বাহাত্তর বছর হল,
এখনো এক ছেঁড়া শালপাতা ঘিরে
ভাঙাচোরা পাঁচটুকরো অভুক্ত মুখ।
দীর্ঘ তুঘলকি অনাচার
দুশো বছরের তাঁবেদারি পার হয়ে
ভেবেছিলে একদিন তুমিও দেখবে চাঁদ
স্বচ্ছল মদির আনন্দমহলে,
গোপন অঙ্গসব ঢাকা পড়বে
স্বপ্ন পরীর সুগন্ধী ডানায় জড়ানো
রঙিন আচ্ছাদনে,
সারমেয় জীবন পেরিয়ে
প্রত্যেকের থাকবে এক নিজস্ব ক্ষুধাপাত্র।
শিশুও জানেনা তার কখন হাতবদল
একবেলা খাবারের বিনিময়ে,
যখন ইচ্ছা পুরুষালি প্রত্যঙ্গ বিচরণ করে
অনিচ্ছুক জরায়ু অতলে,
ধাতব নলের দাপটে
জঙ্গল পাতাও অকুলান হয়ে যায়।
রুক্ষ দিগন্ত শুধু আগুন ঝরায়
অট্টহাসে হা হা ঝংকারে,
হাহুতাশী খোলা প্রান্তরে
অজস্র ছিদ্র বেয়ে
ঘরে ঢোকে উত্তুরে কাঁপন;
জানোয়ারেরও গায়ে থাকে লোম আস্তরণ।
এমন কথা তো ছিলনা কখনো!
কথাসব বুদবুদ রঙধনু মেলে
মুহূর্তে এগিয়ে আসে, মুহূর্তে মেলায়।
বাহাত্তর বছর হয়ে গেল
লাম্পপোস্ট ফাঁকা রয়ে গেছে-
একখানা কালো মুখও ঝোলেনি সেখানে,
আগাপাস্তলা মানব হাটুরেদল
মসনদ আলো করে আছে।
শুধু হাড়জিরজিরে হাত বছরে দুদিন
আধমুঠো বোঁদেলোভী কন্ঠ মেলায়-
বন্দেমাতরম! মেরা দেশ মহান হ্যায়!
তারপর, আবার উপবাসের শ্বাদন্ত শীতকুয়াসায়।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। ভাল থেকো।
মনোমুগ্ধকর লেখনশৈলী
ভালোবাসা ফয়জুল মহী ভাই।