অনিদ্রা বিলাসে কেটেছে বিগত পৌষের শীত
চোখে ছিলো ধু ধু কান্তার পথ কল্পনাতীত হাহাকার
কর্কশ ব্যাধিতে রুক্ষ সৌষ্ঠব- চুপসে গেছে শৌর্যের শিখা
তীব্রমন্দায় কেটেছে মাঘী পূর্ণিমা-একটি কবিতাও দেয়নি দেখা;
বিষাদ ভরা একাকীত্বে কেটেছে সন্ধ্যা আরতি- তথাগত ধ্যান
ঘুঘুর কান্নায় ভেঙ্গেছে অরণ্যের মৌনতা, যজ্ঞ মগ্ন প্রাণ ।
একিই ভাবে দীর্ঘ নৈঃশব্দ্যের পর উচ্চারিত হয় নিভৃত আত্মকথন
চাবুকের কষাঘাতের পর- যেমন জ্বালাময়ী দহন, অগণিত বসন্ত
ভেসে গেছে বিরাগ ভরা দীর্ঘশ্বাসে; উদ্বাস্তুর রোদন
শুনতে পায়নি কেউ- দূষণে দূষণে নদী হারিয়েছে চিরন্তন রূপ
ভাঙনের কবলে অবশিষ্ট নেই বাস্তুভিটে, ঠিকানাহীন স্বপন।
এখনো রুক্ষ্ণ অন্তর, প্রণয়াবেগে ছুটছে জীবন তেপান্তর ফেরিয়ে
থেকে থেকে উঠে আসে প্রখর বালিয়াড়ি ঝড়; অশান্ত হৃদয়ে
ঝেঁকে বসে বিধ্বস্ত রাত্তির শোকার্ত মাতম-
হে ঈশ্বর
এবার তবে স্তব্ধ হোক জগতের সমস্ত নিয়ম নখর; ধ্বংস লীলা
আর সুন্দরের বস্ত্র হরণের মহোৎসবে
লুটতরাজের হাতে অর্পিত হোক ঋতুমতী পৃথিবীর সর্বস্ব!
_____________________________________
সুন্দরের বস্ত্র হরণ (২) ।। দা উ দু ল ই স লা ম
(২০১৯ সালের গ্রন্থ মেলায় জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত অচিন বুদবুদ থেকে)
অভিনন্দন কবি দাউদুল ইসলাম স্যার।
আপনার প্রায় অনেক কবিতাই আমার পড়ার সুযোগ হয়েছে। মোহিত হয়েছি বারবার। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দগুণ আপনাকে যে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে নিয়েছে সেটা বুঝতে আর বাকি থাকে না। দারুণ লিখা।
পরিশেষ প্রকাশনা অচিন বুদবুদ সংগ্রহ করতে না পারার কারণে পড়া হয়নি। তারপরও বাকি অন্যান্যদের মতো শুভেচ্ছা রাখি সবসময়। ভালো থাকুন স্যার। সৃষ্টি যেন না থেমে যায়। চলুক অবিরাম।
আসসালামুয়ালিকুম স্যার
আসলে আমরা সব সময় মঞ্চের লোক গুলিকেই দেখি ,
মঞ্চ যিনি সাজিয়ে দেন তাকে কখনো দেখিনা
পর্দায় ভেসে আসা চিত্র টি দেখি কিন্তু চিত্রের রুপকার কে দেখিনা;
আমি বরাবরই তাকে স্যালুট জানাই
তাকেই স্মরন করি
তাকেই শ্রদ্বা ভরে বরন হৃদয়ের ক্যানভাসে।
আমার জীবিনে সেই মানুষ টা হচ্ছেন আপনি। আপনার উৎসাহে আজ আমি এতটা পথ চললাম।
আগামীতেও আপনার আশীর্বাদে চলতে পারবো ইনশাল্লাহ…
এবারের বই মেলার সময় কিছু বই হাতে পাবো আশা করি, তখন পাবেন অচিন বুদবুদ।
অভিনন্দন আপনাকে । ভালো লাগল।
শুভ সন্ধ্যা
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল –
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ প্রিয়…