চন্দ্রবরণ … শেলী রহমান

chandro

এই তো সেদিন
পিচ ঢালা রাস্তায় জলপাঁই কুড়ালাম
ছিপ ছিপ সন্ধ্যায় গুড়ি গুড়ি বরষায় ভিঁজে !
কেউ ছিল না পাশে অথবা অন্য কোথাও !
তবু কে জানি পিছু পিছু পায়ে পায়ে ফিরে আসে বারবার !
কিন্তু এমন তো হবার নয় !
পঁচিশ বছর আগে সে আবেগ মূছে গেছে অতীতের জলে !
আজ এ সময় এ বয়সে !
কে তুমি ?
জানি না বুঝি না
তবু সে ফিসফিস করে কথা বলে !
“জল ছুয়ো না !
আমার চোখের ভীড়ে অনন্তকাল রাত্রি ঘুমাবে কেঁদে !
খোলা জানালায় ধান মাখা ভিজে চুলে
সারারাত বিনুনির শব্দ গেঁথে …
চাল ধোয়া হাতে হাত রেখে অন্ধকারে বুকের ভিতর !”

বাতাসে নিদ্রা কুসুমের গন্ধ ভাসে
(সীমান্তের জোছনায় কখনো কখনো এলোমেলো পথ চলা হয়েছিল বুঝি)
অনুভূতির শূন্য সিঁথির ঘাটে নগ্ন নৈঃশব্দে স্বপ্ন বুনতে ইচ্ছে করে !
ঘর ফেরে না ঘরে,
পথ ভুলে ভুল পথে পথ হারিয়ে যায় ।
খড়ের চালে নেমে আসে সংশয়
তবু ভালবাসা জেগে থাকে
একা ! একা !!

chandro1

শ্রদ্ধেয় লেখক শেলী রহমানকে বিণীত আমন্ত্রণ জানাই শব্দনীড় এ।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter