বিশ্ব ভালবাসা দিবসে

ভাল লাগা থেকেই ভালবাসার সৃষ্টি। মানুষের মাঝে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে রূপ নেয় ভালবাসায়। তবে ভালবাসার সংজ্ঞা অনেকের কাছে অনেক রকম। কেউ ভালবাসা বোঝাতে কেবল পরিবারের প্রতি ভালবাসাই বোঝায়। ভালবাসার কোন সীমানা নেই। তবে আমাদের মাঝে মাঝে বুঝতে ভুল হয় যে কাউকে ভাললাগা মানে ভালবাসা। একটু লক্ষ্য নিয়ে পছন্দের মানুষটিকে পর্যবেক্ষণ করুন। দেখবেন এর জবাব খুব সহজেই পেয়ে গেছেন। ভালবাসা নিঃস্বার্থ আর আবেগ স্বার্থপর. আপনি যখন কাউকে ভালবাসবেন তখন সেই কেবল হবে আপনার চিন্তাশক্তির মালিক। তার ভাললাগা মন্দ লাগা আপনার কাছে বিশাল ব্যাপার হবে।

আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। ভারতবর্ষ সহ সমস্ত পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে নব কলেবরে পালিত হচ্ছে পবিত্র ভালবাসা দিবস। ভালবাসা মানে প্রেম আর প্রেম মানে প্রতিশ্রতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস। এই পবিত্র ভালবাসাই আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে। ভালবাসার দাম অনেক, তাই দামী দামী গোলাপ কিনে প্রেমীরা তার প্রিয়জনদের গোলাপ উপহার দেয়। কিন্তু গোলাপ তো আমরা দিই, কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনটা দুঃখময় হয়ে যায় । অবসাদ, বিরক্তি ঠিকভাবে খুশিতে থাকতে দেয় না। কারণ খুশিতে থাকতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে কিছু দেওয়া নেওয়া, তা সে শুভ্র ধুতুরা ফুল হোক বা রক্ত গোলাপই হোক। আর তাহলে প্রগাঢ় হবে ভালবাসা, তাহলেই দৃঢ় হবে আত্মবিশ্বাস, সুন্দর হবে দুটি মন, দুটি হৃদয়।

শব্দনীড় -এর সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই বিগত পবিত্রতম আলিঙ্গন দিবস (হ্যাপি হাগ ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে বাংলা কবিতার জয় হোক,
বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান।
আমার, আপনার, সবার জন্য ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভালবাসা দিবসে গোলাপ বিনিময়,
দুটি মন এক হয় অভিন্ন হৃদয়।
গোলাপের ভালবাসা চিরস্থায়ী হয়,
প্রিয় হলে তারে সবে ভালবাসা কয়।

গোলাপের বিনিময়ে হয় ভালবাসা,
মনে জাগে নব প্রেম নব নব আশা।
প্রেমের গোলাপ যদি দেয় প্রিয়জনে,
বিনিময়ে হৃদয়ের ভালবাসা কেনে।

ভালবাসা বাজারেতে হৃদয় বিক্রয়,
কাঁটাযুক্ত গোলাপের বিদীর্ণ হৃদয়।
ভালবাসা কাঁটা হয়ে যদি বিঁধে যায়,
আত্মহত্যা ছাড়া আর অন্য পথ নাই।

কাঁটা ভাবি চিন্তা সবে কর অকারণ,
গোলাপ বিহীনে ব্যর্থ মানব জীবন।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে

  1. আমার, আপনার, সবার জন্য ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিন।
    জয়গুরু! শুভেচ্ছা অভিনন্দন মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। শুভ সকাল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র। মানসিকতা থেকে দূর হোক পণ্কিলতা। আনন্দময় হোক সমগ্র পৃথিবী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।