এক জোড়া দূরবীন চোখ তাকিয়ে আছে
ফুটপাতে বেরে ওঠা ঐ টং দোকানের পরে,
পড়নে তার ছেঁড়া প্যান্ট আর ছেঁড়া জামা
বয়সের খাতায় বড়জোর ৫ কি ৬ জমা
হাড্ডিসার দেহতে ক্ষুধার্ত পেটের ওঠানামা
কৌতুহলী মনে জানলাম তার নাম সোমা ৷
কোথায় তার বাবা এটা জানেনাকো সোমা,
কোনো পুরুষের এক রাতের ফসল সোমা
এটাও সে জানেনা লোকমুখে তার শোনা,
স্বামী আসবে এই অাশায় মরেছে সোমার মা ৷
নিষ্ঠুর এ পৃথিবীতে আপন কেউ নাই সোমার
মাথা গুঁজবার এক ইঞ্চিও জায়গা নাই তার,
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা সমাজ কি নিবে ভাড়
প্রশ্ন ভাসছে সে মলিন চোখ, মুখে সোমার ৷
কি ভাবে তুমি জোগাড় করো তোমার আহার ?
মলিন মুখ আরো মলিন হয়ে গেলো সোমার
দূরবীন চোখে তাকালো টং দোকানে আবার
হটাৎ চিলের মতো ছোঁ মেরে ফিরলো আবার,
হাতে একটা শুকনো রুটি দেখলাম সোমার
বললো এই রুটিই তার সারাদিনের আহার
আর মাঝে মাঝে ডাস্টবিনের পঁচা খাবার ৷
… বললো এই রুটিই তার সারাদিনের আহার
আর মাঝে মাঝে ডাস্টবিনের পঁচা খাবার ৷
বর্তমান সমাজের বাস্তবতা
বেদনা বিধুর প্রকাশ ।শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয়
ভালোবাসা অহর্ণিশ প্রিয়
সোমার সাক্ষাতকার হৃদয়স্পর্শী।
জানা অজানা অসংখ্য সোমা আমাদের আশেপাশে।
এটা আমাদের বর্তমান সমাজ
আমাদের সমাজের ছিন্নমূলের স্বীকারোক্তি। একবিংশ শতাব্দীতেও এই বর্তমান আমাদের রয়ে গেছে।
এটা আমাদেরই ব্যর্থতা
সোমা'রা ভালো থাকুক।
সোমার সাক্ষাতকার পড়লাম।
বেশ ভাল