পবিত্র চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)

ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ষষ্ঠ দিবস
পবিত্র চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)
১২ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯

প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা, অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। হতে পারে তা আপনার সন্তানের, মায়ের অথবা প্রিয়জনের। ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার ষষ্ঠ দিনটি কিস ডে হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে। কিস ডে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালিত হয়। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাত্পর্য রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে কিস ডের একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, যেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ হয়। গত বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।

গতকাল ছিল চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)। এবার তাহলে একটু অভিনব হন। বেছে নিন আপনার পছন্দের কিস। পার্টনারকে দিন সারপ্রাইজ কিস আর উভয়ের ভালবাসার নিবিড় বন্ধনে শুরু হোক দিনটি।

কিস-এর প্রকারভেদ। 1. এসকিমো কিস, 2. ফ্রেঞ্চ কিস, 3. সিঙ্গল লিপ কিস, 4. ইয়ারলোব কিস, 5. বাটার ফ্লাই কিস, 6. স্পাইডারম্যান কিস, 7. লঁজারি কিস, 8. লিজার্ড কিস, 9. ভ্যাম্পায়ার কিস ও 10. এঞ্জেল কিস

1. এসকিমো কিস:
কিস করার সময় যদি পরস্পরের যখন নাক ঘষাঘষি হয়। এই কিস খুবই স্নেহপ্রবণ।

2. ফ্রেঞ্চ কিস:
প্যাশন ও রোমান্স বোঝানোর জন্য সবচেয়ে ভাল ফ্রেঞ্চ কিস। এই কিসে জিভের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

3. সিঙ্গল লিপ কিস:
এই কিসে একটা ঠোঁটের উপর একটা রেখে স্যান্ডউইচ করা হয়।

4. ইয়ারলোব কিস:
কান বা ইয়ারলোবে কিস। এই কিস সবচেয়ে রোম্যান্টিক ও অন্তরঙ্গ।

5. বাটারফ্লাই কিস:
চুমুর সময় খুব কাছাকাছি চলে এলে পরস্পরের চোখের পাতা একে অপরকে ছুঁয়ে থাকে। একে বলা হয় বাটারফ্লাই কিস। এমন চুমু খেয়ে সঙ্গীকে মোহাচ্ছন্ন করে দিতে পারেন।

6. স্পাইডার ম্যান কিস:
স্পাইডার ম্যান ছবি দেখেছেন? ঠিক ধরেছেন। দুই সঙ্গীর মধ্যে একজন আপসাইড ডাউন থাকলে তাকে বলা স্পাইডার ম্যান কিস।

7. লঁজারি কিস:
অনেক ক্ষণ ধরে গভীর ভাবে লিপ টু লিপ কিসকে বলা হয় লঁজারি কিস।

8. লিজার্ড কিস:
হট কিস বলতে যা বোঝায় তা হল লিজার্ড কিস। পরস্পরের জিভের স্ট্রোকে এই কিস হয়ে ওঠে উপভোগ্য।

9. ভ্যাম্পায়ার কিস:
গলায় গভীর চুমু। সঙ্গে কামড়। অত্যন্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের জন্য তোলা থাক ভ্যাম্পায়ার কিস।

10. এঞ্জেল কিস:
এই চুমুর অভিব্যক্তিতে গভীর ভালবাসা ও স্নেহ জড়িয়ে রয়েছে। চোখের পাতায় আলতো চুমু।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

কবিতার আসর কাব্যমেলা ব্লগের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই বিগত পবিত্রতম চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

চুম্বন দিবসে জানি কিস দিতে হয়,
কিস দিলে জাগে প্রেম কহিনু নিশ্চয়।
চুম্বন দিবসে তাই আজিকার দিনে,
প্রিয়া নাহি খুশি হয় চুম্বন বিহনে।

চুম্বন মহিমা তত্ব করিব বর্ণন,
সেই জানে পেয়েছে যে প্রিয়ার চুম্বন।
সবাকার রুচিভেদ বিবিধ প্রকার,
চুম্বন চুম্বক সম কহিলাম সার।

ট্রামে ট্রেনে বাসে কারে অথবা মেট্রোয়
সকলেই করে কিস দেখে লাগে ভয়।
বলিহারী এই দেশ! কি কহিব কথা?
পাশ্চাত্য অনুকরণ এদেশে সর্বথা।

তরুণ তরুণী যুবা, সবে কিস খায়,
লক্ষ্মণ লজ্জায় লিখে তার কবিতায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “পবিত্র চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)

  1. ভাল শেয়ারিং দাদা। আপনাকেও আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক। শুভেচ্ছা। :)

  2. আপনার পোস্ট সাজানোর কৌশল অসাধারণ। আমার কাছে ভালো লাগে মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। সর্বোপরি শব্দনীড় এর পাশে থাকুন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  3. হ্যাপি কিস ডে বিষয়ে অনেককিছু জানা হলো। সাথে জানলাম, বহুরকমের কিস এর ফলাফল বিষয়েও। অনেক ভালো লাগলো আপনার করা কিস বিষয়ক পোস্টখানা পড়ে। ধন্যবাদ অজস্র। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।