তুমি এতো দুঃখী কেন মেয়ে!
নিস্পাপ সলজ্জ চাহনি- মোহিনীর।
যুবকের কন্ঠে যেন একটা ঢেউ।
আবারো ভরাট আবেগ প্রতিমূর্ত- প্রশ্ন
চুপ থেকোনা মেয়ে। বলো আমায়।
মোহিনী জামরুল গাছের দিকে
তাকালো এক পলক।
দৃঢ় কন্ঠে ধ্বনিত হলো; আমি মোহিনী।
সে তো জানি মানবী,
আকাশের ওই নীল যবনিকার উপরে
আছে স্বর্গ- যাবে সেখানে!
মোহিনীর অপলক দৃষ্টি
দু’চোখে জলের ধারা…
মনোজগতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন
সূচীত করার ক্ষমতা রাখে এ মানবী।
যুবক ভাবে। কি অপার ক্ষমতা ওই দু’চোখে
ওই দেহ সৌষ্ঠবে, মুখাবয়বে, চাহনীতে
হৃদয়ে কি সীমাহীন বিশালতা।
মোহিনী অপলক তাকায়;
যুবকের ভাবনার অর্থ খুঁজে বেড়ায়
যুবকের কন্ঠে আবার ধ্বনিত হয়-
তুমি এতো দুঃখী কেন মোহিনী?
তোমার সমস্ত কষ্ট আমাকে দাও
আমার আজন্ম ভালোবাসায় গাঁথা মালা
এই তোমাকে দিলাম।
তুমি নাও…
(স্মৃতি থেকে নেয়া)