দীলখুশ মিঞা এর সকল পোস্ট

সব্বাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

১৯৭১ থেকে ২০২১ এর ২৬ শে মার্চ-

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এর আজ সূবর্ণ জয়ন্তী। বাঙালি জাতির জীবনে অনন্যসাধারণ একটি দিন। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় দিনটি। তাইতো স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার এই সময়টি জাতি নিবিড় আবেগের সঙ্গে স্মরণ করে। স্বাধীনতা এক অমূল্য উপহার যা আমাদের দিয়েছে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম ও ৩০ লক্ষ শহীদের মহান আত্মত্যাগ এবং অযুত মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের দেশ পেয়েছে একটি স্বাধীন লাল সবুজ পতাকা। স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্মরণ করি মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই সকল বীর সেনানীদের। তাঁদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

স্বাধীনতা দিবসে আমরা কত আয়োজন করি। কিন্তু কজন জানি স্বাধীনতার মর্মকথা! নীচে স্বাধীনতা সম্পর্কিত কয়েকটি উক্তি উল্ল্যেখ করলাম যে গুলো আমাদের স্বাধীনতা কি তা উপলব্ধি করতে লেখায়।

“এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে যেদিন বাংলার কৃষক মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।”
-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

“এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য মুজিব সর্বপ্রথম তার প্রাণ দেবে।”
-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

”স্বাধীনতা মানুষের প্রথম এবং মহান একটি অধিকার।“
– মিল্টন

“স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে মৃত্যু বরণ করা পরাধীনতায় সারাজীবন কাটানোর থেকে অনেক ভালো।’
– বব মার্লে

“আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক এর চাইতে বড় গৌরব আর কিসে হতে পারে ?”
– জে. আর লাওয়েল।

“নিজের ইচ্ছামত বাঁচা ছাড়া স্বাধীনতার অর্থ আর কিই বা হতে পারে।”
– অ্যাপিকটিটাস।

“স্বাধীনতা ছাড়া একটি জীবন মানে আত্মা ছাড়া শরীর।”
– কাহলিল জিবরান।

“স্বাধীনতা একটি সুযোগর নাম যার মাধ্যমে আমরা যা কখনই হতে পারার কল্পনা করতে পারি না তা হতে পারি।”
– ড্যানিয়েল যে ব্রুস্টিন।

‘আমি তোমার কথার সাথে বিন্দুমাত্র একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার কথা বলার অধিকার রক্ষার জন্য আমি জীবন দেবো৷‘
– ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার।

“যখন সত্যকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় না, স্বাধীনতা পূর্ণ হয় না।” – ভ্যাকলাভ হাভেল।

“স্বাধীনতার পক্ষে সবচেয়ে বড় হুমকি সমালোচনার অনুপস্থিতি।” – ওলে সোইঙ্কা।

“সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য আইন ও ন্যায়বিচারের শাসন এবং একটি বিচার ব্যবস্থা প্রযোজ্য, যেখানে অন্যের অধিকার অস্বীকার করে কারও কারও অধিকার সুরক্ষিত হয় না।” – জোনাথন স্যাকস।

“চিন্তার স্বাধীনতা ব্যতীত জ্ঞানের মতো কিছুই হতে পারে না – এবং বাকস্বাধীনতা ছাড়া জনস্বার্থের মতো কিছুই হতে পারে না।” – বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলি।

“যখন তাদের শাসনকর্তাদের লেনদেন তাদের কাছ থেকে গোপন রাখা যায় তখন কোনও মানুষের স্বাধীনতা কখনই ছিল না এবং কখনও নিরাপদ থাকবে না।” – প্যাট্রিক হেনরি।

“বেশিরভাগ মানুষ সত্যই স্বাধীনতা চায় না, কারণ স্বাধীনতার মধ্যে দায়বদ্ধতা জড়িত এবং বেশিরভাগ লোকেরা দায়বদ্ধতায় ভীত।”
– সিগমন্ড ফ্রয়েড।

“স্বাধীনতা মানুষের মনের একটি খোলা জানলা, যেদিক দিয়ে মানুষের আত্মা ও মানবমর্যাদার আলো প্রবেশ।”
– হার্বার্ট হুভার।

উপরের উক্তি গুলো আমরা সকলেই জানি বটে কিন্তু প্রায় কেউই মন থেকে বিশ্বাস করি না৷ স্বাধীনতা মানেই আমরা বুঝি স্বেচ্ছাচারিতা। ভিন্নমত মানেই আমাদের কাছে অপরাধ৷ আমরা শুধু সহমত সহ্য করি, ভিন্নমত নয়৷ ভিন্নমতের জন্য জীবন দেয়া তো দূরের কথা, সুযোগ থাকলে ভিন্নমতের জীবন নিতে চাই আমরা৷

সকলের প্রতি আহবান জানাই আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মান-সম্মান যেন আরও বৃদ্ধি পায়, সব সময় যেন অক্ষুণ্ণ থাকে আমাদের পতাকার সম্মান, সকল ভেদাভেদ ভৃলে আজকের এই মহান দিনে সবাই মিলে নতুন সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার গ্রহণ করি……
যে দেশে ঘৃণার কোন স্থান থাকবে না, ভালবাসাই হবে মানুষের একমাত্র ধর্ম….।

সব্বাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

দীলখুশ মিয়ার সন্দেশঃ আপনার ম্যাচের খোলে কয়টা চাল

হাই হ্যালো।
কেমন আছেন আপনারা?
আমি?
করোনাক্রান্ত পৃথিবীতে বন্দি ছিলাম। তবে যারা ভেবেছেন দীলখুশ মিঞা অক্কা পাইছে তাঁদের নাকে মুখে গোলাপের সুবাস ঢেলে জানিয়ে দিলাম “আবে বউয়ের বড় ভাইয়ের পোয়া, আমি আছো বেঁচে আছি। ভালো আছি।’
সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ।

তবে পৃথিবী ভালো নেই। শুনুন মমতাদির লেখা একটা কবিতার অংশ বিশেষ।

বস্তাপচা ময়লায় ঢেকে গেছে পৃথিবীটা
মানুষ, মানুষ থেকে দূরে।
ছোঁয়া যাবে না— স্নেহের পরশকে।

কালও যা ছিল
হাতের ছোঁয়ায় আর্শীবাদ
আজ তা পরশমণর
স্পর্শ থেকে বাদ…

আহারে!
এইতো পৃথিবী এখন।
বাদ দেই এসব দুঃখ দুঃখ বাস্তবতা।
একটা কহিনী কই। হাসবেন না যেন। ওকে ডান।
………..
হ্যালো! এটা কি কাস্টমার কেয়ার?

– হ্যাঁ ম্যাডাম বলুন। আমরা কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

– বলছি আমার ছেলেটা আমার সিমটা খেয়ে ফেলেছে।

– দেখুন, আপনি ওকে ইমিডিয়েট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, এখানে ফোন করে সময় নষ্ট করছেন কেন?
– না আমি বলছিলাম আমার সিমটাতে ২০০ টাকার টক টাইম আছে।

– তাতে কি?

– যতক্ষণ না পর্যন্ত সিমটা বের করা হচ্ছে ততক্ষণ আমার ছেলেটা যদি কথা বলে তাহলে আমার ব্যালেন্স কাটা যাবে না তো!

– কাস্টমার কেয়ারের এক্সিকিউটিভ অজ্ঞান! আপনি? জানি আপনার নার্ভাস সিস্টেম বাড়ই শক্তিশালী। আপনি অজ্ঞান হবেন না। হাসবেন। হাসুন না মন খুলে।
যদি এই করোনা কালে আপনার হাসি পায় তবে আপনার জন্য এই নিন একটা লাল গোলাপ।

আচ্ছা আপনি ম্যাচের খোলে কয়টা চাল পেয়েছেন? ভাবছেন এটা আবার কেমন প্রশ্ন! আচ্ছ, আসেন রফিক আর পলির ঘটনাটি খেয়াল করি।
……… ……..
রফিক আর পলির আজ বাসর রাত…
রফিক পলি কে কিস করছে…..এসময় দেখে পলির কাছে একটা ম্যাচের খোল আর একটা ৫০ টাকার নোট।

রফিকঃ ম্যাচের খোল কেন?

পলিঃ তোমার কাছে আমি কিছুই লুকাবোনা…
যখন আমি আমার কোন বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতাম তখন একদানা চাল আমি এটার মধ্যে রাখতাম।
রফিক কিছু না বলে ম্যাচের খোলটি হাতে নিয়ে খুলে দেখে খোলের মধ্যে মাত্র তিনটি দানা। সে কিছুটা গম্ভীর হয়ে মনে মনে ভাবলো যাক মাত্র তো তিনটি দানা এই ভেবে সে পলিকে মাফ করে দিল।

তারপরও রফিক ৫০ টাকার ব্যাপারে কৌতুহল থামাতে না পেরে বলেই বসল…
রফিকঃ আচ্ছা ম্যাচের কাহিনী তো বুঝলাম কিন্তু তোমার হাতে ৫০ টাকার নোট কিসের??

পলিঃ গতকালই আমি ২ কেজি চাল ৫০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি!

আপনি ম্যাচের খোলের ভিতর চাল গুনতে থাকুন।
আমি চললাম।
দেখা হবে আবার এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মতো বিদায়।
আল্লাহ হাফেজ।

চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দীলখুশ মিঞার ভবিষ্যত বানী

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

লোকেরা আমাকে কেন বলবে ভবিষ্যতবানী করতে? তবু যেহেতু আমার প্রতি লোকজনের বড় বেশি আস্থা তাই আমি নিজে রিস্ক না নিয়ে জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে স্মরণ করলাম।

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন-কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলো, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেমন হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ কেমন হবে টা বলতে পারি না, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ লাঠি দিয়ে হবে!

আইনস্টাইন-এর কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এতটাই হবে যে প্রায় ধ্বংসই হয়ে যাবে মানব সভ্যতা। সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বোধহয় আর বেশি দূরে নেই। খুব শীঘ্রই এমনকি আজ বা কাল যে কোনো সময়েই লেগে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর একবিংশ শতাব্দীর এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন ও রাশিয়া।

মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে থাকা সাগরেও ন্যাটো ও রাশিয়া নৌসেনা মোতায়েন করেছে। যে কোনো সময় অতিসাধারণ কারণ নিয়েও এদের মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।

আবার কোনো সামরিক কারণ ছাড়াই বিশ্বকে নতুন রূপ দিতে যুদ্ধ হতে পারে। এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারীর অবস্থান থেকে সরাতে চায়। চীনের অর্থনীতিও দেশটির এমন স্বপ্নকে সমর্থন দেওয়ার মতো অবস্থানে আছে।

উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও আমেরিকাকে কেন্দ্র করে বিশ্বে যে উত্তেজনা চলছে এ নিয়ে সবার মনে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে- তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুব কাছাকাছি?

সেই জল্পনাকে আরো উস্কে দিলেন ক্লেয়ারভয়ান্ট হোরাসিও ভিলেগাস নামে এক ভবিষ্যৎ বক্তা। তিনি একজন স্বঘোষিত ‘ভগবানের দূত’। আগামী ১৩ মে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হবে বলে দাবি করেন হোরাসিও।
( বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০ এপ্রিল ২০১৭)

বিশ্বখ্যাত বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাতে ভুয়া খবর ছড়িয়েছেন টুইটার হ্যাকাররা। ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ শুক্রবার নিউইয়র্ক পোস্ট, ইউপিআইসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। হ্যাকারদের কবলে পড়া ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ভুয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক খবর প্রকাশ করা হয়।

ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ফিডের এক টুইটে লেখা হয়, ‘পোপ বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’

যে কোন মাধ্যম থেকে হোক না কেন যেহেতু সংবাদ এসেছে ১৬/০১/২০১৫ ইং তারিখে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে তাই আমাদের চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর কে না জানে আমরা তীতুমীরের বাশের কেল্লা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছি সেই ব্রিটীশ আমল থেকে।

চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধে আমাদের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারোর নেই।
বিশ্ব এবার লাঠি সামলাও।

আপনাদের কল্যান হোক।

বোকা

এইতো সেদিন।
তাহাদ আলী উঠিয়ে নিয়ে গেল আয়েশাকে।
লোকটি কবি, ভালোবাসতো আয়েশাকে। খুব বেশি। প্রতিবাদ করেছিল, উঠান জুড়ে তোলপাড় করছিল। তাহাদ আলীর কলার চেপে ধরেছিল। একটা প্রচন্ড থাপ্পরে উল্টে গিয়েছিল। পারে নি তার আয়েশাকে নিজের করে রাখতে।
থানা পুলিশ হলো। আয়েশা কেস নয় শুধু, আরও। ডজন খানেক।
আয়েশার চিঠি। লোকটিকে। সে আমাকে সামাজিক মর্যদা দিয়েছে। বিয়ে করেছে। আমাকে ভুলে যাও।
ভুলা যায়? এসব অবিচার! দিন দিন আরও অনেক। থানা পুলিশ, সমাজ। কেউ না।
অতঃপর মুখ থুবরে পড়ে থাকা, মাটিতেই। আয়েশা নির্বাক।
লোকটা বারবার বলছে, এখানে কোন ক্রশফায়ার হয়নি। তাহাদ আলীকে খুন করা হয়েছে।

লোকটি কবি ছিল, একটু পাগলামি ছিল, এতটা বোকা ছিল কেউ জানত না।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।

লক্ষ্য করছি যে শব্দনীড়ে পোষ্ট কমে গেছে।

এই ব্লগের কবিরা কি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছে।

এলেবেলে খ্যাত মিতাকে দেখি না।

কেউ কেউ গল্প, উপন্যাস পোষ্ট করতেন তারা কি শব্দনীড়ে তাদের লেখা প্রকাশের যোগ্য মনে করছেন না!

দীলখুশ মিঞার হাই হ্যালো ভয়ে কে কে হারিয়ে গেলেন হাত তুলেন।

আপনাদের কল্যান হোক।

টাকাটা নগদ পেয়ে গেলেন বলে হাসি আর ধরে না যে দাদার

গোপাল গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। আজ দেব, কাল দেব বলে সে টাকা আর শোধ করতে পারেনি। সেই লোক গোপালকে একদিন হাটের মধ্যে পাকড়াও করে বললে, আমার টাকাগুলো দিয়ে দাও তো গোপাল, নইলে আজ আর তোমার ছাড়ব না। তোমাকে এত লোকের সামনে অপমান করব, দেখি তুমি কোথা যাও বাছাধন।

মহাজনের দ্বারা অপমানিত হয়ে গোপাল বললে, টাকা কি দেব না বলছি? আপনার টাকা আগামী কালেই দিয়ে দেবো। পরশু সকালেই আমার বাড়িতে চলে আসুন। আমি টাকা শোধ করে দেব পরশুর মধ্যে সামান্য টাকার জন্য এত অপমান করার আপার দরকার ছিল না। আমি টাকা যেমন করে পারিশোধ করার ব্যবস্থা করবই।

গোপালের কথা শুনে মহাজন মনে মনে ভাবলেন গোপাল যখন এত লোকের সামনে কথা ছিল তখন পরশু দিন যেভাবেই হোক টাকা পরিশোধ করবেই। এই ভেবে পরমু মহাজন গোপালের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। কই হে গোপাল টাকা দেবে বলেছিলে দাও, আমি ঠিক সময় মত এসেছি। মহাজনের ডাক শুনে গোপাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বললে, কাকভোরে ছুটে এসেছেন, দয়া করে বাড়ির দাওয়ায় একটু বিশ্রাম করুন- আমি যত তাড়াতাড়ি পারি আপনার টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করছি। আপনি কষ্ট করে এসেছেন প্রাণের টানে তাতেই আমি কৃতার্থ। আমার বাড়ি আজ পবিত্র হল।

মহাজন তো এখনই টাকা পাবে মনে ভেবে নিশ্চিত হয়ে গোপালের বাড়ির দাওয়ায় বসে হাটু দোলাতে রইল। কিছুক্ষণ পরে গোপাল আর গোপালের বড় ছেলে, সামনের খোলামেলা বেশ বড় বাগান ছিল, তাতে পাঁচ হাত অন্তর বেশ কয়েকটি নারকেল চারা পুতঁতে লাগল মনোযোগ সহকারে। তা দেখে মহাজন গোপালকে অস্থির হয়ে বললে, এ কি করছে গোপাল? আমার যে বেলা হয়ে যাচ্ছে। কাজকর্ম আছে যে। গদিতে যেতে হবে, সকালে উঠেই এসেছি জলখাবারও খাওয়া হয়নি। বাড়ীতে লোকজন আসবে, শ্রীঘ্র কর।

