পালাকীর্তন ও বাউলগান নবম অধ্যায়
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
পালাকীর্তন গান
একজন কৃষ্ণ ভক্ত তার হৃদয়কে বৃন্দাবনরূপে পরিনত করে শ্রীকৃষ্ণের স্বাচ্ছন্দে বিহার স্থল করার জন্য। মহা উৎসাহের সঙ্গে উচ্চস্বরে কৃষ্ণ নাম জপ করতে করতে হৃদয় মার্জন করেন। এবং হৃদয়কে নির্মল ও শান্ত করে সেখানে শ্রীকৃষ্ণকে প্রতিষ্ঠা করেন। চিত্তদর্পন পরিমার্জনকারী, কৃষ্ণ কীর্ত্তন জয় চিত্ত বিহারী!!
হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র যিনি নিষ্ঠা সহকারে জপ ও কীর্ত্তন করেন তার চিত্তরূপ দর্পনকে মার্জিত ও নির্মল করে চিত্তকে আনন্দ প্রদান করে। যে যতবেশী হরিনামের নিকট নিজের হৃদয়কে যুক্ত করে,সে ততবেশী শুদ্ধ হয়। যেমন, লোহার রড আগুনের সংস্পর্শে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়। তেমনি শ্রীকৃষ্ণের নাম,রূপ,লীলা, গুণ কীর্ত্তন ও শ্রবন করলে মন ও চিত্ত বেশী বেশী পরিশুদ্ধ হয়। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে !
হরিনাম জিহ্বার স্পর্শমাত্রই দুর্বাসনা বিনাশপূর্বক প্রেম ফল প্রদান করে। যাদের জিহ্বায় পরমেশ্বর ভগবানের দিব্যনাম বিরাজ করে তারা যদি অত্যন্ত নীচ কুলেও জন্ম গ্রহন করে তবুও তারা শ্রেষ্ঠ।যেমন,লক্ষহীরা বাঈজি হরিনাম জপ করে উদ্ধার হন। জগাই-মাধাই ঘোর পাপী,হরিনাম করে উদ্ধার হন। রত্নাকর দস্যু রামনাম জপ করে মুক্তি পান।অজামিল নারায়ন নারায়ন বলে উদ্ধার লাভ করেন।
তেমনি আমরাও যদি সদা কলিযুগের একমাত্র ত্রাণমন্ত্র তারকব্রহ্ম নাম বা হরিনাম জপ,কীর্ত্তন,শ্রবন ইত্যাদি করি তাহলে আমাদের চোখ,কান,নাক, ত্বক,জিহ্বা সহ সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শুদ্ধ ও পবিত্র হয়ে শ্রীহরির কৃপাধন্য হতে পারবো। আর এটাই তো মানব জীবনের পরম প্রাপ্তি। তাই সকল সনাতনী বন্ধুদের আহ্বান জানাই,আর দেরী নয়, এখনই শুরু করি শ্রীহরির গুণগান ও হরিনাম জপ, কীর্ত্তন ও শ্রবন।পরমকরুনাময় সচ্চিদানন্দময় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিশ্চয়ই সবার জীবন মঙ্গলময়, কল্যাণময়,সুন্দরময় আর আনন্দময় করে রাখবেন নিরন্তর। হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!
শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পূর্ব বৃত্তান্ত
মা যশোদা আগের জন্মে ধরাদেবী ছিলেন। এক গরীব ব্রাহ্মণের পত্নী। তারা দুজনেই ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তাদের বাড়িতে অতিথি সেবায় চলত কেউ এসে খালি মুখে ফিরে যেতনা। কিন্তু তারা এতটাই গরীব ছিল নিজেরাই দুবেলা খেতে পারতনা। ভিক্ষা করে যা পেত তাই দিয়ে দিন চলে যেত। একদিন ভগবান নারায়ণ ও নারদ মুনি তার ভক্তকে পরীক্ষা করতে ধরাদেবীর বাড়িতে অতিথি সেবার জন্য আসে কিন্তু ধরা দেবীর কাছে খাওয়ানোর মত কিছু ছিলনা।তখন ধরা দেবী অতিথি রেখে তার স্বামীকে ভিক্ষায় পাঠিয়ে দিলেন। সারাদিন ভিক্ষা করে ও কিছুই পাননি। তখন ধরা দেবী গেল এক দোকানির কাছে ভিক্ষা চাইলে দোকানি কিছুই দিতে রাজি হলনা তারপরও ধরাদেবী হাল ছেড়ে দিলেন না অনেক অনুরোধ, কাকুতি, মিনতি করলেন তখন দোকানি রাজি হলেন চাউল দিতে কিন্তু একটা শর্তে তার বুকের একটি স্তন কেটে দিতে হবে। তখন একছুটে ধরা দেবী তার স্বামীর অনুমতি নিয়ে নেয়। তারপর তার একটি স্তন কেটে অন্ন নিয়ে এসে ভগবানের সেবা করেন। তখন ধরাদেবী দেখেন তার সামনে স্বয়ং ভগবান। ভগবান বললেন তোমার সেবায় আমি সন্তুষ্ট তুমি যেকোন বর চাও আমি তোমার মনের আশা পুরণ করব।তখন ধরা দেবী অশ্রুনয়নে বললেন- হে ভগবান পরজন্মে আমি যেন তোমায় পুত্র রূপে পাই।
শ্রী রাধে!! জগতে আমরা শান্তি সুখের অন্বেষণে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত, জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত হাহাকার করে বেড়াই, কিন্তু শান্তি পাই কি ? শান্তি পাই আর নাই পাই, সেজন্য মুহুর্ত সময়ও বিরত নই,বরং অবিরত নিত্য নূতনকে আলিঙ্গন করে শান্তির অন্বেষণে হা শান্তি!! হা শান্তি!! করে ইতস্ততঃ ছুটতে থাকি। আমরা বিষয় পরিজনে এরুপ সুখ স্বপ্নের আলেয়ার আলো কল্পনা করে শান্তির মনোরম বিচিত্র চিত্রের স্বপ্ন দেখে দৃঢ় আলিঙ্গনে কি জানি কি মোহমদিরায় ডুবে রয়েছি।
শান্তির আহাজারি পূর্ণতার আসনে আসীন হয় না। সুখ নামক সোনার হরিণকে ধরার জন্য বাতুলের মতো আমরা বিরামহীন ভাবে ছুটে চলি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি- আমাদের সমস্ত প্রয়াস কেন ব্যর্থ হয় ? তার কারণ নশ্বর জগতে শান্তি কিংবা সুখের মনোরথে নিজেকে ব্যস্ত রাখার প্রয়াস অজ্ঞতার পরিচায়কই বটে। নশ্বর বিকারময় পদার্থে শান্তি অন্বেষণ আর প্রজ্বলিত অনলে পিপাসা দূরীকরণ একই কথা। এই জন্য মানুষ আজ যা সুখ শান্তির আধার বলে কত কি স্বর্গসুখের কল্পনা করে থাকে,কিছুদিন পর আবার তাই নিদারুণ বজ্রস্বরূপ বুকে বিদ্ধ হয়ে সুখের নন্দন কানন শ্মশানে পরিণত করে দেয়।
কাল যে পুত্রহারা পিতামাতা হাহাকারে দিগন্ত প্রতিধ্বনিত করে মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিলেন- আজ সেই পিতা মাতা অপর ছেলের বিবাহের উৎসবে মগ্ন হয়ে নেচে উঠেন,কি আশ্চর্য!! যে যুবক,ভগ্ন হৃদয়ে শোকে দুঃখে মুহ্যমান হয়ে গৃহে ফিরলো; আদরনীয় পত্নী এসে সমবেদনায় সহানুভূতির অঞ্চলে যেই চোখের জল মুছে দিল,অমনি শত বজ্রাঘাতের ভিতরেও যুবকের কত কি শান্তি সুখ ফুটে উঠে!! কিন্তু এই শান্তি কতক্ষণের জন্য ? কিছুক্ষণ পরেই আবার কোথা থেকে এক ঝটকা বাতাস এসে সব কিছু এলোমেলো করে দেয়। হায়রে মোহ!!!
তাই মরণশীল বস্তুকে ভালোবেসে প্রকৃত সুখ কিংবা শান্তি লাভ করা সম্ভব নয়। আমরা যে ক্ষণিক সুখ অনুভব করি এটা প্রকৃত সুখের ছায়া মাত্র। কেবল মাত্র সমস্ত ভালোবাসার উৎস যিনি সেই সর্বস্বাক্ষী, সর্ববিরাজমান,সর্বক্ষমতার অধিকারি পরম প্রেমময় আমার শ্রীগোবিন্দকে ভালোবাসতে পারলেই প্রকৃত সুখ কিংবা শান্তি লাভ করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: journeyto892.wordpress.com
বাউল গান
প্রখ্যাত বাউল সাধক অনন্ত দাস বাউলের সাথে একটি সাক্ষাত্কার
সব খবর নিউজ পোর্টালের পক্ষ থেকে সমীর ঘোষ
ও ক্যামেরায় সন্দীপ দে।
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বাংলা সঙ্গীত জগতে বাউল গান এক আলাদা মাত্রা বয়ে চলেছে। বহু বাউল সাধক এই বাউল গানকে আজও লালন পালন করে চলেছেন। বাউল গান মাটির গান। জীবনের গান। জীবন থেকে উঠেআসা কথা ও সুর। আজ আমরা এমন একজনের মুখোমুখি হয়েছি যাঁর সুরেলা কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ আপামর সঙ্গীত প্রিয় মানুষ। তাঁর মধু মাখা সঙ্গীত জয় করেছে মানুষের হৃদয়। তিনি আর কেউ নন, প্রাখ্যাত বাউল সাধক অনন্ত দাস বাউল। আমরা আজ এসে হাজির হয়েছি অনন্ত দাসের বাড়িতে, যেটা নিমতলা আশ্রম নামে অধিক পরিচিত। আমরা যেমন তাঁর কন্ঠ সঙ্গীত শুনব, পাশাপাশি তার মুখে শুনব তাঁর সঙ্গীত জীবনের অন্তহীন পথ চলার কথা।
প্রঃ- আপনি কত বছর বয়স থেকে সংগীত চর্চা শুরু করলেন?
উঃ-২০-২১ বছর বয়সে। তাছাড়া এর আগে আমি যাত্রা, নাচের অপেরা করেছি। মৃত্শিতল্পী হিসেবেও কাজ করেছি। দুর্গা প্রতিমা গড়েছি।
প্রঃ- আপনি প্রথম কার কাছে গান শিখেছন?
উঃ- নিমাই দাস বৈরাগী। উনি আসতেন নদীকূলে। সেখানে সনাতন গোঁসাই এর বাড়ি। ওনার এক মানুষ করা ছেলেকে গান শেখাতে। তখন আমার মনে হলো বাউল শিখতে হবে।ছেলেটির এক মাসী ছিলেন। মাসি তখন আমায় বলে ঘুটে কুড়োনির ব্যাটা গান শিখবে? সেই জেদ থেকে আমার বাউল গান শেখা।
প্রঃ- যিনি ঘুটে কুড়ানীর ব্যাটা বলেছিলেন, তিনি এখন আপনাকে কিভাবে দেখেন?
উঃ- আমার মনে হয় কথাটি না বললে বোধহয় আমার বাউল গান শেখা হত না। আমি এক পশ্চিমের মহোত্সাবে গান করতে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক বড় বড় বাউল শিল্পী ছিলেন। আমি মাকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে। সেখানে ছিলেন নিমাই দাস বৈরাগ্য।তখন আমার গান দেখে, আমার মায়ের পায়ে ধরে বলেছিল, আমার ঘুটে কুড়োনির ব্যাটা কথাটি বলা ভুল হয়েছিলো। আজকে তোমার ছেলে কত বড় হয়ে গেল। আমার ব্যাটার কিছুই হলো না।
প্রঃ- এখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে একটা গানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে। আপনি যখন বাড়ির থেকে বাইরে গানের সাধনা করতেন, তখন আপনার বাড়ি থেকে কোন বাঁধা আসেনি?
উঃ- না,আমি নিমাই দাস, নরহরি দাস বৈরাগীর কাছে এবং মুর্শিদাবাদের যতীন দাস এর কাছে আমি গান শিখেছি। এবং শেষে দীনবন্ধু দাস অর্থাত্ গোষ্ঠ গোপাল দাসের বাবার কাছে আমি শিক্ষা নিয়েছি।
উঃ- গোষ্ঠ গোপালের বাবা হলেন আপনার গুরুদেব। আপনি হলেন আবার গোষ্ঠ গোপালের গুরুদেব। সেটি আপনার কেমন লাগে?
