দীলখুশ মিয়ার সন্দেশঃ আপনার ম্যাচের খোলে কয়টা চাল

হাই হ্যালো।
কেমন আছেন আপনারা?
আমি?
করোনাক্রান্ত পৃথিবীতে বন্দি ছিলাম। তবে যারা ভেবেছেন দীলখুশ মিঞা অক্কা পাইছে তাঁদের নাকে মুখে গোলাপের সুবাস ঢেলে জানিয়ে দিলাম “আবে বউয়ের বড় ভাইয়ের পোয়া, আমি আছো বেঁচে আছি। ভালো আছি।’
সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ।

তবে পৃথিবী ভালো নেই। শুনুন মমতাদির লেখা একটা কবিতার অংশ বিশেষ।

বস্তাপচা ময়লায় ঢেকে গেছে পৃথিবীটা
মানুষ, মানুষ থেকে দূরে।
ছোঁয়া যাবে না— স্নেহের পরশকে।

কালও যা ছিল
হাতের ছোঁয়ায় আর্শীবাদ
আজ তা পরশমণর
স্পর্শ থেকে বাদ…

আহারে!
এইতো পৃথিবী এখন।
বাদ দেই এসব দুঃখ দুঃখ বাস্তবতা।
একটা কহিনী কই। হাসবেন না যেন। ওকে ডান।
………..
হ্যালো! এটা কি কাস্টমার কেয়ার?

– হ্যাঁ ম্যাডাম বলুন। আমরা কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

– বলছি আমার ছেলেটা আমার সিমটা খেয়ে ফেলেছে।

– দেখুন, আপনি ওকে ইমিডিয়েট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, এখানে ফোন করে সময় নষ্ট করছেন কেন?
– না আমি বলছিলাম আমার সিমটাতে ২০০ টাকার টক টাইম আছে।

– তাতে কি?

– যতক্ষণ না পর্যন্ত সিমটা বের করা হচ্ছে ততক্ষণ আমার ছেলেটা যদি কথা বলে তাহলে আমার ব্যালেন্স কাটা যাবে না তো!

– কাস্টমার কেয়ারের এক্সিকিউটিভ অজ্ঞান! আপনি? জানি আপনার নার্ভাস সিস্টেম বাড়ই শক্তিশালী। আপনি অজ্ঞান হবেন না। হাসবেন। হাসুন না মন খুলে।
যদি এই করোনা কালে আপনার হাসি পায় তবে আপনার জন্য এই নিন একটা লাল গোলাপ।

আচ্ছা আপনি ম্যাচের খোলে কয়টা চাল পেয়েছেন? ভাবছেন এটা আবার কেমন প্রশ্ন! আচ্ছ, আসেন রফিক আর পলির ঘটনাটি খেয়াল করি।
……… ……..
রফিক আর পলির আজ বাসর রাত…
রফিক পলি কে কিস করছে…..এসময় দেখে পলির কাছে একটা ম্যাচের খোল আর একটা ৫০ টাকার নোট।

রফিকঃ ম্যাচের খোল কেন?

পলিঃ তোমার কাছে আমি কিছুই লুকাবোনা…
যখন আমি আমার কোন বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতাম তখন একদানা চাল আমি এটার মধ্যে রাখতাম।
রফিক কিছু না বলে ম্যাচের খোলটি হাতে নিয়ে খুলে দেখে খোলের মধ্যে মাত্র তিনটি দানা। সে কিছুটা গম্ভীর হয়ে মনে মনে ভাবলো যাক মাত্র তো তিনটি দানা এই ভেবে সে পলিকে মাফ করে দিল।

তারপরও রফিক ৫০ টাকার ব্যাপারে কৌতুহল থামাতে না পেরে বলেই বসল…
রফিকঃ আচ্ছা ম্যাচের কাহিনী তো বুঝলাম কিন্তু তোমার হাতে ৫০ টাকার নোট কিসের??

পলিঃ গতকালই আমি ২ কেজি চাল ৫০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি!

আপনি ম্যাচের খোলের ভিতর চাল গুনতে থাকুন।
আমি চললাম।
দেখা হবে আবার এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মতো বিদায়।
আল্লাহ হাফেজ।

12 thoughts on “দীলখুশ মিয়ার সন্দেশঃ আপনার ম্যাচের খোলে কয়টা চাল

    1. অসাধারণ সে হতেই হবে

      এ যে দীলখুশ মিঞার সন্দেশ 

      পড়তে গেলেই মনে হবে 

      এত তাড়াতাড়ি লেখাটি শেষ! http://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif    

    1. ও কে মিতা দাদা! 