গোপাল নারকেলের চারা পুঁততে পুঁততে বললে দেখছেন, তো চারা পুঁতছি। একটু বসুন না। এখনি হয়ে যাবে পোতাঁ। আপনার টাকার ব্যবস্থা করে তবে আজ জলগ্রহণ করবো বলছি। এই দেখুন। করছি কিনা আপনি আর একটু বসে নিজে দেখুন। আপনি অপেক্ষা করুন, হলো বলে। বিশ্বাস না হয় উঠে এসে দেখুন।

কাজ শেষ করে গোপাল কাছে এসে দাড়াঁতেই মহাজন জিজ্ঞেস করলে, সেই থেকে তো বসিয়ে রেখেছো- একটা তামাকও দিলে না, যাক্ কই টাকা ‍দাও। আমার তাড়া আছে।

গোপাল মুচকি হেসে বললে, এতক্ষণ ধরে তো আপনার টাকা শোধের ব্যবস্থাই করলুম মশায়।

তার মানে তুমি তো এখন নারকেলের চারা পুতলে। আমার টাকার ব্যবস্থা করলে কি করে?

গোপাল বললে, এই যে নারকেলের চারা পুতলাম তাতে নারকেল গাছ হবে এবং এতগুলো নাকেল গাছে যা ফল হবে তা তো আর কম নয়। দুবছরের নারকেলের টাকায় আপনার সব দায় দেনা শোধ হয়ে যাবেই। আপনাকে যখন কথা দিয়েছি আজই টাকা শোধের ব্যবস্থা করব, তাই ব্যবস্থা করে দিলাম। দুবছরের জন্য নারকেলের ইজরাও আপনাকে দিয়ে এলুম। আর ভাবছেন কেন, ধরুন আপনার টাকা বলতে গেলে নিশ্চিন্তে পেয়েই গেলেন সুদ সমেত।

গোপালের কথা শুনে পাওনাদার হাসবে না কাঁদবে ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত বেচারা হেসেই ফেলল।

গোপাল বললে, এখন কি না টাকাটা নগদ পেয়ে গেলেন বলে হাসি আর ধরে না যে দাদার।

By Sisir Suvro

নিউ পোষ্ট

কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি, হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন আর পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিয়ে গত এক সপ্তাহব্যাপী রাজনীতির ময়দান, সোশ্যাল মিডিয়া কিছুটা উত্তপ্ত ছিল। ভারত থেকে আসার পরের দিনেই গণভবনে গিয়ে হেফাজত প্রধান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে একদল কওমি আলেম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবির সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করে কওমি মাদ্রাসার দাওয়ারে-ই-হাদিসকে এমএ সনদের সমমূল্যের নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছেন। কওমি মাদ্রাসার বোধ উদয় হওয়ার জন্য তাদেরকে মোবারকবাদ জানাতে হয়।
গত শতাব্দীর ষাটদশকেও সরকার কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন এবং ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ছিলেন এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। তিনি তখন হাটহাজারী মাদ্রাসার মোহতামীম হযরত মওলানা আব্দুল ওহাব ও পটিয়া মাদ্রাসার মোহতামীম হযরত মওলানা হাজী ইউনুস-এর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু তারা উভয়ে সরকারের প্রস্তাব মানেননি। হাটহাজারী মাদ্রাসাকে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন ড. শহিদুল্লাহ্। তাও তারা মানেননি। তারা কখনও সরকারি সনদেরও পরোয়া করেননি আর সরকারি সাহায্যেরও মুখাপেক্ষী ছিলেন না। শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে মুষ্টি ভিক্ষাকে সম্বল করেই দেওবন্দী ওলামারা এ উপ-মহাদেশে কওমি ক্যারিকুলামের বিরাট এক ইসলামিক শিক্ষা ব্যবস্থার পত্তন করেছিলেন।
কওমি ওলামারা ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তি। বালাকোর্টে, থানাবনে তারা ব্রিটিশের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। ব্রিটিশকে তারা কখনও ভারতের বৈধ শাসক বলে স্বীকার করেননি। সর্বাবস্থায় তারা ব্রিটিশের সঙ্গে অসহযোগের নীতি অবলম্বন করে চলেছিলেন। ব্রিটিশেরা ৫০ হাজারেরও বেশি কওমি আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। হযরত মওলানা এমদাদুল্লাহ্, মওলানা কাসেম নানুতুবী, মওলানা রসিদ আহাম্মদ গাঙ্গাগোহা, শহীদ হাফেজ জামাল, মওলানা ফিরিঙ্গী মহল্লী, মওলানা জাফর আহাম্মদ থানেশ্বরী, মওলানা ফজলে হক করবাদী, মওলানা আব্দুল মজিদ সিন্দী প্রমুখরা ছিলেন কওমিদের নেতা। এ উপ-মহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কওমি ওলামাদেরও বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল।

আমি ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে মওলানাদের অবদানের কথা লিখলাম এজন্য যে, তারা অপদার্থ ছিল না তা বুঝাবার জন্য। কারণ কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল আছেন তারা মনে করেন মওলানারা শুধু অপদার্থ।

প্রধানমন্ত্রী যে তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে ধীরে ধীরে কাছে টানার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে রাষ্ট্রের মূল স্রোতে আনার চেষ্টা করছেন তা হচ্ছে উত্তম সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী কওমি ক্যারিকুলামে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু কওমি মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার ঘটানো যে দরকার যে বিষয়ে তাদেরকে বুঝানো উচিৎ। মওলানা হোসেন আহাম্মদ মাদানী তার শেষ জীবনে এসে কওমি ক্যারিকুলাম বদলানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। নিশ্চয়ই এ বিষয়টি আহমদ শফী সাহেব জানেন। কারণ তিনি হোসেন আহাম্মদ মাদানীর শিষ্য।

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলোর কোনও এক কেন্দ্রীক শিক্ষা বোর্ড নেই। দুই চারটা মাদ্রাসা মিলে এক একটা বোর্ড করার প্রবণতা আছে। এটার কারণ হলো তাদের মাঝে অনৈক্য বেশি। সুতরাং আমরা আহামদ শফী সাহেবকে অনুরোধ করবো বাংলাদেশের সব কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ে যেন একটা গ্রহণযোগ্য শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে তাদের যে শিক্ষা বোর্ড আছে সেটি পূর্ণাঙ্গ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। ধীরে ধীরে সব মাদ্রাসাগুলোকে একটা কেন্দ্রীয় কাঠামোর মাঝে নিয়ে আসা প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইনের সহায়তা দরকার হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনাও করা যেতে পারে। সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এতো বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মূল স্রোতের বাইরে রেখে একটি সুস্থ সমাজ এগুতে পারে না।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কওমিদের শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন হযরত হাফেজজী হুজর। তিনি মুক্তিযুদ্ধকে বলেছিলেন জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। কওমিরা ঈমান আকিদার কথা বলে, রাজনীতি আসলে তাদের কাছে মূখ্য নয়। হেফজাতও কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এ কথাটা তারা নিজেরাই বলে। তবে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধের মাধ্যমে যে তাণ্ডব তারা করেছে সেটা কোনও অংশে রাজনীতি বিবর্জিত ছিল না। ধর্মের লেবাসে তারা স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ক্রীড়ানক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো। ইন্ধনদাতা ছিল মাহমুদুর রহমানের মতো কিছু লোক। ১৩ দফা নামের হিংসাত্মক, উদ্ভট কিছু দাবিকে সামনে নিয়ে এসেছে তারা। বায়তুল মোকারমের মতো পবিত্রস্থান তারা বা তাদের ব্যানারে আশ্রয় নিয়ে অন্যরা অপবিত্র করেছে, পুড়িয়েছে।

হেফাজতের দাবির স্বীকৃতিতে আমাদের সব বামপন্থীরা সমস্বরে রেগে গেলেন কেন বুঝা মুশকিল। একসময়ে এ উপ-মহাদেশে বামপন্থীদের বেশ বড় সড় উপস্থিতি ছিল। এখন ক্ষীণকায় স্রোতধারার মতো হয়ে বিলুপ্তির পথে। এর জন্য আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের পতন মূখ্য কারণ হলেও আরও কিছু কারণ স্থানীয়ভাবেও রয়েছে। আর তা হচ্ছে এ উপমহাদেশে বামপন্থীরা ধর্মওয়ালাদের সঙ্গে বৈরি আরচণ করে।

তবলীগও কওমিদের একটা শাখা। তবলীগের টঙ্গী সমাবেশ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের লোক এসে যোগদান করে। অনেকটা বিশ্বায়িত ব্যবস্থা। এরা ঈমান-আকিদার কথা বলে বেড়ায়। এত বড় একটা শক্তিকে বৈরি করে তোলা তো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ধর্মচর্চা এখানে বলতে গেলেতো মায়ের গর্ভ থেকেইতো শুরু হয়। মায়ের গর্ভে থাকতে মুসলমানের সন্তানেরা মায়ের কোরাআন পড়ার আওয়াজ শুনে ভূমিষ্ঠ হয়। সহজে তো মুসলমান মায়ের সন্তানকে ধর্মবিমুখ করা যাবে না। এ বাস্তবতাকে ভুলে যাওয়া বাস্তবতাকে অস্বীকারের সামিল। এতে কারও কোনও লাভ হবে না।

২.

হেফাজতে ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা অপসারণের দাবি তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি নিজেও এ মূর্তি স্থাপনের পক্ষে নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে বিষয়টি উপস্থাপন করে শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন। সর্বশেষ খবরে দেখলাম প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে দেখা হলে তিনি মূর্তি সরাতে বলেছেন বা এমনভাবে রাখতে বলেছেন যাতে ঈদগাহের মুসল্লিদের চোখে না পড়ে।

সুপ্রিম কোর্টের এ ভবন তৈরি হয়েছে ৫০/৬০ বছর হতে চলেছে। তার মূল গম্বুজের নিচে ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ছিল। ভারতের বিভিন্ন হাইকোর্টেও দাঁড়িপাল্লা আছে কোনখানে গ্রিক দেবীর মূর্তি দেখিনি। তবে পৃথিবীর নানা দেশেই এই মূর্তি আছে। এখানে এ মূর্তিটি স্থাপন করে এ বির্তকের সূত্রপাত করলেন কে? যারা এ মুর্তিটি স্থাপনের হুকুম দিয়েছেন তারা কি ভুলে গিয়েছিলেন যে এদেশের সাধারণ মানুষ ভাস্কর্য আর মূর্তির তফাত বুঝে না। যা ভাস্কর্য তাই তাদের কাছে মূর্তি। তবে এটাও ঠিক বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ভাস্কর্যগুলো রক্ষার জন্য আবার তাদের মধ্যেই লোক আছে জীবন দিতে পারে।

দেখা যাচ্ছে ভাস্কর্য নিয়ে প্রগতিশীলদের মধ্যেও বিরোধ। বিষয়টিকে অনেকে হেফাজত বনাম গ্রিক ভাস্কর্য-এর পর্যায়ে নিতে গেছেন। ভাস্কর্যটির প্রযোজনীয়তা, নান্দনিকতার চেয়ে তাদের কাছে হেফাজতকে ঠেকাও মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সুপ্রিমকোর্টের ভাস্কর্য-এর নামে আবর্জনাটি প্রগতির ঝাণ্ডা হয়ে দেখা দিয়েছে। কৌশলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে এখানে ট্যাগ করে দিচ্ছেন অনেকে। শুরু করেছেন মোল্লাদের জুজুর ভয়। এটা কেউ বিবেচনা করছি না যে, যেখানে যা এতো বছর ছিল না সেখানে রাতারাতি তা স্থাপনের মতো আনপ্রোডাক্টটিভ বিষয় নিয়ে জাতিকে বিভক্ত করছি আমরা। হানাহানিও উসকিয়ে দিতে চাচ্ছি।

চরমোনাইর পীর বলেছেন ২০ তারিখের মাঝে মূর্তি না সরালে তিনি ২১ তারিখ মহাসমাবেশ করবেন সোহরাওয়ার্দীতে। যারা মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা কোনও মিটিং মিছিল সমাবেশ করবেন না। তাদের দাবি তাদের হয়ে সব কাজ করতে হবে সরকারকে। আমি জানি না সরকারের কোন ঠ্যাকা পড়েছে তা করার। এটাতো কালী মন্দির নয় যে সরকার এটাকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ পাহারা মোতায়েম করবে। যারা এ মূর্তি বসিয়েছেন আর যারা এ মূর্তি রাখার পক্ষে তাদের উচিৎ হানাহানি সৃষ্টির আগেই মূর্তিটা সরিয়ে ফেলা।

আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এ বার যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা তো সবাই বিএনপির লোক। আমরা শুনেছি যখন এ মূর্তিটি বসানো হয় তখন বারের সেক্রেটারি ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকনের নাকি সমর্থন ছিল। কথাটা সত্যি কিনা জানি না তবে এখন বার এসোসিয়েশনের উচিৎ বিষয়টা নিষ্পত্তি করার উদ্যোগী হওয়া এবং মূর্তিটা সরানোর বিষয় নিয়ে কোনও রাজনীতি না করা। মানুষের প্রগতিশীলতার নিদর্শন দেখানোর বহু ক্ষেত্র আছে। যেহেতু মূর্তি সাধারণ মানুষের মন মেজাজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তা পরিহার করে চলাই তো উত্তম। এই মানুষদের কেউ কেউ হয়তো হৃদয়ের অন্ধত্ব নিয়ে রাতের অন্ধকারে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙে কিন্তু তারা কেউ ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মূর্তি সরাতে বলতে শুনিনি। সে ধরনের কারও খায়েস, ধৃষ্টতা অন্য মানুষ, রাষ্ট্রও সহ্য করবে না।

৩.

মানুষ প্রতি বছর নববর্ষ উৎসব করে। ইরানে নওরোজ পালন তো রীতিমতো শিহরণ জাগানো ব্যাপার। ইসলাম ধর্ম যখন ইরানে তার জায়গা করে নেয় তখন কিন্তু নওরোজকে বাতেল করেনি। আরবে আনন্দ প্রকাশের জন্য উলু ধ্বনি প্রদান করে থাকে। ইসলাম ধর্ম আরবের ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ প্রথা বাতিল করেনি। এখনও সন্তানের জন্ম হলে তারা উলুধ্বনি প্রদান করে। সুতরাং ওলামাদের উচিৎ সংস্কৃতি নিয়ে বাড়াবাড়িতে জড়িত না হওয়া। এটি মূর্তিও নয় অর্চনাও নয়, একটা সংস্কৃতি। আপনার ভালো না লাগলে পালন না করেন কেউ বাধা দিচ্ছে না, আপনাকে বাধ্য করছে না।

ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর সরকার এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার করা নির্দেশ দিয়েছিল। সেটি কোনও কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি পালন করতে না চায় আমার মতে সেখানে চাপাচাপি না করাই ভালো। তবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করতে হবে। এর সঙ্গে কোনও আপস চলবে না। হেফাজতি, মারফতি সে যেই হোক- এর সঙ্গে বিরোধে এলে রাষ্ট্র থেকে বহিস্কার করতে হবে। কঠোর সাজা দিতে হবে। এরা মৌলবাদী নয় শুধু এদের অন্তরে পাকিস্তান।

মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রশ্নে আরও বলবো, সংস্কৃতি এক চলমান নদীর স্রোতধারার মতো, এর স্বচ্ছতা থাকলে সবাই সেটা গ্রহণ করবে। দেশ কাল এখানে বিষয় না। পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রার সে স্বচ্ছতা এবং শক্তি রয়েছে বলে সেটি আগামীতে ছড়িয়ে যাবে অন্য দেশেও। কিছু কাঠ মোল্লা এবং মৌলবাদী মানসিকতার মানুষের বোমাবাজি করা ছাড়া অন্য কোনও শক্তি নেই একে দমন করার। এমনকি বোমাবাজি করেও সম্ভব নয়- এটাও প্রমাণিত। রমনা বটমূলে ৫০ বছর ধরে পালিত হচ্ছে ছায়ানটের গানের উৎসব। অনাগতকালেও পালিত হবে বৈশাখী উৎসব আর সেখানে বোমা নিক্ষেপকারী মুফতি হান্নানরা গলায় রশি নিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলবে। সারা দেশ বৈশাখের মতো সার্বজনীন উৎসবে অতীতের তুলনায় আজ শতগুণ মাতোয়ারা থাকে। তখন চট্টগ্রামের চারুকলার কোন দেয়ালে কোন দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে কালি দিল কিছু আসে যায় না।

লেখক: সাংবাদিক ও শিক্ষক

হেফাজতে ইসলামের অন্যায় দাবির কাছে সরকারের নতি স্বীকার, বর্ষবরণের উৎসবে নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতে হারিয়ে যাওয়া স্বতঃস্ফূর্ততা ইত্যাদি নানা কারণে পহেলা বৈশাখের ভোরে এবার মনটা তেমন ভালো ছিল না। সেই মন খারাপ ভাবটাকে প্রবল বিষণ্নতায় বদলে দিলো একটি খবর- ‘সুনামগঞ্জে আজ উৎসব নেই, আছে প্রতিবাদ’। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের একমাত্র সার্বজনীন উৎসব। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষ সামিল হয় এই উৎসবে। গ্রামে গ্রামে বৈশাখী মেলা বসে। নানান আয়োজন দেশজুড়ে। আর তখন হাওরাঞ্চলে উৎসবের বদলে শোক, প্রতিবাদ। শোক আর কান্না আজ হাওরের কৃষকের ঘরে ঘরে।
অথচ হাওর মানেই যেন উৎসব। আমরা যারা শহুরে মানুষ তাদের কাছে হাওর মানেই থই থই জল, বাউল গান, পূর্ণিমার রাতে বজরায় চড়ে জ্যোৎস্না বিলাস। কিন্তু হাওরের সঙ্গে যাদের নিত্য বাস, তাদের মনে এবার রঙ নেই। অকাল বন্যা আর বাধভাঙা জোয়ারে তলিয়ে গেছে হাওর এলাকার একমাত্র ফসল বোরো ধান। এবার কৃষকেরা একমুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারেনি। তাদের মনে তাই সুখ নেই, রঙ নেই, উৎসব নেই। কৃষকের কান্না আমাদের শহুরে মানুষের মন গলাতে পারেনি, তাদের চোখের জল হাওরের পানির উচ্চতা একটু বাড়িয়েছেই শুধু।
মার্চের শেষ দিকের অকাল বর্ষণই এবার হাওরের মানুষকে পথে বসিয়েছে। আসলে বসার মতো পথও পাবে না তারা; তাদের সব স্বপ্ন, সব আশা, সারাবছরের খোরাকি ভেসে গেছে অথই জলে। অসহায়ভাবে দেখা ছাড়া কৃষকদের আর কিছুই করার ছিল না। হাওরাঞ্চলের বেশির ভাগ জমিই এক ফসলি। বছরের এই একটি মাত্র ফসল কাটা শুরু হওয়ার আগেই তলিয়ে যাওয়ায় দেশের সাত জেলার হাওরের প্রায় ১২ লাখ কৃষক পরিবার দিশাহারা। ফসল হারানোর বেদনা সইতে না পেরে মারা গেছেন এক কৃষক। যারা বেঁচে আছেন, তাদেরও মরতে হবে তিলে তিলে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাত জেলা নিয়ে হাওরাঞ্চল। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই সাত জেলায় এবার ৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতেই এবার অকাল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের সাত জেলায় সামগ্রিকভাবে ফসলের ক্ষতি হবে শতকরা ৩৫ ভাগের মতো। যদিও কৃষকরা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। কোনও কোনও এলাকায় পুরো ফসলই তলিয়ে গেছে। তবু সরকারি হিসাব বিবেচনায় নিলেও ক্ষতির পরিমাণ চার হাজার ৬২৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

হাওরজুড়ে এবার তাই বাউল গান নয়, কৃষকের হাহাকার। ঘরে নিজেদের খাবার নেই, এমনকি নেই গবাদি পশুর খাবারও। গবাদি পশু আসলে গ্রামের মানুষের পরিবারের সদস্যের মতো। কিন্তু গবাদি পশুকে খাওয়াতে না পেরে এবং নিজেদের খাবার জোগাতে পানির দরে বেচে দিচ্ছেন প্রিয় পশুটিকে। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন চালের দাম। ফলে সব দিক দিয়েই এবার মরতে বসেছেন হাওরের মানুষ।

অকাল বন্যায় প্রায় নিয়মিতই হাওরের মানুষদের ভোগায়। অন্য বছরগুলোতে বন্যা আরও পরে আসে। তাই পরিপক্ক ধান ডুবে গেলেও সেখান থেকে কিছুটা উদ্ধার করতে পারে কৃষকরা। কিন্তু এবার বন্যাটা একটু বেশি আগেই এসেছে। তাই পাকার আগেই ধান ডুবে গেছে। ফলে এবার তাদের না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই। ফলে যে হাওর এলাকা আমাদের খাবার জোগায়, এবার তারাই খেতে পাবে না। সুনামগঞ্জের কৃষক বাবর আলী বর্ষবরণ না করার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘বৈশাখের পহেলা দিন নয়া ধানের চাউলের ভাত দিয়া শিরনি করি আমরা। ইটা বাপ-দাদার আমল থাকি চইলা আইছে। বাইচ্চারা কত খুশি অয়। ই-বার তো এক ছটাক ধানও কেউ তুলত পারছি না। কান্দন ছাড়া আমরার কোনও উপায় নাই।’

অতিবৃষ্টি, আগাম বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ওলটপালট হয়ে গেছে প্রকৃতির ছন্দও। তাই অসময়ের বৃষ্টি বা আগাম বন্যার উৎপাত আরও নিয়মিত হবে। দুর্যোগটা প্রাকৃতিক, তাই বলে প্রকৃতির ওপর দায় চাপিয়ে হাওরের মানুষের দুর্দশা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার নানা কৌশল নিয়ে হাওরের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাদের। এমনিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু হাওরের মানুষের ভাগ্যটাই কী খারাপ। তারা বারবার দুর্যোগে পড়ে, প্রতিবার ধ্বংস হয়, আবার ওঠে দাঁড়ায়। কিন্তু তাদের রক্ষায় কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া হয় না কেন? এবারের অকাল বন্যার পর এই বিষয়গুলো অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় আসছে বাঁধ নির্মাণে অদক্ষতা আর দুর্নীতির নানা খবর। হাওর এলাকার বাঁধগুলো সময়মত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। ফলে প্রতিবছরই বাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর আসে। যেমন চলতি মৌসুমে সরকার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সেই কাজ শুরুই হয় ফেব্রুয়ারিতে। প্রতিবছর একই ধরনের সংবাদ দেখেও কি টনক নড়ে না, আমাদের নীতিনির্ধারকদের? তারা কি টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে পারেন না, পারেন না বেড়িবাঁধ মেরামতে অনিয়ম দূর করতে। হাওর এলাকার নদী-খাল-বিল নিয়মিত খনন করার মাধ্যমেও কৃষকদের রক্ষা করার চেষ্টা তো অন্তত করতে পারি। বাঁধ নির্মাণ আর রক্ষণাবেক্ষণের টাকা ইঞ্জিনিয়ার আর ঠিকাদারদের ভাগাভাগির খবর তো ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে বাঁধের টাকা কাদের পকেটে যায়।

দেশের ৭টি জেলায় হাওর আছে। তাই বলে হাওরের মানুষের কান্না শুধু হাওরের বাতাসেই যেন মিলিয়ে না যায়। হাওরবাসীর পাশে দাঁড়াতে হবে আমাদের সবাইকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এবার এই মানুষগুলোর বেঁচে থাকার জন্য সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের খাদ্য দিতে হবে। আগামী বছরের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দিতে, বীজ দিতে হবে।

দেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হাওর এলাকার মানুষ। হাওরের প্রতি তার মমত্ব আমরা সবাই টের পাই। রাষ্ট্রপতির প্রতি আকুল আবেদন তিনি যেন হাওরের মানুষকে বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। হাওর থেকে আমরা বাউল গানের সুরই শুনতে চাই, কান্না নয়, হাহাকার নয়।

লেখক: বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ

[email protected]

একটি বোকা মেয়ের গল্প

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

আজ আপনাদের জন্য অনেক দিন আগে পড়া একটি চমৎকার লেখা শেয়ার করলাম। পড়ে দেখুন আমার ভালো লেগেছে আপনারও ভাল লাগবে।

একটি বোকা মেয়ের গল্প

হাদারাম,

আজও আপনাকে দেখলাম; কলাভবনের সামনের রাস্তা ধরে প্রতিদিনকার মতোই মাথা নিচু করে ভ্যাবলার মতো হেঁটে যাচ্ছেন লাইব্রেরির দিকে। পিঠে সেই ছাই রঙা ব্যাগ আর গায়ে ফতুয়া। আচ্ছা, আপনি সব সময় ফতুয়া পরেন কেন? আপনার শার্ট নেই? আপনি কি জানেন, ফতুয়া পরলে আপনাকে মেয়ে মেয়ে লাগে? আপনার চোখের গড়নটাও মেয়েদের মতো, লম্বা টানা ভ্রু। এমন ছেলে আমার একদম পছন্দ না। ছেলেরা কেন মেয়েদের মতো হবে! আপনি আর ফতুয়া পরবেন না। আর হাঁটার সময় মাথা নিচু করে হাঁটতে হবে কেন? আশপাশে কে আছে সেটা দেখলে খুব অন্যায় হয়ে যায়? কী ভাবেন নিজেকে? খুব ‘নরম-সরম’ মানুষ ভেবে মেয়েরা আপনার প্রেমে পড়ে যাবে? মেয়েরা এত বেয়াক্কেল না, বুঝছেন? আপনার মতো হাদারাম ছেলের প্রেমে কোনো মেয়ে পড়বে না। এমনিতে তো খুব ভাব নিয়ে থাকেন। আপনার ক্লাসমেট জিনিয়া আপুর সঙ্গে এত হেসে কথা বলা কেন? আর কোনো দিন যদি দেখি ওই মেয়ের সঙ্গে হাসাহাসি করতে, তাহলে মুখে চুলের কাঁটা গেঁথে দেব। সেদিন বুঝবেন হাসি কোথা দিয়ে কেমন করে বের হয়!

আমি কিন্তু খারাপ মেয়ে না। দেখতে ভালোই। নাইবা হলাম জিনিয়া আপুর মতো এত ফরসা, তাতে কী; আমি তো আর লম্বামুখো না। আমার চোখ দুটোও সুন্দর, অনেক ছেলেই বলেছে। আমার চুলের কারণে আমার রুমমেটরা তো আমাকে বনলতা সেন বলেই ডাকে। একবার একটু আশপাশে তাকালে কী হয়? আমার চোখে চোখ পড়লে বুঝি চোখ উঠবে? সেদিন তো শেষ রাতে ঠিকই আমার স্বপ্নে আসলেন! ছি! ছি! কী লজ্জা!! কান লাল হয়ে যাচ্ছে এখনো। আপনি কি জানেন, পরের দুই দিন আমি আয়নায় তাকাতে পারিনি! আপনার দিকেও তাকাতে পারিনি।

পরশু সকালে ডিপার্টমেন্টের সামনে এত মন খারাপ করে দাঁড়িয়েছিলেন কেন? আপনাকে এত মন খারাপ দেখলে অন্য কারও বুঝি খারাপ লাগে না? জানেন, আপনার হাসিমুখ দেখলে বুকের ভেতরের প্রজাপতিটা উড়ে উড়ে রং ছড়ায়, জীবনটাই রঙিন হয়ে ওঠে। আমি কিন্তু ঠিকই ওই দিনের আপনার মন খারাপের কারণ বের করেছি। একটা পরীক্ষায় একটু কম নম্বর পেলে এতটা মন খারাপ করতে হয়! আপনি এত বাচ্চা কেন! বড় হবেন না? ক্লাস শেষে বারান্দায় ওভাবে আর দাঁড়াবেন না। জুনিয়র মেয়েরা নোট চাইলে বুঝি সঙ্গে সঙ্গে গলে যেতে হয়? কোনো দিন নোট হাতে বারান্দায় দেখলে সব নোট পুড়িয়ে দেব। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে কিন্তু আপনাকে বেশ লাগে! এত ঘন ঘন শেভ করার কী আছে! রাত জাগবেন না, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। নীল রঙের জিনস প্যান্টটা আর পরবেন না, পায়ের নিচের অংশে ছিঁড়ে সুতা বেরিয়ে গেছে। এখন থেকে টি–শার্ট পরবেন। মাস্টার্স তো প্রায় শেষের দিকে, এবার চাকরির জন্য চেষ্টা করুন। আমাকে কিন্তু অনার্স পড়া শেষ হলেই বিয়ে দিয়ে দেবে। তখন সারা জীবন কে সামলাবে আপনার মতো হাদারামকে? সংসারজীবন নাকি খুব কঠিন। আমি অন্য কারও ওপর ভরসা করে তো আপনাকে ছেড়ে দিতে পারি না। আপনার চাকরি পাওয়াটা খুব জরুরি। আমি জানি, আমাকে ছাড়া আপনার চলবে না।
ইতি
বনলতা সেন।

পুনশ্চ: চিঠিটা পাওয়ার পর এই বোকা মেয়েটাকে খুঁজে নিয়েন। এই বোকা মেয়েটা আপনার কাঁধে মাথা রেখে শরতের চাঁদ দেখতে চায়। আপনি খুঁজে না নিলে কোনো দিনও আর আড়াল থেকে দেখব না আপনাকে। ভালোবাসি বলে কি সব দায় শুধুই আমার?

দুই বছর আগে মল চত্বরে সন্ধ্যায় হাঁটতে গিয়ে ঠিকানাবিহীন একটা নীল খামসমেত এই চিঠিটা কুড়িয়ে পাই। জানি না চিঠিটা তার প্রাপকের কাছে পৌঁছেছিল কি না। জানি না ছেলেটা বোকা মেয়েটাকে খুঁজে পেয়েছিল কি না। পৃথিবীতে কত ঘটনাই তো অজানা থেকে যায়!

_————
লেখকঃ
সাখাওয়াত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ কিভাবে ব্লগিং হবে উপভোগ্য

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো। আজকে আবারো ব্লগিং নিয়ে আমার ভাবনাগুলি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। এখানকার সব ভাবনা আমার নিজের বটে কিন্তু লেখাগুলি বিভিন্ন পোষ্ট থেকে নিয়ে নিজের মতো করে উপস্থাপন করলাম।

শব্দনীড় একটি সামাজিক ব্লগ, আমাদের সমস্ত আলোচনা তাই সামাজিক ব্লগ নিয়ে।

সামাজিক ব্লগ হল এমন ব্লগ সাইট যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের মতামত বা মুক্ত চিন্তা তুলে ধরতে পারে। একজন ব্যক্তি একটি পোষ্ট দেবার পর উক্ত ব্লগের অন্যান্য ব্লগাররা তার পোষ্টর উপর মন্তব্য করতে পারে।

ব্লগে কি ধরনের লেখা লিখতে পারেন

সামাজিক ব্লগ একজন ব্লগারের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। সাধারনত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়েই বেশি লেখালেখি হয়ে থাকে।

আপনি ব্লগে ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণীমূলক লেখা, ছবি পোস্ট, ব্যক্তিগত অনুভুতি টিপস পোস্ট, টেকনোলোজি বিষয়ক সহযোগীতামূলক পোস্ট সহ বিভিন্ন ধরনের লেখা পোষ্ট করতে পারেন।

আপনি যদি কবি সাহিত্যিক লেখক বা কলামিস্ট হন বা হতে চান তবে আপনি আপনার কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কলাম ইত্যাদি ব্লগে পোস্ট করতে পারেন।

সামাজিক ব্লগগুলোতে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগারদের মধ্যে তুমুল আকারে তর্ক-বিতর্ক লক্ষ্যা করা যয়। আপনিও ব্লগের নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখে আপনার আদর্শের পক্ষে এই ব্লগীয় বিতর্কে অংশগ্রহন করতে পারেন।

ব্লগে লেখার সময় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে?

