পূর্ণ প্রহেলিকা

pp

অন্ধকারে তোমার হাসির
বিদ্যুতে আর স্বর্ণলতার
ঢেউ- খেলানো আলিঙ্গনে
ঝলসে উঠে মধ্যরাতের
হাস্নাহেনার মদির গন্ধ।

একটি স্থবির প্রহর- রন্ধ্রে
পাঁপড়ি- মেলা অনুভবে।

কোন অন্তহীন নীলিমার জগতে
বিচরণ করো মূহুর্তের পলকে
লাল নয়, কালো নয়
শুধু শূন্য ও সাদায়।

পৃথিবীর পাথারে করি স্নান
ভোরের শুকতারার ঈশারায়
স্বপ্নের পূর্ণিমা রাতে রথে চলি।

নক্ষত্রের মুকুট মাথায় পরে
আমার শ্বেত শুভ্র পরমাত্মা
পুঞ্জিভূত করে দেহাভ্যন্তরে।

মিল করে ফেলি
পুকুরের কচুরীপানায়
যেখানে সাদা বকের সারি।

কেন জগতের নোংরা কালিমা
সারা দেহে মেখে-
কলন্কের যত দাগ
কেন তোমার মাথায়
বইবার ভার ?

pp1

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter