‘‘বগুড়া আঞ্চলিক ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি ’’
কয় জুনে দেখছুনু খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছুনু
হামার দেহ মাটি- কিছু নেরা ইউপুকার দল বল!
খাবার চিন্তা ভাবনা এখে বারে ভিন্ন রকম;
যেখানে লোহা ঢুকনে পারনু না, সেখানে বিষ ঢুকবে
ক্যাকা করে বারে; দেহ পঁচে গেনু কানা মায়ের
কি যায় আসেনু- ব্যাচবের থাকাটাই নষ্ট সময়রে দায়;
এতো লুভ করে কি লাব পাছুনু- দেহের সাতে
কি নিয়ে গেনু- ভাবছুনু না –জগত সংসারে শুধু
পঁচানু দেহ মাটির আগা গুড়া মধ্যে বাহরে; ঘৃনা করা
জরজরিত ভিয়ের আবাদ- দুঃখ হিংসা পানিত সাঁতার
কাটে স্রোত- একটু থামছুনু, দেখছুনু, বুঝছুনু- না হলে
পঁচে যাবিহিনি হামার দেহ মাটি গন্ধ সুঙ্খুনু যত বার।
অনুবাদ
কায় জনে বা দেখে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে
দেহের মাটি- কিছু নেরা ইউপোকার দল বল-
খাওয়ার চিন্তা ভাবনা একে বারে ভিন্ন রকম!
যেখানে আলপিন, ফালপিন ঢুকবে না,
সেখানে বিষ ঢুকাবে কেমনে কি করে?
দেহটা পঁচে গেলো কানা মায়ের কি যায়
আসে, বেঁচে থাকাটাই নষ্ট সময়, কেউ তো
নিবে না দায়- এতো লোভ করে কি লাভ পাবে-
দেহের সাথে কি নিয়ে গেলে! ভাবছ না-জগত
সংসারে শুধু পঁচালে দেহ মাটির ভিতর বাহিরে ।
ঘৃণায় জরজরিত ফসলের মাঠ; দুঃখ ,ক্ষোভ-
জল সাঁতার কাটার ঢেউ- একটু বার থাম, দেখো,
বুঝ, তা না হলে পঁচে যাবে দেহ মাটি সুঘ্রাণ যত।
০৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০
—————————————-
বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা মনোমুগ্ধকর কবিতা। সত্যি ভালো লাগার এ এক অন্যরকম কবিতা। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
জ্বি নিতাই দা
অশেষ ধন্যবাদ জানাই
ভাল ও সুস্থ থাকবেন—
নিখুঁত লিখনীতে মন উৎফুল্ল হলো ।
জ্বি মহী দা
অশেষ ধন্যবাদ জানাই
ভাল ও সুস্থ থাকবেন—
আজকের লিখাটি অসাধারণ ফুটিয়েছেন বাউল কবি মি. আলমগীর সরকার লিটন।
জ্বি মুরুব্বী দা
অশেষ ধন্যবাদ জানাই
ভাল ও সুস্থ থাকবেন—
সব কথা না বুঝলেও আপনার চেষ্টার প্রসংশা করলাম কবি দাদা।
সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত
ভাষাটা কঠিন লেগেছে বটে। চমৎকার বিনির্মাণে রচিত হয়েছে কবি দাদা। শুভ কামনা।