মহাভারত মনুসংহিতা

13426.1265703835.tri_

প্রহরিষ্যন্‌ প্রিয়ং ব্রূয়াৎ
প্রহৃত্যাপি প্রিয়োত্তরম্‌।
অপি চাস্য শিরশ্ছিত্ত্রা
রুদ্যাৎ শোচেৎ তথাপি চ।।

— মহাভারত, আদিপর্ব ১৪০.৫৬
মারিতে মারিতে কহিবে মিষ্ট,
মারিয়া কহিবে আরো।
মাথাটা কাটিয়া কাঁদিয়া উঠিবে
যতটা উচ্চে পারো।।

সুখং বা যদি বা দুঃখং
প্রিয়ং বা যদি বাপ্রিয়ম্‌।
প্রাপ্তং প্রাপ্তমুপাসীত
হৃদয়েনা পরাজিতঃ।।

— মহাভারত, শান্তিপর্ব ১৭৪.৩৯
সুখ বা হোক দুখ বা হোক,
প্রিয় বা অপ্রিয়,
অপরাজিত হৃদয়ে সব
বরণ করিয়া নিয়ো।।

নাধর্মশ্চরিতো লোকে সদ্যঃ ফলতি গৌরিব।
শনৈরাবর্তমানস্তু কর্তুর্মূলানি কৃন্ততি।।
যদি নাত্মনি পুত্রেষু ন চেৎ পুত্রেষু নপ্তৃষু।
ন ত্বেব তু কৃতোহধর্মঃ কর্তুর্ভবতি নিষ্ফলঃ
অধর্মেণৈধতে তাবৎ ততো ভদ্রাণি পশ্যতি।
ততঃ সপত্নাঞ্জয়তি সমূলস্তু বিনশ্যতি।।

— মনুসংহিতা, ৪.১৭২ -৭৪
গাভী দুহিলেই দুগ্ধ পাই তো সদ্যই,
কিন্তু অধর্মের ফল মেলে না অদ্যই।
জানি তার আবর্তন অতি ধীরে ধীরে
সমূলে ছেদন করে অধর্মকারীরে।।
আপনিও ফল তার নাহি পায় যদি,
পুত্র বা পৌত্রেও তাহা ফলে নিরবধি।
এ কথা নিশ্চিত জেনো অধর্ম যে করে
নিষ্ফল হয় না কভু কালে কালান্তরে।।

light ani

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter