দৈত্য

এক ছিল রাজা। এক ছিল রানী। আর ছিল রাজপুত্র। কিন্তু আলাদীনের প্রদীপটা পেল কাঠুরের পুত্র। প্রদীপে ঘষা দিতেই দৈত্য হাজির। কাঠুরে পুত্র দৈত্যর কাছে চাইল বাবার জন্য একটা নতুন কুঠার। রোদে বৃষ্টিতে মা’র রান্না করতে সমস্যা হয়। তাই মা’র জন্য রান্না ঘরের উপরে একটা চালা আর নিজের জন্য ছবি আকার খাতা। কাঠুরে পুত্রের ছবি আঁকার খাতার কথা পৌছে গেল রাজার কানে। সবাই বলল আলাদীনের প্রদীপের দৈত্য এই খাতা দিয়েছে। খাতার জন্য রাজপুত্রের সে কি কান্না। পেয়াদারা গিয়ে নিয়ে এলো প্রদীপ।

রাজা প্রদীপ ঘষলেন। রাণী প্রদীপ ঘষলেন। মন্ত্রী প্রদীপ ঘষলেন। রাজপুত্র প্রদীপ ঘষলেন। সবাই মিলে ঘষে ঘষে প্রদীপটাকেই ক্ষয় করে ফেলল। কিন্তু দৈত্য বের হল না। কারণ প্রদীপের ভিতরে দৈত্য থাকলে তো বের হবে! কাঠুরে পুত্র ছবির খাতায় যে প্রদীপ এঁকেছে সেটাই এখন দৈত্যর নতুন বাসা, সেই প্রদীপের ভিতরেই এখন দৈত্যটা থাকে।

সেই থেকে প্রদীপ ঘষলে আর দৈত্য বের হয়না।

2 thoughts on “দৈত্য

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।