স্বাধীন ভারত স্বদেশের গান গীতিকবিতা প্রথম পর্ব

পরাধীন ভারতবাসীর স্বাধীনতার স্বপ্ন
স্বাধীনতার সংগ্রাম…… স্বাধীন ভারত

তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর শহিদদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে। বাল গঙ্গাধর তিলক তিলক স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সেরা মুখ ছিলেন। সরোজিনী নাইডু মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে সরোজিনী নাইডু ছিলেন সর্বাগ্রে। বিসমিল আজিমাবাদী বিসমিলের ভাষণ আজও সকলের মুখে মুখে ফেরে। সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালির চিরনায়ক সুভাষচন্দ্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন (১৮৫৭-১৯৪৭): একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ভারতবর্ষে ২০০ বছরের ইংরেজ শোষনের ইতিহাসঃ
মুলতঃ ইংরেজরা ১৬০৮-এ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনকালে সুরাটে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি পায়। আস্তে আস্তে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের বিচরণ শুরু হয়। ১৬৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন প্রতিনিধি হিসেবে জেমস হার্ট ঢাকা প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে বাংলায় ইংরেজ আগমন শুরু হয়। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী যুদ্ধ হয় তাতে বাংলার নবাবের করুন মৃত্যু দিয়ে এই ভুখন্ডে অর্থাত্‍ ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।

এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয় ইংরেজদের পক্ষ থেকে লর্ড ক্লাইভ। এবং তাকে সহায়তা করে নবাব সিরাজের পরিবারের কয়েকজন ও মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগত শেঠ সহ অন্যান্য বিশ্বাসঘাতক। বিশ্বাসঘাতকতার পুরষ্কার স্বরূপ মীরজাফর বাংলার নবাব হয় এবং লর্ড ক্লাইভ তত্কামলীন ত্রিশ লক্ষ টাকা ও চব্বিশ পরগনার জায়গিরদারি লাভ করে। এর পরে লর্ড ক্লাইভ ইংল্যান্ড চলে যায় আবারো ফিরে আসে ১৭৬৫ সালের মে মাসে এবং ইংরেজ সরকারের গভর্নর নিযুক্ত হন। একজন কেরানী থেকে সে গর্ভনর হয়।

পরাধীন ভারতবাসীর স্বাধীনতার স্বপ্ন
স্বাধীনতার সংগ্রাম…… স্বাধীন ভারত
স্বদেশের গান (গীতি কবিতা) প্রথম পর্ব

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

জাগো জাগো……
জাগো হিন্দু মুসলমান।
ভারতের বীর সন্তান ।।

ভাঙো ভাঙো…..
পাষাণ কারার ঐ লৌহ প্রাচীর।
ভারতের সন্তান বিদ্রোহী বীর॥

চলো চলো…..
ডাক দিয়েছে ভারত মাতা।
শুনি আহ্বান ভাগ্য বিধাতা॥

জাগো জাগো….
ঘুমায়ো না আর দেখো চাহি।
জেগে ওঠো আর সময় নাহি॥

শোনো শোনো……
শোনো সকলেই পাতি কান,
মাভৈঃ। শুনি ওই আহ্বান॥

জাগো জাগো……
জাগো হিন্দু মুসলমান।
ভারতের বীর সন্তান ।।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “স্বাধীন ভারত স্বদেশের গান গীতিকবিতা প্রথম পর্ব

  1. পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে শুধু ভারতবর্ষ নয় পৃথিবীর সকল মানু্ষ মুক্তি পাক। সেটা্ থাকবে আমাদের প্রার্থনা। খুব সুন্দর খোলামেলা আলোচনা।

  2. সুভাষ চন্দ্র বসু বাঙালির চিরনায়ক সুভাষচন্দ্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী। এই সত্য মানতেই হবে। এবং ইতিহাসে তিনি আজন্মকাল ভাস্বর থাকবেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।