মিয়ানমার : ০১
ঢাকাতে রাস্তা ও গাড়ী দু’টোতেই জ্যাম হয়, মিয়ানমারে গাড়িতে জ্যাম হয় রাস্তায় না। ঢাকাতে অটোমেটেড ট্রাফিকের ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো কোথাও কোথাও কখনও কখনও ব্যবহার করা হয়। ইয়াঙ্গুনে অটোমেটেড ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয় কখনও কখনও নাকি ম্যানুয়াল ট্রাফিক ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। ঢাকাতে দামী খাবার আছে তেমনি দামও বেশি নেওয়া হয়, ইয়াঙ্গুনে দামী খাবার আছে তবে দাম বেশি নেওয়া হয়না।
ঢাকাতেও দূর্নীতি আছে, আছে ইয়াঙ্গুনেও, ঢাকাতে দোকানি কোন ভাবে দাম বেশী নিতে পারলে সেগুলো হজম করার সমস্ত আয়োজন করে, ইয়াঙ্গুনে, দোকানিকে ভুল করে ক্রেতার স্বীকৃতিতে টাকা নিলেও ভুল বুঝতে পারার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ বিক্রেতাকে নিজ দায়িত্বে টাকা ফেরত দেয় (যদি সম্ভব হয়)।
ধর্মীয় গোঁড়ামি ইয়াঙ্গুনে আছে তবে আপনি ধর্ম বিশ্বাস না করলে ধর্ম বিশ্বাসী আপনার পাশ কাটিয়ে চলে যাবে, ঢাকাতে আপনি ধর্ম বিশ্বাস না করলে অন্য পাশ থেকে এসে ধর্ম বিশ্বাসীরা আপনার পাশ কেটে দিয়ে যাবে।
ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের ধনীরা বিপরীত ধর্মী হলেও দরিদ্ররা কিন্তু একই শ্রেণীর। ইয়াঙ্গুনে সকল নারীই এমনকি Big boobs থাকলেও বক্ষ ঢাকার জন্য অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার না করেই দিন রাত একা একা ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, এমনকি ধর্ষণ যৎসামান্য হলেও নারীর পোষাককে দায়ী করে পুরুষদেরকে পাপমুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় না। ঢাকাতে শিশু ধর্ষণ হলেও নারীদের পোষাককে দায়ী করা হয় এমনকি প্রেমিকের চরিত্র নষ্ট হলেও প্রেমিকার বক্ষ বেষ্টনীর সাইজকে দায়ী করা হয়।
ইয়াঙ্গুনের সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে- রোহিঙ্গাদের সরকার ও সাধারণ মানুষ বের করে দিতে না চাইলেও সেনাবাহিনী বের করে দিয়েছে, ঢাকার মানুষ না চাইলেও সরকার রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে।
অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক আলমগীর কবির। মিয়ানমার ভ্রমণ কন্টিনিউ করুন।
মিয়ানমার ইয়াঙ্গুন নিয়ে ভীষণ কৌতূহল ছিলো। আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।
অসাধারণ হয়েছে আপনার পোস্ট আলমগীর কবির ভাই। সম্ভব হলে আপনার অভিজ্ঞতা আরও শেয়ার করবেন। ঈদ মোবারক।
নিঃসন্দেহে দারুণ কম্পেয়ারিজম দাদা ভাই। ঈদ শুভেচ্ছা র'লো।
Please Continue.
সুন্দর পোস্ট।