সোনা রোদ ঝরে নদীচরে অজয় নদীর কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ (প্রথম পর্ব)

সোনা রোদ ঝরে নদীচরে। অজয় নদীর কবিতা
শারদ সংকলন-১৪২৭ (প্রথম পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সোনা রোদ ঝরে অজয়ের চরে
দুইধারে কাশবন,
সাদা মেঘমালা করে আনাগোনা
শরতের আগমন।

যাত্রীরা আসিছে কিনারার কাছে
মাঝি তরী আনে কূলে,
চাপিল সবাই যাত্রীরা নৌকায়
সবে বোঝা মাথে তুলে।

চলে হেলে-দুলে লাগিল একূলে
যাত্রী সবে নেমে যায়,
রাঙাপথ ধরে চলে সবে ঘরে
বোঝা আপন মাথায়।

অজয়ের কূলে সাদা কাশফুলে
দুধার গিয়েছে ছেয়ে,
হাতে একতারা বাজায় দোতারা
চলেছে বাউল গেয়ে।

অজয়ের চরে বেলা আসে পড়ে
মাঝি শেষখেয়া বায়,
রবি অস্ত যায়, আলোক হারায়
দিনের শেষে সন্ধ্যায়।

রাতের আকাশে চাঁদ তারা হাসে
জাগে সারারাত ধরে,
রাতে পেঁচা ডাকে শেয়ালেরা হাঁকে
অজয় নদীর চরে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “সোনা রোদ ঝরে নদীচরে অজয় নদীর কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ (প্রথম পর্ব)

  1. সোনা রোদ ঝরে অজয়ের চরে
    দুইধারে কাশবন,
    সাদা মেঘমালা করে আনাগোনা
    শরতের আগমন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    পরস্পর পরস্পরের দৈনন্দিন ব্লগে উৎসাহ ভালোবাসা বিনিময়ে ব্লগিং হোক আনন্দের।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।