বিলাল আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। যখন আদরে আদরে বড় করে তুুলেছিলেন, তমাল সাবধান করেছিল-“এত মায়া লাগাইস না, কষ্ট পাবি।” সাঈদ বলেছিল, “সুন্দরী, আপনাকে ফাঁকি দিয়ে প্রেম করে পালাবে।” এসবে বিলাল বিরক্ত হয়েছেন, পাত্তা দেন নাই।
আদর যত্ন আর ভালোবাসায় সুন্দরী দিনে দিনে সুন্দরীতমা হয়ে উঠেছে। সুন্দরীকে লক্ষ্য করে জানালায় ছোকরা হিরোদের আনা-গোনা বিলালের চোখ এড়ায়নি। কিন্তু সুন্দরীর প্রতি গাঢ় বিশ্বাসে চিড় ধরেনি। প্রতিদিনের মত এক সকালে ছাদে হাটতে গিয়ে সুন্দরী আর ঘরে ফিরে নাই।
বিলাল বুকের কষ্ট বুকে পুষেছেন। কতদিন জানালায় পথ চেয়ে থেকেছেন সুন্দরীর অপেক্ষায়- না, সে আসেনি। আজ সুন্দরী একা তার তিন সন্তানকে নিয়ে ফিরে এসেছে। বিলালের দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে আছে। তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কি করবেন- ঘরে জায়গা দিবেন না বিশ্বাসঘাতিনীকে বের করে দিবেন!
সুন্দরী নীরব। বিলাল শুনছেন সুন্দরীর নাদুস নুদুস তিন সন্তান বলছে “নানামনি.. ও নানামনি.. টিভি দেখবো, কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলটা দাও.. ও নানামনি..” তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, বিভ্রান্ত হয়ে ভাবছেন এরা কথা বলছে কিভাবে, বিড়ালের বাচ্চাগুলোর তো মিউমিউ করে ডাকার কথা..।
যথারীতি সুন্দর।
অ সা ধা র ণ।
বাহ্, চমৎকার