লোভ-২

লোভ-১ এখানে:

গল্পের প্রথম পর্বের শেষাংশ:
বামনা খুশি হয়ে উঠানের একপাশে হাতমুখ ধুইতে গেলো। হাতমুখ ধুইয়ে ভগবানের ঘরের বারান্দায় জলচকিতে বসলো।

ভগবানের মা কিছু নাড়ু মুড়ির সাথে এক গ্লাস জল এনে দিলেন, নতুন অতিথি বামনার সামনে। ভগবানের বাবা দৌড় দিলেন নিকটস্থ বাজারের দিকে।
ভগবানের বাবার চিন্তা হলো, ‘নতুন অতিথি বাড়িতে এসেছে। অতিথি হলো দেবতুল্য নারায়ণ। আবার এই আধপাগল অতিথি হলো স্বয়ং ভগবান পাগল। এই ভগবান পাগল অতিথিকে অন্তত একবেলা হলেও সুন্দরভাবে সমাদর করতে হবে এবং বিদায় দেওয়ার সময় অতিথিকে নতুন জামাকাপড় দিয়ে বিদায় করতে হবে। তাহলেই ভগবান সন্তুষ্ট হবে।’
এই ভেবেই ভগবানের বাবা ঘরে জমানো কিছু টাকা পকেটে ভরে চলে গেলেন বাজারে।

এদিকে বামনা তাঁর সামনে অনেকগুলো নাড়ু মুড়ি দেখে মনে মনে ভাবছে, ‘মনে অইতাছে ভগবানের মায়-বাবায় এগুলো খাওয়াইয়া, আমার মন ভুলাইয়া খালি আতে বিদায় কইরা দিবো। যদি এমুন ভাব দেহি, তায়লে আমি ভগবানরে কুলে কইরা বাইত লইয়া যামুগা। বাইত নিয়া পূজা করুম! দেহি হেগো ভাব-নমুনা!’
এই ভেবে বামনা জলের গ্লাসটা হাতে নিয়ে ক’ফোঁটা জল হাতের তালুতে ঢালতে ঢালতে বলছে, ‘দেহেন গো ভগবানের মা, আমি খাওন দাওনের লোভে ভগবানের বাইত আহি নাই। আমি আইছি ভগবানের আশীর্বাদ পাওনের লোভে। অহনে আম্নেরা আমারে কি নাড়ু মুড়ি খাওয়াইয়া বিদায় করবেন? আমি কইলাম ভগবানের আশীর্বাদ লগে কইরা লইয়াই যামু। আশীর্বাদ ছাড়া খালি আতে যামু না। এইডা আম্নের ভগবানরে বুইজ্জা লইতে কইয়েন।’
এই বলেই নাড়ু মুড়ির থালার চারদিক হরি বলে জলের ছিঁটেফোঁটা দিয়ে খেতে শুরু করলো। ভগবানের মা সামনে দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখতে লাগলো, আর ভাবতে লাগলো।
ভগবানের মা ভাবছে, ‘সর্বনাশ! এ আবার কোন পাগল আইয়া আমাগো কান্দে ভর কইরা বসলো? অহনে এই পাগল বিদায় করতে অইলে ঝামিলা বাঝবো। দেহি, বাজার থেইক্কা ভগবানের বাপে আহুক! হের লগে বুদ্ধি কইরাই একটা কিছু করতে অইবো।’
ভাবতে ভাবতেই ভগবানের বাবা বাজার থেকে কিছু সদাই-সহ নতুন অতিথির জন্য একটা ধূতি, একটা পাঞ্জাবি কিনে বাড়ি আসলো। বামনা তখনো ঘরের বারান্দায় জলচকিতে বসে বসে নাড়ু মুড়ি খাচ্ছিল।
ভগবানের বাবা বাজারের ব্যাগটা ভগবানের মায়ের হাতে দিয়ে কানে কানে জিজ্ঞেস করছে, ‘পাগলের খবর কী?’
ভগবানের মা ভগবানের বাবাকে হাতে ধরে চুপিসারে নিয়ে গেলেন ঘরে ভেতরে। ঘরের ভেতরে নিয়ে আস্তে আস্তে বলছে, ‘আগো, এইডা যে-সে পাগল না-গো! এইডা আসলও ভগবানের পাগল! অহনে এই পাগল বিদায় করবা ক্যামনে?’
ভগবানের বাবা জিজ্ঞেস করলো, ‘এইডা তুমি কী কইরা বুঝলা?’
ভগবানের মা বললো, ‘কতক্ষণ আগে পাগলে কইছে, দেহেন গো ভগবানের মা, আমি খাওন দাওনের লোভে ভগবানের বাইত আহি নাই। আমি আইছি ভগবানের আশীর্বাদ পাওনের লাইগা। অহনে কি আমারে নাড়ু মুড়ি খাওয়াইয়া বিদায় করবেন? আমি কইলাম আশীর্বাদ ছাড়া যাইতাম না।’
এই কথা ভগবানের বাবা শুনে চিন্তায় পড়ে ভগবানের মা’কে জিজ্ঞেস করলো, ‘অহনে কি-ডা করন যায়?’
ভগবানের মা ভগবানের বাবা’কে বললো, ‘দেহি কী করন যায়! আগে পাগলের লাইগা কিছু খাওন দাওনের ব্যবস্থা কইরা লই, হের পরে দেহুম!’
এরপর ভগবানের বাবা বামনার সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো, ‘স্নান করবেন?’
বামনা বিরক্ত হয়ে বললো, ‘আরে দূর! আমি আইছি কিল্লাইগা, আর আমারে কয় স্নান করতে। আমি স্নান টান করতাম না। আম্নেগো ভগবান কই? হেরে আমার সামনে আইত কন! হের লগে আমার এট্টু বুঝাপড়া আছে। হেয় আমারে কিছু করে না ক্যা!’
বামনার এমন কথার পর ভগবানের বাবা বুদ্ধি করে বললো, ‘ভগবান হারা দুনিয়া দেখা হুনা করে। হের সময় আছেনি! হেয় আম্নেরে কইছে স্নান কইরা খাইয়া দাইয়া ঘরে যাইয়া বইতে। হেয় সময় মতন আইয়া আম্নের লগে দেয়া করবো। অন আম্নে যাইয়া স্নান কইরা আইয়া ভগবানের বাইত কিছু সেবা কইরা লন। হের পরে দেহেন ভগবান আহে কি-না?’
ভগবানের বাবার কথা বামনার মনোমত হওয়ায় বামনা বললো, ‘দেইক্কেন কইলাম! কামে কাইজে যহন মিল থাহে। দেন দেন, আমারে একখান গামছা আইনা দেন। আমি স্নান কইরা আহি।’
বামনার কথা শুনে ভগবানের বাবা ঘর থেকে নতুন একটা গামছা এনে বামনাকে দিয়ে বললো, ‘এই নতুন গামছাখান ভগবান আম্নেরে দিছে। আম্নে এইডা সবসুমকা ব্যবার কইরেন।’
ভগবানের দেওয়া নতুন গামছা হাতে পেয়ে বামনা খুশিতে আটখানা হয়ে জিজ্ঞেস করছে, ‘হাছাই কইতাছেন? এইডা ভগবান আমারে দিছে? ইল্লাইগাই মাইনষে কয়, ভগবান দয়ার সাগর।’
এই বলেই গামছা হাতে নিয়ে বামনা ভগবানের বাড়ির পুকুর ঘাটে স্নান করতে চলে গেল। ভগবানের বাবা গিয়ে ভগবানের মায়ের সাথে পাগল বিদায় নিয়ে শলাপরামর্শ করতে লাগলো, কী করে এই ভগবান পাগল বাড়ি থেকে বিদায় করা যায়! আবার দুইজনেই ভাবছে ভিন্নভাবে! তা হলো, যদি ভগবান পাগলকে খুশি না করা যায়, তাহলে সে আবার চলে আসবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই! কারণ, এই পাগল আমাদের বাড়ি চিনেছে। সে তাঁর দুঃখকষ্টে দৌড়ে চলে আসবে, এটা তাঁর ভগবানের বাড়ি মনে করে। তাই যা করতে হয় ঠাণ্ডা মাথায় বুঝেশুনে করতে হবে। তাহলে কী করা যেতে পারে? একে অপরকে জিজ্ঞেস করলো!
ভগবানের মা তাঁর স্বামীকে বললো, ‘আমাগো ঘরে আগেরদিনের একটা শঙ্খ আছে। পাগলরে এইডা দিয়াই বিদায় করতে অইবো।’
ভগবানের বাবা জিজ্ঞেস করলো, ‘এই শঙ্খডা দিয়া হেয় কিডা করবো? এইডা কি হেয় রাজি অইবো?’
ভগবানের মা বললো, ‘রাজি অইবো, আরো ভালাও কইবো!’
ভগবানের বাবা জিজ্ঞেস করলো, ‘এইডা আবার ক্যামনে?’
ভগবানের বাবাকে ভগবানের মা বললো, ‘হুনো, এই শঙ্খডা আমাগো ভগবানের আতের তুনে পাগলের আতে দিয়া কইবা, এইডা ভগবান খুশি অইয়া আম্নেরে দিছে। এইডা লইয়া আম্নে বাইত যাওগা।’
ভগবানের বাবা বললো, ‘পাগল যদি জিগায় এইডা দিয়া আমি কি করমু?’
ভগবানের মা বললো, ‘আমরা কমু এইডারে ফুঁ দিয়া আম্নে যা কইবেন হেডাই অইবো। এই কথা কইলে পাগলে হের মনের বিশ্বাসে লইয়া দৌড় দিবো, বুইঝলা!
ভগবানের বাবা বললো, এইডা না অয় বুইঝলাম! আর পাগলে যদি কয়, তয়লে একটা ফুঁ দিয়া দেইখা লই! তহনে কি অইবো?’
ভগবানের মা বললো, ‘তয়লে কমু এইডা দিয়া ভগবানের বাইত ফুঁয়াইলে কাম অইত না। এইডা ফুঁয়াইতে অইবো আম্নেগো বাইত যাইয়া।’
কথাটা ভগবানের বাবার মনোমত হলো। তারপর ঘরের কাড়ের উপর উঠে অনেক খোঁজাখুঁজি করে শঙ্খটা খুঁজে বের করা হলো। শঙ্খটি অনেক বড় এবং অনেক পুরাতন। তাই শঙ্খের গায়ে শেওলা পড়ে আছে। দেখতে দেখা যাচ্ছে কালো। এটাকে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে ঘরের এক জায়গায় যত্নসহকারে রেখে দিল। বামনাও পুকুর থেকে স্নান করে ঘরের বারান্দায় এসে হাজি হলো। এরপর ভগবানের বাবা বাজার থেকে কিনে নেওয়া নতুন একটা ধূতি, আর একটা নতুন পাঞ্জাবি একটা থালে করে বামনার সামনে এসে বললো, ‘এইগুলা ভগবান আম্নেরে দিছে। আম্নে এগুলা পইরা দুইডা অন্ন সেবা কইরা লন।’

নতুন ধূতি, নতুন জামা দেখে বামনা খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘আম্নেগো ভগবান কই। এইগুলা পইরা আমি আগে ভগবানরে নমস্কার দিমু! ভগবানরে ডাহেন দেহি! এই বলেই বামনা ভগবানের বাবার হাত থেকে নতুন ধূতি, নতুন পাঞ্জাবি নিয়ে সুন্দর করে পরে নিলো। এরমধ্যেই ভগবানের মা লেঙটা ভগবানকে একটা পরিষ্কার জামা প্যান্ট পরিয়ে বামনার সামনে নিয়ে এলো। বামনা নতুন জামাকাপড় পরে ভগবানের মা-বাবাকে নমস্কার করে লেঙটা ভগবানকে নমস্কার করলো। এরপর বামনা লেঙটা ভগবানকে কোলে নিয়ে বললো, ‘দয়াল ভগবান, আম্নের এইডা কেমন কাম? আম্নে রাজারে ফকির বানান! ফকিররে রাজা বানান! আমারে আম্নে কিছু করেন না ক্যা? আমি কি আম্নের নাম লই না? আমি বামনীর ঠেলা গুতা খাইতে খাইতে আমার জান শেষ কইরা হালাইতাছি! আইজগা আমারে কিছু একটা করতে অইবো, ভগবান। নাইলে আমি আম্নেগো বাইততে যাইতাম না। আমারে আম্নে বহাইয়া বহাইয়া হারাজীবন খাওয়াইতে অইবো। অহনে কন, আমারে কি করবেন?’
বামনার কোলে লেঙটা ভগবান তো ভয়ে মা মা বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলো। ভগবানের কান্নাকাটি আর বামনা সইতে না পেরে লেঙটা ভগবানকে তাঁর মায়ের কোলে দিয়ে বললো, ‘কি গো ভগবানের মা, আম্নের ভগবান এতো কান্দে ক্যা?’
ভগবানের মা ছিলেন খুবই চালাক মহিলা। তিনি বামনাকে বললো, ‘আম্নের ভগবান এ-ই দুনিয়ার কিছু অসহায় গরিব মাইনষের লাইগা কান্দে। এই যে আম্নে একজন দুখি! এমন আরও বহুত গরিব মানুষ আছে, ভগবান হেগো লাইগা হগল সুমকা কান্দে। ক’দিন আগে আম্নের লাইগাও কানছিল। আম্বে এনো আইবেন, এইডা ভগবান আরও ক’দিন আগেই আমাগো কাছে কইছে।’
ভগবানের মায়ের কথা শুনে বামনা তা-ই বিশ্বাস কললো। এরপর ভগবানের মা বললো, আহেন দুইডা ডাইল ভাত সেবা কইরা লন।’
এরপর বামনাকে খেতে দিলেন, বামবা পেটভরে মনের অানন্দে খেলেন। খাওয়াদাওয়া শেষে বামনা বললো, ‘আর দেরি করন যাইত না। আম্নেগো ভগবানেরে কন আমারে বিদায় করতে।’
ভগবানের বাবা বললো, ‘ভগবানগো বাইত খাইয়া দাইয়া এট্টু বন লাগে, জিরান লাগে। আম্নে খাডের উপরে যাইয়া এট্টু বনগা। ভগবান ভাইবা দেহুক, আম্নেরে কি দিবো।’
ভগবানের বাবার কথা শুনে বামনা তা-ই করলো। ভগবানদের খাটের উপরে গিয়ে আরামসে গা লেলিয়ে দিয়ে বসে বসে ভাবছে, ‘ব্যাপারটা কী? হেরা আমারে বিদায় দিতে এত দেরি করতাছে ক্যা? আমার বামনী একলা বাইত রাইত কইরা ক্যামনে থাকবো?’ এসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে বামনা একসময় ভগবানদের ঘরের খাটের উপর ঘুমিয়ে পড়লো।
এদিকে ভগবানের মা বাবা ঐ পুরাতন শঙ্খটা নিয়ে ভাবতে লাগলো, যদি শঙ্খটা পাগলে গ্রহণ না করে? যদি জেদ করে বলে, আমি যাবো না? তখন কী হবে? ভগবানের মা-বাবা এসব চিন্তাভাবনা করতে করতে বামনা ঘুম থেকে জেগে উঠে বললো, ‘কি গো ভগবানের মা, আমি কি আমগো বাইত যাইতাম না? আম্নের ভগবান কই? হেরে ডাক দেন! আমার বাইত যাওন লাগবো।’
ভগবানের মা-বাবা একটা কাঁসার থালার মাঝে পুরাতন একটা শঙ্খ দিয়ে লেঙটা ভগবানকে নিয়ে বামনার সামনে এসে বললো, ‘এইডা ধরেন! এইডা ভগবান আম্নেরে দিছে।’
বামনা শঙ্খ দেখে রেগেমেগে বললো, ‘এইডা দিয়া আমি কি করমু? এই শঙ্খডারে আমি কি চাবাইয়া চাবাইয়া খামু? এইডা দিয়া কি অইবো?’
ভগবানের মা বললো, ‘আগো হুনেন, এডারে ফুঁ দিয়া যা কইবেন, হেইডাই অইবো। ভগবান বুইঝা হুইনাই আম্নেরে এইডা দিছে।’
বামনা বললো, ‘আইচ্ছা, ‘তয়লে আমি আগে একখান ফুঁ দিয়া দেইখা লই।’
এই কথা বলেই কাঁসার থাল থেকে শঙ্খটা হাতে নিয়ে যেই ফুঁ দিয়ে চাইলো, ভগবানের মা বামনার হাতে ধরে বললো, ‘ভগবানের জিনিস, ভগবানের বাইত ফুঁয়াইলে কাম অইত না। এইডা আম্নেগো বাইত নিয়া ফুঁয়াইতে অইবো।’
ভগবান পাগল বামনা তা-ই বিশ্বাস করে শঙ্খটাকে নমস্কার করে তাঁর ঝোলায় ভরে রাখলো। এরপর সবাইকে নমস্কার করে বামনা তাঁর বাড়ি রওনা হলো। লেঙটা ভগবানের মা-বাবাও তাঁদের বাড়ি থেকে ভগবান পাগল বিদায় করলো। বামনা ভগবান ভগবান বলতে বলতে নিজের বাড়ির পথে চললো।