উঃ-ভাবতে ভালো লাগে। গোষ্ঠ গোপাল আমার বাড়িতে আসতো, থাকতো এবং ভিক্ষাও করতো। আমরা দুজনে একসঙ্গে মধুকরিও করেছি। এখন গোষ্ঠ গোপাল পশ্চিমবাংলায় এক জনপ্রিয় শিল্পী। আমাকে দীনবন্ধু বাবু বলেছিলেন অনন্ত তুমি এখানে রয়ে যাও।
প্রঃ- আপনি বর্তমানে স্টেজ শো করছেন। আপনি কবে থেকে এসব শুরু করলেন?
উঃ- আমার প্রথম স্টেজ কামারপুকুরে। আমি তখন আরামবাগের বাজারে একতারা নিয়ে গান গাইতাম। কানাই বাবু আমার গান শুনে আমাকে ওনাদের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ডাক্তার রাধাকৃষ্ণ পাল ,হুগলীর ডিএম এবং এডিএম ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে এডিএমের মেয়েও একটি গান করেছিলেন।
প্রঃ- আপনি কলকাতায় গিয়েছিলেন কিভাবে?
উঃ-সালটা বোধহয় ১৯৭৭ হবে। পশ্চিমের এক মহোত্স বে গান করতে গিয়েছিলাম।সেখানে দীনবন্ধু দাস ছিলেন। তিনি গান শুনে বলেন তোমার এত সুন্দর গলা। তুমি এখনো এখানে পড়ে আছে অনন্ত? আমার সঙ্গে কলকাতা চলো। ওখান থেকে সোজা কলকাতা গেলাম।
প্রঃ- আপনি আকাশবাণীতে গান করতে শুরু করলেন ১৯৭৭ এ সেটা কিভাবে সম্ভব হলো?
উঃ- আকাশবানীতে আমাকে সহায়তা করেছিলেন হরেন মুখার্জী। তিনি শ্যামল মিত্রর সাথে যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন। যেদিন অডিশন ছিল শ্যামলবাবু ডাইরেক্টরকে বলেছিলেন, এটা আমার ক্যান্ডিডেট একটু দেখবেন।
প্রঃ- আপনি আকাশবাণীতে কোন গানটি করেছিলেন?
উঃ- এ দেহ দিয়ে মাটি পরিপাটি…….
প্রঃ-কলকাতায় আপনি আস্তে আস্তে জায়গা করতে শুরু করেছিলেন, তাহলে কলকাতা থেকে চলে এলেন কেন?
উঃ-একটু হেসে হ্যাঁ, আমি কলকাতায় জায়গা করতে শুরু করেছিলাম। বহু বিখ্যাত গীতিকার, সুরকারের সান্নিধ্যে এসেছিলাম। কিন্তু মায়ের টানে, গ্রামের মানুষের প্রতি ভালবাসা, এবং মাটির টানে আমি আমার গ্রামে ফিরে এলাম।
প্রঃ-মাকে নিয়ে আপনি কোন গান গেয়েছেন? যদি একটু শোনান।
উঃ-মাগো তোমায় দেখি যেন আমার গানের জলসায়………
প্রঃ-একটা সময় আপনি দিনবদলের গান গাইতেন। সত্যিই কি দিন বদলেছে বলে আপনার মনে হয়?
উঃ-একটু হেসে হ্যাঁ, বদলেছে। আরো বদলাবে আশা রাখি।
প্রঃ-এখন আনাচে, কানাচে যেসব বাউল দেখা যায়, তারা কি প্রকৃত বাউল?
উঃ- একটু হেসে বললেন না সকলেই বাউল নয়। তবে কিছু কিছু বাউল। বাউল হতে গেলে বাউল এর চারটি ভাগ আগে জানতে হয়।
প্রঃ-বাউলরা অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু বর্তমান দিনে বাউলদের জীবন যাপন কেমন যেন বদলে গেছে। আপনি কি এর জন্য দিন বদলের গান গাইতেন?
প্রঃ- না। সকল বাউলের জীবন যাপন বদলে যায় নি। যারা সাধক বাউল তাদের জীবন যাপন একই আছে। কিন্তু বেশ কিছু বাউল তাদের জীবন যাপন বদলে ফেলেছে। তার কারণেই সাধক বাউলরা আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়ছে।
প্রঃ-বর্তমান সরকার লোক প্রসার শিল্পের জন্য ভাতা দিচ্ছে। এতে কি লোক শিল্পের প্রসার ঘটছে বলে মনে করেন?
