শারদ সংকলন-১৪২৭ কবিতা মালা আগমনী গীতি কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

শারদ সংকলন-১৪২৭ কবিতা মালা
আগমনী গীতি কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সুনীল আকাশে সাদামেঘ ভাসে
শরতের আগমনে,
শিউলি, বকুল টগরের ফুল
ফুটিল ফুলের বনে।

সূর্যের কিরণে বিষন্ন বদনে
শিউলিরা পড়ে ঝরে,
নিশির শিশির পড়ে ঝির ঝির
সবুজ ঘাসের পরে।

নয়ন দিঘিতে শালুক ফুটেছে
বক বসে থাকে পাড়ে,
পানকৌড়ি আসে কভু জলে ভাসে
কচুরি পানার আড়ে।

বরষার শেষে শরত্ এসেছে
আঙিনায় রোদ হাসে,
মন্দিরের মাঝে ঢাকঢোল বাজে
কাঁসরের শব্দ ভাসে।

দিবসের খেলা পড়ে আসে বেলা
সাঁঝের আঁধার নামে,
জোছনার রাতে চাঁদ তারা সাথে
হাসে খেলে আশমানে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “শারদ সংকলন-১৪২৭ কবিতা মালা আগমনী গীতি কবিতা (পঞ্চম পর্ব)

  1. কবিতা পড়লাম। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি মি. কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।