লোভ-৩ এখানে:

চলবে…

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

16 thoughts on “লোভ-২

  1. লোভ বিষয়ে কিছু একটা চমকের খোঁজে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। নাহ্ এই পর্বে সেই লোভ আমার মিটলো না। দেখা যাক আগামী পর্বে শঙ্খ নিয়ে বামনা'র ঘটনা কী ঘটে। গল্পকারের উদ্দেশে বলবো, পুকুরে নেমে ১ ডুবে সোনা, দুই ডুবে হীরে আর ৩ ডুবে কয়লা এমন টাইপের বহুলশ্রুত কোন লোভ গল্পের প্লট তৈরী করবেন না।
    শুভ সকাল মি. নিতাই বাবু। :)

    1. না দাদা, তা হবে কেন! সে-ধরনের কোনও গল্প নিয়ে আমি লিখবোও না। আর বামনার স্নান করার কাহিনী তো আশা করি শেষ হয়ে গিয়েছে। তা আর নতুন করে  এখানে আসবে না, আশা করি। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা, ভালো থাকবেন।     

  2. শুনেছি মন থেকে চাইলে ভগবানকেও পাওয়া যায়  দেখা যাক শঙ্খের  জারিজুরি  শুভকামনা  রইল 

    1. ডাকার মতো ডাকলে অবশ্যই পাওয়া যায় বলে মনে হয়। তা একটু আগে আর পরে। আর হ্যাঁ, গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন বলে আশা করি।         

  3. 'ভগবানের আশীর্বাদ লগে কইরা লইয়াই যামু। আশীর্বাদ ছাড়া খালি আতে যামু না। এইডা আম্নের ভগবানরে বুইজ্জা লইতে কইয়েন।’ সংলাপ পড়তে কিন্তু দারুণ লেগেছে দাদা। :)

    1. শ্রদ্ধেয় সুমন দাদা, আশা করি গল্পের শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন। আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।           

  4. ডিফরেন্ট লেখায় দেখছি আপনার তুলনা নাই নিতাই বাবু। মজার এই পর্ব পড়লাম। :)

    1. পড়েছেন শুনে খুবই খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। সেইসাথে আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন।                  

    1. আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।           

  5. * নিয়মিত পড়ে যাচ্ছি

    শুভ কামনা সবসময়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। শুভকামনা থাকলো।             

    1. তা তো অবশ্যই! শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদি। তো সাথে থেকে উৎসাহ দান করার জন্য অনুরোধ রইল।         

    1. সত্যি বলতে কি, আমি নিজেও আপনাদের খুঁজি দিদি। মন্তব্যের ছোট বক্সে আপনাদের দেখে শুধু লিখতেই ইচ্ছে করে। মনে স্বাদ জাগে! তাই লিখি। আবার আপনাদের লেখা পড়ে কিছু শিখি। আশা করি আমার এই নগন্য লেখার গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থাকবেন, শ্রদ্ধেয় কবি শাকিলা দিদি।             

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।