নিভৃতের দুঃখ// রুকসানা হক

কেউ তো জানেনা…..
বিছানার পাশে কাঁচের জানালা খোলা
তার ওপাশে আকাশ ছিল যে নীল,
ইটের দম্ভ ধূসর মাটিকে ছুঁয়ে
আকাশের বুকে এঁটে দিলো যেই খিল;
সুপারীর সিঁথি ঢাকলো দুখের পালকে
বর্ষাতি রঙ রামধনু এঁকে দিলোনা,
ইট পাথরের কর্কশ ধ্বনিগুলো
ঘাসফড়িংএর উল্লাস মেখে নিলোনা।

২)

কেউ তো জানে না……
সেদিনই আমার ঘুঘুর সুরটা হারায়,
জোনাকির চোখ নিলামের ডাকে পালায়।
উঠোন পেরুলে ছিল তো সবুজ জমি,
এমন রূপটা জীবনে দেখেছি কমই।
শীতের সকালে সোনালী ধানের সাথে
দু’চোখ আমার ভিজতো সুখে যে তাতে।
এপাশে দালান আকাশ সমান হলেও
ওপাশে কিষাণী সুখে থাকে নানা ছলেও।

27 thoughts on “নিভৃতের দুঃখ// রুকসানা হক

  1. 'তমসা দীপ্তলোকের জলশয্যায়; সাঁঝ প্রসূতি তুমি নও … তুমি অপেক্ষারত বিষণ্ণ প্রকৃতি।' আমার আজকের এফবি স্ট্যাটাসটি আপনার সাথে শেয়ার করলাম কবি। :)

    1. চমৎকার শেয়ার । আমাদের নিঃশ্বাস আটকে আছে ইটপাথরের কঠিন অবয়বে । বাক্সের মতো মাথাকাটা অট্টালিকাগুলো যেন বাতাসের জীবন্ত সমাধি ।  ধন্যবাদ আপনাকে ।   

    2. আপনাকেও শুভেচ্ছা কবি রুকশানা হক। শুভ সকাল। :)

  2. নিভৃতের দুঃখ গুলো সবচে বেশী আপন। এর নাগপাশ থেকে মুক্তি নেই। শুভেচ্ছা নিন কবি আপা। 

    1. আসলেই তাই। বিশুদ্ধ আলো বাতাসহীন জীবন থেকে মুক্তি নেই কারোরই ।  শুভেচ্ছা আপনাকে।      

  3. সুপারীর সিঁথি ঢাকলো দুখের পালক। বা্হ দারুণ একটি উপমা কবি বোন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. আমার পাশেই ন'তলা অট্টালিকা গড়ে উঠেছে দাদা। জানালা দিয়ে আকাশটা আর ঢুকেনা আমার ঘরে । বাড়ির চারপাশের প্রফুল্ল সুপারীর পাতাগুলো কেমন মিইয়ে গেছে যেন। তাই লিখলাম  এ দুঃখগাঁথা। ধন্যবাদ আপনাকে ।  

  4. দুটোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত প্রথম কবিতাটি বেশী টাচি মনে হয়েছে আপা। :)

    1. বাস্তবতার নিরিখে লেখাগুলো টাচি হয় আপু।  দু'টোই জীবন থেকে লেখা।  ভালবাসা অফুরান ।       

  5. ইট পাথরের এই শহরে কবিতা যেন কর্কশ ধ্বনি। 

    1. নাগরিক জীবন কিন্তু নাগরিক মনকে কষ্ট দিয়ে যায়। 

      শুভেচ্ছা আপনাকে।     

  6. সুপারীর সিঁথি ঢাকলো দুখের পালকে
    বর্ষাতি রঙ রামধনু এঁকে দিলোনা,
    ইট পাথরের কর্কশ ধ্বনিগুলো
    ঘাসফড়িংএর উল্লাস মেখে নিলোনা।

    চমৎকার কাব্য

    1. মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। ভালো থাকুন প্রিয় কবি। শুভেচ্ছা সতত        

  7. আপনার কবিতা লিখার চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন ধরনের। একটু খেয়াল করলে অনুধাবন করা যায় কবিতার বাকশৈলীতে কত কারুকার্য রয়েছে। যেমন:- এপাশে দালান আকাশ সমান হলেও,ওপাশে কিষাণী সুখে থাকে নানা ছলেও

     

    1. আপনার মন্তব্যের ধরনটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে । কবিতার পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময় ।          

    1. অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা       

  8. সুন্দর লিখেছেন কবি। পাঠ করে মুগ্ধ হলাম।
    সাথে থাকবেন। জয়গুরু।

    1. উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন সবসময়।       

  9. প্রকৃত দু:খ গুলো নিভৃতেইই থাকে, খুব অল্প কেউ জানে। অনেক সময় কাউকেই বলাও যায়না। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. সেই না বলা দুঃখগুলো কীবোর্ড ছাপিয়ে আপনাদের নজর কাড়লো। সুন্দর অনুভূতির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।           

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।