প্রকৃতি

প্রকৃতির বিরুপ প্রভাব পৃথিবী জুড়ে
বর্ষা ঋতুর খরা মাঠে ফসল পুড়ে।
কৃষক চিন্তিত মাঠে বীজতলা নিয়ে
আমন চাষীর নীড়ে বৃষ্টি নাই জিয়ে।
আবাহওয়ার বদলে দূর্যোগ ঋতু ভরে
প্রকৃতির নীলা-খেলা সব প্রভুর ঘরে।
কোন খানে খরা কোথাও জলে ভাসে
ত্রাণের জন্য বান ভাসিরা ছুটে আসে।
আইলা-সিডর দূর্যোগ দু’দশকে মিলে
জলবায়ুর বিরুপ চাপ যুদ্ধ বিগ্রহ খিলে।
হিরোশিমার বিস্ফোরন বিশ্ব যুদ্ধের রেস
শক্তিধর দেশে পরমানবিক সমর বেশ।
নদীর উজানে বাঁধ প্রকৃতির মরন ফাঁদ
পাহাড়-পর্বত কাটা পড়ে ভারসাম্য কাঁধ।
বন জংগল বিলীন প্রকৃতির উপর চাপ
বন্য-প্রাণি পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের হাক।
সাগর তলাদেশে পলিথিনে উচ্চতা বাড়ে
প্রকৃতি বিরুপ চাপ দেয় জলবায়ুর ঘারে।
জলবায়ু সম্মেলন দেশ নেতাদের ভিড়
যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড় ধরা হোক শান্তির নীড়।
রদ-বদলের প্রভাব জুড়ে ষড়ঋতুর দেশ
সতেজ সবুজ ভরে উঠুক বাংলার বেশ।
শপথ নিব রক্ষা করি ভূবনে ভার-সাম্য
প্রকৃতি ভাল হোক সৃষ্ট জীবের কাম্য।
-০-১৮-৭-২০১৭
(সকালে কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে)

এম এ বাসেত সম্পর্কে

সাংবাদিক এম.এ. বাসেত গত ১৯৮৫ খ্রি. তেঁতুলিয়া সদরের বারঘরিয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. নিজাম উদ্দিন, মাতার নাম মোছা. আয়েশা খাতুন। পরিবারে ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। শৈশবে তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পাসের পর কালান্দিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা থেকে দাখিল/এসএসসি সমান বোর্ড পরীক্ষায় ১৯৯৯ খ্রি. দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৩ খ্রি. তেঁতুলিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচ.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে সাফল্যের সংগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৭ খ্রি. সালে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ পঞ্চগড় (পঞ্চগড় এম আর কলেজ) থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় ২য় শ্রেণিতে এবং ২০০৮ খ্রি. রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি শৈশবে কবিতা ও ছোট গল্প লিখার মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে অদ্যাবধি কাজ করে আসছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পাতায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। ইতোমধ্যে তাঁর অর্ধশতাধিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায়, শিক্ষা তথ্য পাবলিকেসন্স থেকে তাঁর লিখা ‘‘ লাল সবুজের পতাকা হাতে যুদ্ধা ফিরে ঘরে” এবং ”স্মৃতির কাছে’’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ সহায়তা নিয়ে ২০০১ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলায় জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স নামে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন। পরবর্তীতে উক্ত ট্রেনিং সেন্টারটিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার এডুকেশন (বিসিই) তেঁতুলিয়া শাখা হিসেবে রুপান্তর করেন এবং পরিচালক ও ট্রেইনার হিসেবে বেকার-যুবক/যুব মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মনির্ভরশীল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

2 thoughts on “প্রকৃতি

  1. প্রায় সন্ধ্যা রাতে পিসি থেকে উঠবার সময় আপনার লিখার সাথে দেখা হয়ে যায়। ভালো লিখছেন পদ্য সমূহ। তবে লিখায় দম ফেলার সুযোগ কম। লম্বা শ্বাস ধরে রাখতে হয়।
    পারলে আগামীতে পদ্য লিখাকে প্যারা অথবা খণ্ডাংশ করে দেবেন। ভালো লাগবে। :)

    1. আপনাকে ধন্যবাদ। আগামীতে আপনার সুপরামর্শ কাজে লাগাব ইনশাল্লাহ। ভাল থাকবেন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।