আসলে ব্লগে এসে বিশেষ কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে না, বরং আপনার আশেপাশে চোখকান খোলা রাখলে ব্লগে লেখার নানা বিষয় আপনার খেয়ালে ঘুরপাক খাবে নিশ্চিত। ব্লগে এসে আপনাকে কেবল সেগুলো গুছিয়ে লিখে ফেলতে হবে। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, আপনার শিক্ষাঙ্গন-অফিসের কোন অনিয়ম অথবা সাফল্য, চলতি পথে কোন দূর্ঘটনা, ট্যাফিক জ্যাম, দৈনন্দিন বাস যাত্রায় ঘটে যাওয়া সকালের অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতাকে বলতে পারেন ব্লগে। আপনার মোবাইল ফোনটিকে ব্যবহার করতে পারেন ছবি তুলতে বা ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারনে। ব্লগে শেয়ার করুন এসব ’এক্সক্লুসিভ’, এই সূক্ষ্ণ বিষয়গুলোও কিন্তু নাগরিক সাংবাদিকতার অন্তর্গত। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপি-পেস্ট পোস্ট নয়, বরং আপনার প্রতিক্রিয়ামূলক পোস্ট দিতে পারেন।

দ্বীধাহীন বক্তব্য প্রদান করুনঃ

আপনার লেখায় মনের ভাব প্রকাশে কখনই দ্বিধা করবেন না। এতে লেখাটি পাঠকের কাছে আপনার পরিচয় করিয়ে দেবে। মনে রাখবেন পাঠকের সাথে আপনার সম্পর্ক যত বেশি ঘনিষ্ট হবে আপনার ব্লগ এর সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।

প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় ব্লগ লিখুনঃ

কোন প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আপনার মতামত-প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পোস্টের মাঝে বা শেষে সংবাদের সূত্র উল্লেখ করবেন, কারো কোন উদ্ধৃতি , ছবি ব্যবহারেরও সূত্র উল্লেখ করতে সচেতন থাকুন। আপনি অন্য কোন ব্লগ থেকে বা আপনার সহ-ব্লগারের কোন লেখা কপি-পেস্ট করলে অবশ্য অবশ্যই সূত্র উল্লেখ করা উচিত।

লেখাকে সাজানঃ

আপনার ব্লগ পোষ্টের দৃষ্টিনান্দকিকতা আপনার আলোচনার বিষয় বস্তুর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগ পোষ্টটি ছোট ছোট অনেকগুলো প্যারা করে সাজান। প্রতিটি প্যারায় সম্ভব হলে দুই বা তিনের অতিরিক্ত বাক্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বেশিরভাগ পাঠক অনেক বাক্যের জড়োসড়ো করে সাজানো ব্লগ পড়তে আগ্রহী হন না। ব্লগে যথেষ্ঠ ফাকা জায়গা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয় এবং পাঠককে সম্পূর্ণ ব্লগ পোষ্টটি পড়তে আগ্রহী করে। তবে সবসময় অল্প কথায় পোষ্ট দেবার চেষ্টা করুন যা পাঠক সহজে পড়তে পারে।

ব্লগ হতে পারে চিন্তার আদান প্রদানঃ

ব্লগ সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম প্লাটফর্ম। ব্লগ টিম কেবল মাত্র সহযোগী, ব্লগের মূল প্রাণ আসলে ব্লগাররাই। ব্লগিংকে প্রাণবন্ত করতে পোস্ট দেয়ার পাশাপাশি সহ-ব্লগারদের পোস্টে মন্তব্য প্রদান করুন, মন্তব্যের জবাব দিন। নাগরিক সাংবাদিকতা কেবল পোস্ট দিয়েই সম্পন্ন হয় না। আলোচনা বা নাগরিক প্রতিক্রিয়াও সফল নাগরিক সাংবাদিকতার অন্তর্গত। তাই পোস্ট অথবা মন্তব্যে সহ-ব্লগারদের প্রতিক্রিয়া-যুক্তি-তথ্য নিয়ে আলোচনায় নিজেকে সম্পৃক্ত করুন।

আপনাদের ভালো হোক। শুভ ব্লগিং।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
আজ দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব।

হাই হ্যালো।

আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করতে এসেছি। এ কথাতে কোন ধরনের বিতর্ক নেই যে আমরা যারা ব্লগ লেখি বা পড়ি তারা সকলেই কোন না কোন ভাবে লেখালেখি ভালোবাসি। আমরা আমাদের ব্যাস্ত জীবন থেকে কিছু সময় বের করে এখানে কিছু সময় দেই।

আমি মনে করি একজন লেখকের সফলতা তার পাঠকপ্রিয়তা। এ বিষয়ে বিতর্ক আছে অবশ্যই কিন্তু যারা মনে করেন জনপ্রিয়তা কোন ব্যাপার নয়, আমার লেখা আমি লিখে যাব কেউ পড়ল কি পড়ল না তা দেখার বিষয় আমার নয়, তারা আমার পোষ্টের বাকি অংশটুকু না পড়লেও পারেন। কিন্তু যারা ভাবেন ব্লগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে আমি আমার ভাবনার লিখিত রূপকে জনপ্রিয় করে তুলব তারা পড়ে দেখতে পারেন আমার এ লেখাটি। কাজে লাগতে পারে।

শিরোনামঃ

আপনার লেখাটির একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দিন। মনে রাখতে হবে পাঠক সর্ব প্রথম আপনার লেখার শিরোনাম দেখে আকৃষ্ট হয়। শিরোনামের আকর্ষন হীনতার কারণে অনেক ভালো মানের লেখা পাঠকপ্রিয়তা হতে বঞ্চিত হয়।

শিরোনামের পর আপনার ব্লগে না ঢুকেও যে অংশটুকু দেখা যায় তাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। এ অংশটুকু শিরোনামের মতই গুরত্বপূর্ণ।

কনটেন্টঃ

সর্বক্ষেত্রেই কনটেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের প্রাণ। আপনি যে বিষয় নিয়েই ব্লগিং করেন না কেন, ব্লগে অবশ্যই সবার থেকে আলাদা এবং ভালমানের কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সবসময় সবাইকে এই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলি। কোন একটি পোষ্ট লিখার সময় আপনি ঐ লিখাটি সাবার কাছে সুন্দর, সহজ এবং বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে পারলে, তখন আপনার লিখাটির প্রতি সবাই আকৃষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন বিষয়ে যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে পাঠককে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারেন। কারণ পাঠকরা আপানার মত সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হবে না। সে ক্ষেত্রে সহজভাবে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে পারলে আপনি একজন ভালমানের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, লিখার মধ্যে অবশ্যই ভালমানের পরিপাটি করা সুন্দর ও স্মার্ট শব্দ থাকলে বিষয়টি আরো ভাল হয়।

কমেন্টের সঠিক প্রতি উত্তর দেয়াঃ

এ বিষয়টি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাঠক যখন আপনার পোষ্ট পড়বে তখন পোষ্টের কিছু বিষয় হয়ত ঠিকমত বুঝবে না। এ ক্ষেত্রে তারা চাইবে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকট থেকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে। আপনি যদি কমেন্টের প্রতি-উত্তর প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে কমেন্টকারীকে সহজ ও বোধগম্য করে সন্তুষজনক জবাব দিতে পারেন, তাহলে ঐ পাঠক নিঃসন্দেহে আপনার ব্লগটিকে তার প্রিয় ব্লগের তালিকা রেখে Bookmark করে নেবে।

অন্যের পোষ্টে মন্তব্য করাঃ

প্রথমত অন্যের পোষ্ট পড়ুন এবং অন্যের পোষ্টে চমৎকার উপস্থাপনায় মন্তব্য করুন। ভাল লেগেছে, ভাল হয়েছে এ জাতীয় মন্তব্য না করে সমালোচনামূক মন্তব্য করুন, গঠনমূলক প্রশংসা করুন। ভাববেন না অন্যেকে কঠিকভাষায় সমালোচনা করলে সে আপনার পোষ্টে আসবে না বরং আপনি যদি লেখাটি পড়ে তার কঠিন সমালোচনা করেন তবে মাঝে মাঝে রেগে গেলেও আপনাকে মনে রাখবে এবং আপনার পোস্টে ঢুকবেই।

Social Media Promote করাঃ

বর্তমান সময়ে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রেও সোসিয়াল মিডিয়াকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারন বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এত বেশী যে, আপনার লেখার প্রচার-প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে Facebook এবং Twitter এ আপনার বিভিন্ন পোষ্টের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার জনপ্রিয়তা এবং ট্রাফিক দুটিই বৃদ্ধি করতে পারবেন।

অনেক কথা হলো।
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশ… কৌতুক যুদ্ধ

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

আমি এসেছিলাম কিছু হাসিখুশি সময় কাটাতে। ভুল করে ঢুকে গিয়েছিলাম কবিতা পড়ায়। এমন নাকানি চুবানি খেয়েছি, বলার ভাষা নাই। তবু কষ্ট করে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলাম, কিন্তু রাতে এসে এক কবি (মহিলা) এমন শিক্ষা দিয়েছেন যে আমি পালিয়ে এসে ভাবছি আর যাব না কবিতার তলায়। তারচেয়ে আসুন দেখি আপনাদের হাসাতে পারি কিনা। এখানকার সবায় এমন গম্ভীর কেশে কথাই বলতেই চান না!

