একঘন্টা বকমবকম করার পরে আজও
আসল কথাটাই বলা হলো না,
ফোন তুললেই তুই এমন
পাহাড়ি ঝোরা হয়ে যাস!
আর আমি ভাসতে ভাসতে
সাঁঝবিহানের কল্পমানুষ হই।
চার চারটে বছর মেশিন হয়েই
কাটিয়ে দিলাম এপাড়া ওপাড়া,
কলেজের পড়ার রক্তচাপ বাড়ছে যতই
ততই ইচ্ছে করছে এই সব
চারদিকে ছড়ানো ছেটানো
বই খাতা পেন পেন্সিলের আজন্ম
সংস্কার লাথি মেরেই তোর দরজায়
টুক টুক ফিস ফিস এই এই এই…
কিন্তু তুইই যে বিভীষণ হয়ে বলেছিস…
আর কতদিন এই খেদমতের কড়ায়
রগড়াতে রগড়াতে পুরো মেশিনই হয়ে যাব!
অথচ তুইই যে আমার আশ্রয়,
কেন বুঝিস না আমারও
ইচ্ছে করে নীল খোলা আকাশসীমায়
হুইইই আওয়াজ ছুটিয়ে দৌড়াই
আর তুই বসে থাক বাউন্ডুলে
ইচ্ছেঘুড়ি টা খপ করে ধরবি বলে!
আর কয়েকটা মাত্র দিন,
তারপরেই তো ফাইনাল,
এবারেও তোর কথা শুনেই
দিয়েই ফেলছি চাকরের দলে
নাম লেখানোর প্রথম অক্ষরবলয়ের
আপাতকঠিন ইন্টারভিউ …
কিন্তু তারপর?
এবার পালাবি তো ঠিক
আমার, হ্যাঁ শুধুই আমারই
সঙ্গে যে কোনো নির্জন
কৃষ্ণচূড়া ঘেরা
লালসাদা রেলের প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে
সেই ছবির নীল সবুজ গ্রামে
যেখানে আজও একটা নদী
একটা ঝাঁকড়া চুল গাছ
আর একটা ময়না
একমনে আমাদেরই ডেকে যায়!
অপরূপ শান্ত স্নিগ্ধ কবিতার আদল মেমসাহেবা। অভিনন্দন কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
মনোমুগ্ধকর ভাবনা। শুভেচ্ছা সতত।