সারাটা বছর ধরে অপেক্ষায় থাকি শরত কালের। আনমনে ইতিউতি ওড়াউড়ি করে পুজো পুজো গন্ধ। মেঘে, ঘাসে, ফুলে, রোদ আর জল নিয়ে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে তোলে। নরম রোদ ধরে রাখে আলো।
আজ বেশ কয় দিন হল আকাশে, বাতাসে একটা সাজো সাজো রব, চারিদিকে একটা ঝলমলে ভাব। মাঝে মাঝেই ভাবছি কতকিছু কেনা হয় নি, কতকিছু বাকি রয়ে গেলো। এদিকে রাস্তায় বেরোলেই বোঝা যায় চারিদিক ছাতিম ফুলের সুবাসে ভরে আছে।
পুজো আসছে তাই ঘর দোর পরিস্কার করতে হবে। আর যেদিন পরিস্কার করা হয় সেদিন সক্কাল হতে না হতেই ঝুল ঝাড়ু, ঝ্যাঁটা, ঝাড়ন ইত্যাদি নিয়ে লেগে পড়ি। চেয়ার নাড়াচ্ছি-টেবিল সরাচ্ছি-টেবিলের ওপরে চেয়ার তুলে ঘরের সিলিং অবধি উঠে বসছি-খাট ঘোরাচ্ছি-ইত্যাদি। বাড়ির বাকিরা অবশ্য বেশ অবাক হয়ে যায়। ঘরে ঢুকতে গিয়ে বারুইপুর স্টেশন ভেবে, জিজ্ঞেস করেই ফেলে “বনগা লোকাল কটায়?” আমি কিন্তু এরই মধ্যে মুনি ঋষির মতন নির্বিকার-অটল অনড় কাজ করেই চলি। কাঁধে ঝাড়ন আর হাতে ঝুল ঝাড়ু নিয়ে ঘেমে নেয়ে ধুলো মেখে হাঁপিয়ে বসে একটু যখন একটু বিশ্রাম নিচ্ছি, হঠাৎ করে শিউলি গন্ধ ভেসে আসে, সাথে নিয়ে আসে ঝকঝকে একফালি রোদ আর শিরশিরানি বাতাস আমার কানে কানে এসে ঠিক তক্ষুনি বলে যায়, “এই মেয়ে জানিস তো, দুর্গা আসছে।” যেই না শোনা ওমনি আমার মনের মধ্যে ঢাকে কাঠি পড়ে, “ঢ্যাং কুরাকুড় তাকুড় নাকুড়” আমাকে চমকে দিয়ে মন বলে ওঠে, “দুর্গা আসছে, আমার ঘরে, এক বছরের কত্তো গল্প নিয়ে, আমার কাছে।'
জীবন কথা। জীবনের কথা। আপনার লিখা গুলোতে অসাধারনত্বের ছাপ লক্ষ্য করি প্রিয় কবি বন্ধু রিয়া চক্রবর্তী। অল দ্য বেস্ট।
Excellent writen
মেঘে,ঘাসে, ফুলে রোদ আর জল নিয়ে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে তোলে। নরম রোদ ধরে রাখে আলো।
পুজোরগল্প । সুন্দর নির্মাণ প্রিয় কবি রিয়া দিদি। শরতের শুভেচ্ছা রইল।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
ঘরদোর আজই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে দিদি। এখন শুধু ঢাকের শব্দের অপেক্ষায়। আগাম শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো।