ক্যান্সার সারবে যেসব মসলায়
আমাদের দেশে রান্নার সময় নানা ধরণের মসলার ব্যবহার বহু প্রাচীন। এই সব মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে স্বাস্থ্যেও অনেক উপকার করে থাকে। এছাড়াও কিছু মসলা আছে যা ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধে কাজ করে।
ঝাল স্বাদের এই খাদ্যে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে। অবশ্য অতিমাত্রায়া ঝাল খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা। ক্যাপসিকামের উপাদান লিউকোমিয়া টিউমারের কোষকে বাড়তে দেয় না।
আদা
আদা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল কমায়। খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এর উপাদান।
ওরেগানো
এই মসলাটি সম্পর্কে অনেকেই বেশি কিছু জানেন না। আমরা যে পিৎজা বা পাস্তা খাই তাতে ব্যবহার করা হয় ওরেগানো। এটি খাবারের স্বাদ বহু গুণ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মাত্র এক কাপ ওরেগানোতে কোয়ারসেটিন থাকে যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে এমন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
দারুচিনি
আমাদের দেশে যে মসলাটি রান্নায় সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হলো দারুচিনি। মাত্র অর্ধেক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া খেলে আপনি ক্যান্সারমুক্ত থাকতে পারবেন। এই মসলাটি টিউমার বাড়তে প্রতিরোধ করে।
জিরা
জিরাও কিন্তু শরীরের জন্য খুব উপকারি একটি মসলা। যা খাবার হজমে অনেক সাহায্য করে। এছাড়া জিরায় থাইমোকুইনন নামের উপাদান রয়েছে, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
জাফরান
এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ক্যারোটেনয়েড ডিকার্বোক্সাইলিক এসিড, যার নাম ক্রোসেটিন। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে খুব ভাল একটি উপাদান। জাফরান বা সাফরন ক্যান্সার টিউমারের আকারকে প্রায় অর্ধেকে করে দিতে পারে অল্প সময়ের মধ্যে।
হলুদ
ঝাল যেকোনো খাবারে হলুদের ব্যবহার না হলে কি চলে। একটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, এর পলিফেনল উপাদান প্রোস্টেট ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর।
শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন।
উপকার পাওয়ার মতো পোস্ট। শুভেচ্ছা দিদি ভাই।
এই খাবার গুলোন নিশ্চয়ই পরিমিত হারে ব্যবহার বা গ্রহণ করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
জানা হলো অনেককিছু। যা আগে জানা ছিল না।