সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে শাহবাগ ফুল বাজারের কাছে সিগনালে গাড়ি দাড়িয়েছে আর দেখলাম আমার জানালার পাশে দিয়ে মলিন মুখে এই ছেলেটা মুখে ব্যান্ডেজ আর হাতে ফুল নিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনারা যারা ওই পথে যাতায়াত করেন তাদের কেউ হয়ত ওকে দেখে থাকবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির দরজা খুলে ওকে ডাকলাম।
নামঃ কালাম, বাবা রিকশা চালায় এবং আরেক মাকে নিয়ে থাকে। ও কখনও গেলে তাড়িয়ে দেয়। ঘরে ঢুকতে দেয় না। নিজের মা নেই। কয়েক দিন আগে এই রাস্তায় ফুল বিক্রির সময় এক গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পরে গিয়ে এই অবস্থা। গায়ের জামা খুলে আরো কিছু ব্যান্ডেজ দেখাল। দেখাবার সময় ব্যাথায় মুখ বিকৃত হয়ে গেল। চেয়ে চেয়ে দেখলাম। মায়ের সোহাগ পায়নি। বাবার স্নেহ বঞ্চিত এই কালাম কি অপরাধে এই জীবন বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে?
সড়ক দূর্ঘটনায় ওদের জন্য কোন কমপেনসেশন নেই। ওদের রুটি রুজী বন্ধ হয়ে যাবে।
সড়ক দুর্ঘটনা বা এমনি কত ঘটনার সাক্ষী এরা তার ইতিহাস খুজে দেখা দুসাধ্য।
বাবার স্নেহ বঞ্চিত এই কালাম কে এই জীবনের বোঝা বয়ে যেতে হবে।
নিজেকেই বয়ে যেতে হবে।
কালাম এর জন্য একরাশ দোয়া ছাড়া কিছু কি করার আছে !!
দোয়া ওদের জন্য বিশেষ জরুরী।
পথে প্রান্তরে এমন কত শত দৃশ্য চোখে পড়ে। ওদের জন্য আশীর্বাদ কবি।
তাই বলি, প্রয়োজন না থাকলেও ওদের কাছ থেকে ২/১টা ফুল কিনে একটু সাহায্য করা যায়।
ভালোবাসা রাখি ওদের জন্য খালিদ ভাই।
ভালবাসুন এবং সুযোগ পেলে ওদের কাছ থেকে ২/১ টা ফুল কিনুন।