১৯শে নভেম্বর ইসরাত জাহান রাফির জন্মদিন ছিল। সে জন্মদিনে ইসরাতের ছোট ভাইয়ের স্মৃতিচারণ ।
#চিঠিঃ
আপু আপনাকে ভুলিনি আমি, আমার অনুভূতিতে এক নিবিড় স্বপ্ন হয়ে আপনি আছেন। অদৃশ্য ভালোবাসায় ভর্তি আমার অনুভূতিগুলো, আপুনি শুনতে পাচ্ছেন কি আমার শব্দহীন চিৎকার? আপনাকে হারিয়ে এখনো এক মানসিক বিপর্যয়ে নিমজ্জিত আমি। হাসিটাই আমাদের ভালো থাকার কারণ ছিল তাইনা আপু? কিন্তু কিছু মানুষরূপী জানোয়ার ইতি টেনে দিল আমাদের সম্পর্ককে। স্মৃতিচারণ করা ছাড়া নিজের মনকে শান্তনা দিতে পারছিনা।
বোন তোকে ভুলে থাকতে পারছিন আমরা।
তোকে উপলব্ধি করি আজো নিদ্রাহীন রাতে, একাকী নিঝুম দুপুরে, বিষণ্ন সন্ধ্যায়। উপলব্ধি করি একসাথে থাকার দীর্ঘ দিবস রজনী, এখনও অনুভব করি তুই পাশে না থাকার যন্ত্রণা। বোন তোকে নিয়ে কোন অনুভূতি কাব্যিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বহু স্বপ্ন দেখতাম আজকের এই দিনটিকে ঘিরে। মানুষরূপে হায়েনারা তোকে আমার বুক থেকে কেড়ে নেওয়ায় তা এখন শুধুমাত্র কল্পনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
বাকি জীবনেও হয়তো পরিপূর্ণ পাবেনা আমার স্বপ্ন; একজন দায়িত্বশীল,প্রতিবাদী বোন হয়ে আমার মাঝে তুই বিরাজমান। কোন শব্দ দিয়ে তোর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা সম্ভব না!! বড় অসহায়ের মতো লাগছে নিজেকে। জন্মদিনে নেই কোন আনন্দ নেই কোন অনুভূতি, আছে শুধু মনের ভেতর জমানো কষ্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ভালোবাসা ভাই-বোনের ভালোবাসা, ভালো থাকুক পৃথিবীর সব ভাই-বোন। প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সূর্য যতটা মূল্যবান, তুই আমার কাছে তার থেকেও লক্ষ কোটি গুণ মূল্যবান কারণ তুই আমার বোন।
শুভ জন্মদিন।
বোন নুসরাত।
#আমার কথাঃ
আধুনিক যুগের নমরূদ সিরাজ । সাথে আছে তার সহযোগী সৈন্য সামন্ত। তাদের পরিচয় ক্ষমতাবান রাজনৈতিক নেতা। নেতারা এইখানে ধর্মীয় লেবাসে মুখোশধারী একজন নমরূদের সহযোগী। তাই একজনের মেয়ে একজনের বোন ইজ্জত আব্রু বাঁচাতে সংগ্রাম রত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মরলো এই নমরূদ বাহিনীর হাতে। এরা রাজনৈতিক পতিতা যখন তাদের দল ক্ষমতায় আসবে কিংবা থাকবে তারা বিক্রি হবে চড়া দামে এই সব সিরাজের কাছে লোভ,লালসা ও লিপ্সায়। মা ,বোন, বউ ও মেয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মরবে এদের হাতে।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের ফাঁসির রায় হয়েছে। বাকি আসামীর বেশির ভাগই ওই মাদ্রাসার আলিম ও ফাজিল শ্রেণীর ছাত্র ও শিক্ষক। একজন ছাত্র ছাত্রদল একজন ছাত্র শিবির করতো। নুসরাতের দায়ের করা মামলার পর রুহুল আমিন থানা ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছিল। এজন্য সে অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবারের কাছ থেকে টাকাও নেয়। রুহুল আমিন অনেক বছর সৌদি ছিল সেখানে ট্যাক্সি চালাতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফিরে আসে দেশে আস্তে আস্তে রাজনীতির গভীরে গিয়ে, গড়ে তোলে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী । শুরু করে চাঁদাবাজি বালু উত্তলোন সহ নানা অপকর্ম। অল্পদিনে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে নজর দেয় দলীয় পদে।
একজন কমিশনারেরও ফাঁসির রায় হয়েছে। সে সহযোগী ছিল রুহুল আমিনের। একসময় ফুটপাথে বসে কাঁচা সবজি বিক্রি করতো। দল করেই টাকার কুমির বনে কমিশনার হয় এই মূর্খ। সে নেতা বনে সমাজের সালিশ করে টাকা খেত। এরা সবাই অধ্যক্ষ সিরাজের সহযোগী একমাত্র টাকা কারণেই। টাকাই সেতুবন্ধন তৈরী করেছে রুহুল আমিন সিরাজ ও ছাত্র শিক্ষকের মাঝে।
এই নারী লোভী অধ্যক্ষ একজন দুষ্ট লোকই নয় সে একজন প্রতারক ও সুদখোরও বটে। নানান অপকর্মে দক্ষ এক অধ্যক্ষ। ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ থেকে শুরু করে নাশকতা ও মাল্টিপারপাস কোম্পানি খুলে অর্থ আত্মসাতের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ, টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তো আছেই। যত তাড়াতাড়ি ফাঁসির রায় কার্যকর হবে এত তাড়াতাড়ি দেশ কিছুটা স্বস্তি পাবে। না হয় বলতে হবে, মেয়ে জন্ম দেওয়া ও নেওয়া এই সমাজে অপরাধ। না হয় মেয়ে জন্ম দেওয়া বন্ধ করা হোক বাংলাদেশে।
যত তাড়াতাড়ি ফাঁসির রায় কার্যকর হবে এত তাড়াতাড়ি দেশ কিছুটা স্বস্তি পাবে। না হয় বলতে হবে, মেয়ে জন্ম দেওয়া ও নেওয়া এই সমাজে অপরাধ।

না হয় মেয়ে জন্ম দেওয়া বন্ধ করা হোক বাংলাদেশে।
Yes
খুব ভাল লেখেছেন মহী দা