জলজ্যান্ত মানুষ ‘টিকর বাড়ির টিলা’য়
গেলে মরে যায়, এ এক অলীক রহস্য।
গতকাল যে ভবিষ্যতের স্বপ্নে ঘরের
বায়না করছে, আজ তার নিথর দেহ
আনা হয়েছে ‘টিকর বাড়ির টিলা’য়।
সতেরোর যুবক বুকের বোতাম খুলে
দাঁড়িয়েছিল হাওয়ার বিপরীতে। প্রেমের
কারণে সমস্ত সমাজ যখন তাকে হত্যা
করতে উদ্যত; তখন সমাজপতিদের
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সময় করায়ত্ত করেছিল।
সাতাশে দুই সন্তানের জনক। তৃতীয়
সন্তান চলে আসবে মাসখানেক পরে।
অনাগত সন্তানের জন্য উদায়াস্ত পরিশ্রম;
তবু প্রশান্তি নিয়ে ফিরে প্রতিদিনের প্রেমগৃহে।
তার চিন্তায় ‘টিকর বাড়ির টিলা’ থাকার
কথা না তবু আজ তাকে এ টিলায়
সমাহিত করা হয়। ‘টিকর বাড়ির টিলা’
মানুষ শুষে নেয়। তার ছায়া মাড়ালে
সোমত্ত যুবতীর জীবনে নেমে আসে
অকাল বৈধব্য। এ টিলাকে সবাই উপেক্ষা
করে, অস্বীকার করে। কিন্তু এ টিলা
নিয়তির মত কোন নিস্তার নেই।
জীবনের যত বাহাদুরি, যতই ঊর্ধ্ব গমনের
কাঙ্ক্ষা সবকিছুর যবনিকা ‘টিকর বাড়ির টিলায়’।
প্রায় মিল শিরোনামে এই লিখাটি দ্বিতীয় খণ্ড।
স্বতন্ত্র ঘরানার আয়োজন হিসেবে আমার লিখাটি ভালোই লাগছে কবি।