কষ্টের নীলিমা

slumdog1

তুমি এতো দুঃখী কেন মেয়ে!
নিস্পাপ সলজ্জ চাহনি- মোহিনীর।

যুবকের কন্ঠে যেন একটা ঢেউ।
আবারো ভরাট আবেগ প্রতিমূর্ত- প্রশ্ন
চুপ থেকোনা মেয়ে। বলো আমায়।

মোহিনী জামরুল গাছের দিকে
তাকালো এক পলক।
দৃঢ় কন্ঠে ধ্বনিত হলো; আমি মোহিনী।

সে তো জানি মানবী,
আকাশের ওই নীল যবনিকার উপরে
আছে স্বর্গ- যাবে সেখানে!

মোহিনীর অপলক দৃষ্টি
দু’চোখে জলের ধারা…
মনোজগতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন
সূচীত করার ক্ষমতা রাখে এ মানবী।

যুবক ভাবে। কি অপার ক্ষমতা ওই দু’চোখে
ওই দেহ সৌষ্ঠবে, মুখাবয়বে, চাহনীতে
হৃদয়ে কি সীমাহীন বিশালতা।

মোহিনী অপলক তাকায়;
যুবকের ভাবনার অর্থ খুঁজে বেড়ায়
যুবকের কন্ঠে আবার ধ্বনিত হয়-
তুমি এতো দুঃখী কেন মোহিনী?

তোমার সমস্ত কষ্ট আমাকে দাও
আমার আজন্ম ভালোবাসায় গাঁথা মালা
এই তোমাকে দিলাম।
তুমি নাও…

slumdog12
(স্মৃতি থেকে নেয়া)

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter