শিশু কালটাই ছিলো ভালো
থাকতাম মায়ের কোলে,
ছিলো না কোনও ভাবনা চিন্তা
থাকতাম হেসে খেলে।
যখন একটু হাঁটতে শিখলাম
হাঁটি হাঁটি পায়ে,
দুষ্টুমি-টা বেজায় বাড়লো
সারা পাড়া গাঁয়ে।
আরেকটু যখন বড় হলাম
তরতাজা এক কিশোর,
তখন কী-আর থাকতাম বাড়ি
মাঠেই হতো ভোর।
কিশোর থেকে যুবক যখন
যৌবন দেখা দিলো,
যৌবনের আগুনে জ্বলে পুড়ে
সব হলো এলোমেলো।
জীবনসঙ্গী ঘরসংসার সবই হলো
হলো সন্তানাদি কতো,
হোঁচট খেলাম বার্ধক্যের টানে
জন্মদানকারী মা-বাবার মতো।
অবশেষে মায়ামমতা ছিন্ন করে
থাকলাম মৃত্যুর কোলে,
মৃত্যুই আমায় নিয়ে গেলো
ঐ পরপারে চলে।
.
নিতাই বাবু
১১/০৪/২০২৩ইং।
জীবন বাস্তবতা। এমন লিখা পড়লে প্রতিটি মানুষের মনোকথন একদম মিলে যাবে।
অনুপ্রেরণা দানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
আপনার এই অনন্য লেখা পাঠে ভীষণ মুগ্ধ ও সমৃদ্ধ হলাম প্রিয় কবি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, দাদা। সাথে আগাম পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা।