আমি যেদিন থাকব না থাকবে শুধু বাড়ি
সেদিন থমকে যাবে জীবন নামক গাড়ি
প্রাণ বাতি নিভে যাবে প্রতিবেশীর ভিড়
সাদা চাদর পড়াবে গোরস্থান হবে নীড়।
ভাই-ভাতিজা ঘাড়ে নিবে দ্রুত মাটি দিবে
বাড়ি ফিরে সম্পত্তি টামটুপলি খুঁজে নিবে
সঙ্গি শুধু পাট বাঁশ ভুবনে ছিল ভুড়িভুড়ি
আখিরাত ভুলে ঘর গোছায় দুনিয়া জুড়ি।
সাত দিনে কুলখানি চল্লিশ দিনে মিলাদ
আত্মার শান্তির জন্য স্বজন পড়ে ক্বিরাত
দুনিয়া দারী খারাপ হলে মরনে আযাব
পরকালে ফিকির হলে জীবনে নাজাদ।
হাসর-নাশর দিনে হবে জীবনের হিসাব
পঞ্চ ইন্দ্রের সাক্ষ্য ভাল মন্দের নিকাশ
নেকিপাল্লা ভারী হলে বিচার হবে পার
বদির পাল্লা হেলে গেলে দুনিয়া সার।
কেরামান-কাতেবিন দু’জন দুুই কাঁধে
বান্দার হিসাব নিকাশ সময়ে বাঁধে
বিধাতা মহাজ্ঞানী সবার মন জানে
দুনিয়া কর্মকালে ক’জন সব মানে।
দুনিয়াবীর পাগল পরকালে সব বিফল
ভোগ বিলাশের মোহে জীবন নিস্ফল
গৌরব গাঁথা জীবন ভুবনে করো কাম
জীবন বাতি ফুরালে নাই কোন দাম।
-০-
২৬-০৫-১৭ খ্রি./ ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
বিকাল-৩ টা। বাড়ির বেলকুনিতে বসে।
2 thoughts on “জীবন বাতি”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
“গৌরব গাঁথা জীবন ভুবনে করো কাম
জীবন বাতি ফুরালে নাই কোন দাম।”
শুভেচ্ছা সহ শুভ কামনা জানাই কবি। আমরা হতে চাই সফলকাম!
“গৌরব গাঁথা জীবন ভুবনে করো কাম … জীবন বাতি ফুরালে নাই কোন দাম।”
পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে মাফ করুন। আমিন।