       

      দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। 

      যে যা করে দেখি ভাই, সুবিধে যা নিয়ে যাই, 

      দুম করে প্রকাশ্যে আসি না। 

      দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।

      রাজনীতি দলাদলি, কিংবা সে কোলাকুলি, 

      যে যা খুশি হয়ে যাক, দুনিয়া চুলোয় যাক। 

      আমি টু শব্দটি করি না, 

      বারান্দা থেকে আমি নামি না। 

      দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।

      1. করোনায় মাছ কাটি, বউয়ের শাড়ি ধুই, 

        মাঝে মাঝে আমি করি রান্না। 

        কে কোথায় মরে গেল, কার ঘর ভেঙ্গে গেল, 

        পোষায় না অতসত কান্না। 

        বারান্দা থেকে আমি নামি না, 

        দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।

  1. দীলখুশ মিঞা !!! আলহামদুলিল্লাহ। স্বাগতম বস্। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_mail.gif

    1.  

      ধন্যবাদ। আপনার জন্য….. http://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

       

       “যদি তোমার সামনে হতাশার কালো পাহাড় এসে দাঁড়ায়, তুমি তাতে আশার সুড়ঙ্গ কাটতে শুরু করো”

      – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র 

       

       “তুমি যদি একটি জাহাজ বানাতে চাও তবে তোমার লোকদের কাঠ যোগাড় করতে আর পরিশ্রম করতে তাড়া দিও না। বরং তাদের মনে সমুদ্রের অসীম সম্ভাবনার আশা জাগিয়ে তোল”

      – এন্টনি ডি সেইন্ট, ফ্রেঞ্চ লেখক ও কবি

       

      হাসতে থাকো যত পারো….. দীলখুশ মিঞা  

      http://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gifhttp://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gifhttp://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gif

    2. মূল্যবান উক্তি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. আর একটু মজা দিন। আমি বুঝতে পারছি না, আমার পোষ্ট মজা লাগবে না তো কি লাগবে।  আমার ভুলটা কোথায়? 

      ছোট্ট অন্তুকে ক্লাসে তার ম্যাম জিজ্ঞাস করল, বলত আমি তোমাকে একটা আপেল , আরেকটা আপেল , আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হল। চারটা ম্যাম ।

      ম্যাম ভাবলেন অন্তু হয়ত শুনতে একটু গড়বড় করে ফেলেছে। তাই তিনি আবার বললেন, ভাল করে শুনে বল অন্তু। আমি তোমাকে একটা আপেল , আরেকটা আপেল এবং আরেকটা আপেল দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা আপেল হল।

      অন্তুও একটু ভেবে আবারো বলল , চারটা ম্যাম । কিন্তু সে দেখল তাঁর ম্যামের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সেও বুঝতে পারছে না , কি ভুল সে করছে।

      ম্যাম অন্তুর কাছ থেকে এরকম উত্তর আশা করে নাই। তিনি ভাবলেন, অন্তুর হয়ত আপেল পছন্দ না , তাই সে ভুলভাল উত্তর দিচ্ছে। তাই তিনি এবার ভাবলেন আপেলের বদলে অন্য কিছু বলবেন।

      তিনি বললেন ,আমি তোমাকে একটা লিচু , আরেকটা লিচু এবং আরেকটা লিচু দিলাম। তাহলে তোমার কয়টা লিচু হল। অন্তু এবার বলল, তিনটা ম্যাম। এইতো ঠিক আছে। ভেরি গুড। তাহলে আপেলের বেলায় তুমি চারটা বলছিলে কেন?

      বারে! আমি তো ঠিকই বলেছি। বলতে বলতে সে ব্যাগের চেইন খুলে একটা আপেল বের করল যেটা তার মা আজকে টিফিন হিসাবে দিয়ে দিয়েছে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না , তার ভুল কোথায়?

      আমিতো মজাই খাওয়াইসি!

  2. মানুষকে হাসানের কাজটা সহজ নয় জানি, তবু আপনার চেষ্টাকে কুতুবুতু। 

     

    এইসব ঝামেলাহীন পোস্ট দিয়া কতদিন পার পাইবেন?         

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।