”নিত্য তোমাকে চিত্ত ভরিয়া স্মরণ করি
বিশ্ব বিহীন বিজনে বসিয়া বরণ করি –
তুমি আছো মোর হৃদয় মন হরণ করি।”
তোমার হৃদয়ের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মনের বিস্তৃত আঙ্গিনা পেরিয়ে ভালবাসার স্রোতে বিবর্তনের ধারায় বিবর্তিত হয়ে তরী ভিড়িয়েছি তোমার কুলে। শূন্য তরী ভরিয়ে দিলে ভালবাসায় কানায় কানায়, কোন কিছু দাবী না করতেই উজাড় করে দিলে দু’হাত ভরে। ঋণী হবার সুযোগ না দিয়ে চির জীবনের জন্য ঋণী করলে হৃদয়ের বন্ধনে মনো মন্দিরে। মোমের আলোয় আলোকিত করে তুললে অবেলায়। ভোরের আলোয় আলোকিত করছো এখনও আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ। ভালবাসায় বন্ধুত্বে অদৃশ্যে পাশাপাশি অবস্থান করছো সযত্নে। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ ভালবাসা ও বন্ধুত্বের কাঙাল। প্রতিটি মানুষই বন্ধুত্ব চায়। দুটি মানুষের মধ্যে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করার অকৃত্রিম সম্পর্কের নাম ভালবাসা ও বন্ধুত্ব। যে মানুষটাকে ভালোবাসি, তাকে আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে। আমাদের ভালোবাসা যদি হয় কেবল কাউকে দখল করে রাখার কোন চাওয়া, তাহলে তা ভালোবাসা নয়। আমরা যদি শুধু আমাদেরকে নিয়ে চিন্তা করি, শুধু আমাদের প্রয়োজনগুলোই বুঝি এবং অন্যদের প্রয়োজনকে এড়িয়ে যাই, তাহলে আমরা কখনই ভালোবাসতে পারবো না। যাদের ভালোবাসি তাদের প্রয়োজন, চাওয়া, ভালোলাগা এবং কষ্টগুলো আমাদেরকে অবশ্যই গভীরভাবে খেয়াল করতে হবে এটাই প্রকৃত ভালোবাসার পথ। আমরা যখন কাউকে সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারব, তখন তাকে ক্রমাগত ভালোবেসে যাওয়া থেকে নিজেকে ঠেকাতে পারব না। আমাদের জীবন জীবনের মতই সুন্দর, এই সৌন্দর্যকে অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা অর্থহীন কারণ যার সাথে তুলনা করা হয় তা কখনই জীবনের মত বৈচিত্র্যময় নয়। এই বৈচিত্রময়তার জন্যই জীবন মূল্যবান যার জন্য বেঁচে থাকতে ভালো লাগে, অর্থহীন মনে হয় হাজারটা প্রত্যাদেশ।
তারপরও ……
“মাঝে মাঝে হৃদয় জগতে উত্থান-পতন শুরু হয়
পেয়ে হারানোর বেদনার হাহাকারে।
সাধ জাগে ভালোবেসে আবার নতুন করে জীবনটাকে ভরিয়ে তোলার।
কৈশোরের সেই অনুভূতি আবার জাগিয়ে তোলে অবেলায়।
হৃদয় আপ্লুত হয় নতুন ভালবাসার আহ্বানে;
তারপরও সমাজ সংসারের ভয়ে থাকে আত্মগোপনে।
সময়ের মর্মমূলে বিরূপতা যে রক্তাক্ত ছাপ ফেলেছে
তা আজও অন্তর্গত বেদনাকে ধারণ করে আছে হৃদয়ের গভীরে।
তার অদৃশ্য স্পর্শ, নবসৃষ্ট স্মৃতির ঘ্রাণ স্মৃতিকাতর করে তুলে নির্জন প্রবাসে।
স্মৃতিলোকে বার বার ফিরে আসে তার ছবির মায়াবী চোখের করুণ চাহনি।
যৌবনের প্রণয়িনী জ্যোতি এখনও ভাসে তার চোখের তারায়।
যে কিনা আমার সব উপেক্ষা অগ্রাহ্য করেও সর্বস্ব দিয়েছে।
শাড়ির আঁচল উড়িয়ে বাহুডোরে আবদ্ধ হতে –
স্মৃতির বীণায় আজও সুর তোলে ঝঙ্কারের অপেক্ষায়।
নস্টালজিক অনুভূতির অপরিহার্য মানবিক মূল্যবোধের খোঁজে।
ভোতা অনুভূতিগুলোর পুনঃ পুনঃ রোমন্থন করার প্রয়োজনে” নিজকে বিলায় স্বযতনে।
=======
লেখকঃ কাতার প্রবাসী।
"আমরা আমাদের প্রয়োজনগুলোই বুঝি এবং অন্যদের প্রয়োজনকে এড়িয়ে যাই, এভাবে আমরা কখনই ভালোবাসতে পারবো না।
যাদের ভালোবাসি তাদের… প্রয়োজন, চাওয়া, ভালোলাগা এবং কষ্ট আমাদেরকে অবশ্যই গভীরভাবে খেয়াল করতে হবে এবং সেটাই প্রকৃত ভালোবাসার পথ।'
পূর্ণ সত্যের শাব্দিক প্রকাশ মি. হামিদুর রহমান পলাশ।