আজ ২৬ মার্চ। আসুন একটা যুদ্ধ চালাই। কৌতুক যুদ্ধ।

আমি শুরু করি। তারপর আপনারা মনের ইচ্ছেমতো।
….

পাকিস্তানি এক ক্যাপ্টেন প্রায় নাচতে নাচতে এসে জেনারেলকে বললেন—
: স্যার, আমি এইমাত্র এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি, যা ৫০ জন মুক্তিসেনার সঙ্গে লড়তে সক্ষম।
জেনারেল: কী সেটা?
: ২০০ জন পাকসেনা।

……..
এক পাকিস্তানি সার্জেন্ট ২০ জন সেনাসদস্যের একটি দলের উদ্দেশে বললেন, ‘আমি ঠিক করেছি, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে অলস যে, তাকে সবচেয়ে সহজ কাজটা দেব। কে সবচেয়ে অলস? ১৯ জন সদস্যই হাত তুলল। সার্জেন্ট হাত না তোলা সদস্যটিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি হাত তুলছ না কেন?’
সৈন্য: স্যার, হাত তুলতে কষ্ট হয়।

…….
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক এক পাকিস্তানি সেনা তার নাতির কাছে যুদ্ধের স্মৃৃতি রোমন্থন করছিল—
নাতি: দাদু, যুদ্ধের সময় তুমি তো একজন সেন্ট্রি ছিলে। রাতে পাহারা দিতে তোমার ভয় করত না?
দাদু: মাঝেমধ্যে করত।
নাতি: কখন?
দাদু: যতক্ষণ না আমি ঘুমিয়ে পড়তাম।
……
জেনারেল ইয়াহিয়া রাগান্বিত হয়ে এক সেনাকে বরখাস্ত করে দিয়ে বললেন, ‘আমি নিশ্চিত, আর্মি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তুমি আমার মৃত্যু কামনা করবে, যাতে করে তুমি আমার কবরের ওপর থুথু নিক্ষেপ করতে পারো।’
সৈন্যটি বলল, ‘না স্যার। বরখাস্ত হওয়ার পর আমি আর লাইনে দাঁড়াতে চাই না।

এবার আসুন সেরা কৌতুকটা আপনাদের শুনাই।

কৌতুকটা প্রতমবারের মত চয়ন করা হলো ক্ষূদেব্লগারের ঝুড়ি থেকে। তাই এটা পড়তে গেলে নিশ্চয় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন নিম্নরুপ_

**কৌতুকটা অত্যাধিক হাসির তাই হাসতে হাসতে যেকোন অঘটন ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই থাকে।

**আপনি কৌতুকটা পড়তে গেলে অবশ্যই একজন ডাক্তার পাশে রাখবেন। কারন যদি হাসতে হাসেত আপনার দম বন্ধ হয়ে আসে তখন ডাক্তার ডাকার সময় পাবেন কি না এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিবে।

**তাছাড়া ৬০ উদ্ধ কোন লোক এই কৌতুকটা পড়তে পারবেন না কারন এই কৌতুকটা এমনই একটা মজার কৌতুক যে হাসতে মাতার তার ছিড়ে যেথে পারে।

**কৌতুকটা কোন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি পড়তে পারবেন না, কারন হাসতে হাসতে ইনারা হাটফেইল্ড করতে পারেন।

**এছাড়াও কৌতুকটা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন তারা এটা পড়তে না পারে, কারন তারা এটা পাঠ করলে আর কোনদিন স্কুলমূখী হবেনা সারা জীবন কািঠয়ে দিতে চাইবে এমন মজার মজার কৌতুক পড়ে পড়ে।

আহ্হারে দেখছেননি কি কান্ডটাই না হইল আপনাগো শর্ত দিতে দিতে কৌতুকটাই কি ছিল ভুলে গেলাম! পাঠক বৃন্দ কেউ মাইন্ড কইরেন না অবশ্য যখনই আমার মনে পড়বে কৌতুকটা তখনই আমি আপনাগো দরবারে তা হাজির করবই করব। কেমন——–?

এতক্ষন বরং আপানাদেরটা শেয়ার করুন

তো হয়ে যায় কৌতুক যুদ্ধ।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশ- কবিতা পর্ব

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো!

ব্লগে লিখছেন আপনি? শব্দনীড় ব্লগটিতে আসলেই দেখি কবিতার পর কবিতা পোষ্ট আসে। খুব ভাল। আমি কবিতা পছন্দ করি। আমার প্রথম পোষ্টটি তাই কবিতা নিয়ে। আজ আমি আপনাদের বলব কি ভাবে আর কোন ভাষায় কবিতা লিখলে লোকে আপনার কবিতা পড়বে। আর কেউ যদি মনে করেন কেউ পড়লে পড়বে না পড়লে নাই, তাদের প্রতি আমারও কোন বক্তব্য নাই।

আপনি কবিতা লেখেন? আপনি কঠিন ভাষার কবি। আমার পছন্দের নয়।

আমার কি পছন্দ তাতে আপনার কি আসে যায়! হবে না কিছুই বিনিময়, না মন না অন্য কিছু তবু আপনাকে বলি কেন এত কঠিন শব্দের গাঁথুনিতে একটা ভাব ধরে থাকেন? যেন পাঠক বুঝে বাহাবা দিচ্ছে আপনাকে! আমি বলছি, না বুঝে বাহবা দেয়ার লোক আছে এই দুনিয়ায়। আপনি কঠিন ভাষায় লিখছেন উহূ তারা বলছে হু হু।

তার চেয়ে লিখুন না সহজ ভাষায় মন মাতানো কোন কবিতা। পাঠক বাস্তব জীবনের কঠিন থেকে একটু রেহাই পাক। এক একটা কবিতা পাঠ করে পাঠকের মন হয়ে উঠুক আনন্দময়।

লিখে ফেলুন না এমন কবিতা

দুইটি পাড়ায় বড়োই কাছাকাছি,
মাঝে শুধু একটি মাঠের ফাঁক—
তাদের বনের অনেক মধুমাছি
মোদের বনে বাঁধে মধুর চাক।
তাদের ঘাটে পূজার জবামালা
ভেসে আসে মোদের বাঁধা ঘাটে,
তাদের পাড়ার কুসুম — ফুলের ডালা
বেচতে আসে মোদের পাড়ার হাটে।

আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,
আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা
আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে—
আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা।

মনে রাখবেন কবিতা একটা শিল্প মাধ্যম। কেবল কিছু শব্দই কবিতা নয়, কিছু ভাবই শুধু কবিতা নয়, কবিতার শব্দগুলি চলে কিছু মাত্রা গুনে গুনে, ছন্দে লিখেন বা ছন্দহীন শব্দগুলি সাজাতে হবে মাত্রায়।

এক কাজ করুন না কবিতা লেখার সাথে সাথে ছন্দ নিয়ে কিছু পড়ে নিন না। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতার ক্লাস বইটি জোগার করে নিন। একেবারে সহজ সরল বর্ণনা পাবেন তাতে।

যেদিন এমন কোন প্রেমময় কবিতা পাব আপনার কাছ থেকে সেদিনের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা।

আমি আমার কথা বললাম আপনার বক্তব্যটি তুলে ধরুন। যারা মনে করেন আমি লিখব, ব্লগে কিংবা ফেসবুকে পোষ্ট করব, কিংবা জাতীয় কোন নামকরা সাহিত্য পত্রিকায় ছাপবো কেউ পড়ুক বা না পড়ুক কিছু এসে যায় না, তাদের ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই।

সকলের শুভ হোক।