললো।
বিষয়টা জানতে পেরে ভাল লাগলো।
আসলে আমি একটু প্রাচীনপন্থী লোক।
দারুন লাগল
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
* অভিভূত…


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য