আমার কবিতাগুচ্ছ (বর্ষ শেষের কবিতা) বর্ষশেষের কবিতা -১

আমার কবিতাগুচ্ছ (বর্ষ শেষের কবিতা)
বর্ষশেষের কবিতা -১

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সময়ের কাঁটা ঘোষিছে চৌদিকে,
শোন বিশ্ববাসীগণ;
পুরাতন বর্ষ যাবে চলে শেষে,
নববর্ষের আগমন।

বর্তমান বর্ষ যাবে কেটে
আর কয়দিন পরে,
পুরাতন বর্ষ লবে বিদায়,
সময়ের হাত ধরে।

দেয়ালে টাঙানো ক্যালেণ্ডারে
লাস্যময়ী এক ছবি,
কপালেতে তার শোভিছে যে টিপ,
ঠিক যেন ভোরের রবি।

হাসিভরা মুখ সয়েছে সুখ দুখ,
বিষাদে আজি মলিন,
আর কিছুদিন গত হলে তার
ঠাঁই হবে ডাস্ট-বিন।

সযতনে রাখা ফুলদানি সব,
শুধু মনে মনে ভাবে;
সব কিছুর স্মৃতি মন থেকে
চিরতরে মুছে যাবে।

এইভাবে হয়ে গেছে পার,
বহু পুরাতন বর্ষ,
বিদায় বেলায়, হারায় হেলায়,
সবাকার সংস্পর্শ।

স্মৃতির আয়নায় ধুয়ে মুছে যায়
পুরোনো দিনের স্মৃতি,
মনের গভীরে বেজে উঠে সুরে
বর্ষের বিদায় গীতি।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “আমার কবিতাগুচ্ছ (বর্ষ শেষের কবিতা) বর্ষশেষের কবিতা -১

  1. সযতনে রাখা ফুলদানি সব,
    শুধু মনে মনে ভাবে;
    সব কিছুর স্মৃতি মন থেকে
    চিরতরে মুছে যাবে।

    তারপরও আমাদের ভালো থাকতে হবে। অন্তত ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।