পৌষমাসে টুসু পূজা…….. টুসুর বন্দনা লোকগান পঞ্চম পর্ব

পৌষমাসে টুসু পূজা…….. টুসুর বন্দনা লোকগান
পঞ্চম পর্ব।

তথ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা আর সম্পাদকীয় কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

রাঢ়বাংলার সব থেকে বড় পরবের নাম টুসু। প্রাণের উৎসবে মাতোয়ারা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম। টুসু মহামিলনের পরব। এই উৎসবকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল মহলের লোকসংস্কৃতি। যার নামও টুসু। রঙিন কাগজে বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় নানারকমের রংবাহারি চৌডল। যা জলে ভাসানো হয় পৌষ সংক্রান্তির দিন। মানুষজন শহর থেকে গ্রাম মুখী হয়ে ওঠে এই দিন। আলাদা আলাদা ছন্দ আলাদা আলাদা গান গাওয়া হয় এই সংক্রান্তির দিন।
টুসু গান আসলে মানুষের মনের কথা। সাধারণ লোকজীবনের সুখদুঃখ, হাসি-কান্না টুসুর সুরে ভেসে ওঠে।
টুসুর গান —
“এমন জাড় (শীত) ভাই দেখি নাই আগে/
গেল বুড়াবুড়ির দাঁত লাইগে/
টুসু হামার জাড়ের গ্যাঁদাফুল।
মকর সিনান করে বাঁধব চুল।”

পুরুলিয়া অঞ্চলে প্রচন্ড শীতের পরিপ্রেক্ষিতে হাসি ঠাট্টায় রচনা করা এমন টুসু গান।
জনপ্রিয় টুসুর গান –
“টুসু আমার মা যা চাইবি চা/
টুসু আমার মা দেবী মা শুধু দেয় কিছু নেয় না/
টুসু আমার ঠাকুর মা, সর্বদা অনন্যা/
টুসু আমার মেয়ে সুন্দরী সবার চেয়ে/
টুসু আমার ভালবাসা, মেটে না কভু আশা/
টুসু আমার টুসুধ্বনী, সর্বগুনে গুনমণী/
টুসু আমার প্রেমিকা যা চাই, পাই তা/
টুসু আমার দেবী খুশি হয় অভাবী/
টুসু আমার জীবন, মরেও হয় না মরণ।”

তথ্য সহায়তায়: সংবাদ প্রতিদিন

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “পৌষমাসে টুসু পূজা…….. টুসুর বন্দনা লোকগান পঞ্চম পর্ব

  1. চমৎকার এই আয়োজনের সর্বোপরি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকবেন। জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।