উঃ-প্রসার ঘটেছে অনেক। যেটা কোনোদিন এই গানের জগতে ছিলনা, তারা নাম লিখিয়ে। ভাতা পাচ্ছে এবং তার এখন গানও শিখছে, গানও গাইছে। যদি বর্তমান সময়ে সরকার যেমন অডিশন নিয়ে, সেই শিল্পীদের ভাতা দিচ্ছে। যদি অনেক আগে থেকেই করা যেতো তাহলে আমার মনে হয় একটু ভালো হতো।
প্রঃ-আপনার কাছে বহু প্রথিতযশা শিল্পীরা আসেন, যাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখা যায়। কে কে এসেছেন আপনার কাছে?
উঃ-স্বপন, সাধন বৈরাগ্য, অশোক, মোনা খ্যাপা এবং আরো অনেকে। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকেও শিল্পী আসে যে দু’দিনব্যাপী আমি বাউল মহোত্সহব করায় সেখানে বহু শিল্পীর সমাবেশ হয়।
প্রঃ-জাপান থেকে শিল্পীরা বাংলায় এসে বাউল গান গাইছে। এটা কেমন অনুভূতি?
উঃ-খুব ভালো। বাউল তো এখন বাইরেই বেশি চলছে।
প্রঃ-বাউলের সাথে লোক সংগীতের পার্থক্য কোথায়?
উঃ-বাউল অন্তরের গান। যা বাংলার মা, মাটিকে নিয়ে গাওয়া হয়। আর লোক সঙ্গীত হলো কিছু রেকর্ডিং গান।যার মধ্যে নিজস্বতা নেয়।
প্রঃ-বাউলের সাথে ভাটিয়ালীর তফাত্ কোথায়?
উঃ-তফাত্ শুধু সুরের। ভাটিয়ালি বাংলাদেশের অর্থাত্ মূলত নদীকেন্দ্রিক গান। যেমন মাঝির গান, ভাওয়াইয়া।
প্রঃ-আপনার বয়স কত?
উঃ-ভোটার কার্ডে যা বয়স আছে তাতে কম। তবে আমার বয়স ৮৬ বছর।
প্রঃ-এ বয়সে এতো এনার্জি পান কোথা থেকে?
উঃ-সবই ওপরওয়ালার জোটানো।
প্রঃ-আপনারা বাউলরা উপরওয়ালার সাধনা করেন। আমরা যারা নিচে আছি তাদের নিয়ে কি বলবেন?
উঃ- উত্সা়হ দেবো। বলব যা করছো তা ভালো করে মন দিয়ে করো।
প্রঃ-সব বাউল কী জীবনের কথা বলে?
উঃ-না। সবাই না। তবে কিছু কিছু বাউল জীবনের কথা বলে।
প্রঃ-এতদিন সঙ্গীত সাধনা করে কি পেয়েছেন?
উঃ-নাম। মানুষের ভালোবাসা। যেটা একটা শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।
প্রঃ-আপনারা অর্থাত্ বাউলরা জন্মান্তরে বিশ্বাসী। আপনি পরজনমে কী হতে চান?
উঃ-এটা গানে গানে বলবো। আর জনমে আবার যেন আমি বাউল হইয়া……..
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ‘সব খবর’ এর পক্ষ থেকে আমাদের সময় দেওয়ার জন্য। আগামি দিন গুলোতেও আপনার সুরের ঝর্ণায় মোহিত হয়ে থাক আপামর সঙ্গীত প্রিয় মানুষ। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও বিনস্র শ্রদ্ধা জানাই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
তথ্যসূত্র: নিউজ dailyhunt
আগামীকাল পালাকীর্তন ও বাউল গান বিভাগের শেষ অধ্যায় প্রকাশিত হবে।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
পালাকীর্তন ও বাউলগান শীর্ষক নিবন্ধটি পড়লাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকেও।
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।
জয়গুরু!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ কবি ভাণ্ডারী দা।
মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম।
আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জয়গুরু!
নাইস শেয়ারিং।
মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম। প্রাণিত হলাম।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
জয়গুরু!
ধন্যবাদ মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। আপ্লুত হলাম।
আন্তরিক সশ্রদ্ধ অভিবাদন গ্রহণ করুন।
জয়গুরু!
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
মন্তব্যে বিমুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি বোন আমার।
আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জয়গুরু!
তথ্যবহুল ও উপভোগ্য পোস্ট!..
ভালবাসাও শুভেচ্ছা জানবেন
প্রিয়
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম কবিভাই আমার। ধন্যবাদ।
জয়গুরু!